মাঝে মাঝে মানুষকে ইরিটেট করতে ভাল লাগে, আজ বহুদিন পরে এক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা, বন্ধু লিন্ডে বাংলাদেশে রিসেন্টলি জয়েন করছে, লিন্ডে বাংলাদেশ কি কাজ করে এই ব্যাপারে তেমন ভাল ধারনা নাই, শুধু জানি ওরা বাংলাদেশে অক্সিজেন সাপ্লাই দেয়। নরমাল কুশালাদির পরে বললাম তুই তো একবারে হাওয়া হয়ে গেছিস, কোন খবর নাই।
আর বলিস না দোস্ত অফিসে হেভি ব্যাস্ততা, তার উপর ঢাকার রাস্তা ঘাটের যা অবস্হা, বাইরে বেশিসময় থাকলে সাফোকেশন হয়।
সাফোকেশনের কথা শুনে মোটামুটি ঠান্ডা হয়ে গেলাম, ১ বছর আগেও ওর সাথে রাস্তায় পাশে টংয়ে দাঁড়িয়ে চা সিংগাড়া খাইতাম আর বন্ধু কিনা এখন সাফোকেশনের রোগী। রোগ বালাই নিয়ে মস্কারা করা ঠিক না বাট বন্ধুদের সাথে একটু মস্কারা করাই যায়, হোক না সে সাফোকেশনের রোগী অথবা কোমর ব্যাথার।
বললাম দোস্ত অফিসে সাফোকেশনের তো কোন প্রবলেম হয় না তাই না?
বন্ধু বলল "না রে অফিসে আর বাসায় থাকলে খুব ভাল থাকি, একদম পিউর বাতাস"।
আমি বললাম হুম পিউর বাতাস, তা দোস্ত এই পিউর বাতাসের সাপ্লাইটা কেমনে দেয় তোর অফিসে?? মানে তোদের অফিসে কি রুমে রুমে এসির সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে??অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে কি হিস হিস করে পিউর অক্সিজেন বের হয়?? এই পিউর অক্সিজেন নিতে নিতে তোর সাফোকেশনের প্রবলেমটা আসলে বেড়ে গেছে।
- আচ্ছা তুই কি আমার সাথে মস্কারা করতেছিস??
মস্কারা বাদ দিয়ে কিছুসময় সিরিয়াস কথাবার্তা বললাম।তারপর দোস্ত আরেকটা প্রশ্ন ছিল- তোদের অফিসে কি রান্নাবান্না ও হয় পিউর আগুনে?
-পিউর আগুন?এইটা কি জিনিস?
না মানে ছোটবেলায় পড়ছিলাম অক্সিজেন আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে, তোদের যেহেতু অক্সিজেন নিয়ে কারবার তাই ভাবলাম তোরা মে বি গ্যাসের রিপ্লেসমান্ট হিসাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাবহার করিস, রান্নাবান্না যা হয় বিশুদ্ধ আগুনে হয়।
বন্ধু দেখলাম বিরক্ত মুখ নিয়ে আমার দিকে তাকায় আছে, মানুষকে বিরক্ত করার পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে আমি আমার লাস্ট প্রশ্নটা করলাম।
তোদের অফিসে কি পানি খাওয়ার আলাদা ফিল্টার আছে? নাকি তোরা পিউর পানি খাস?? পিউর পানিটা কেমনে তৈরী করিস? দুই চিমটি হাইড্রজেন, এক চিমটি অক্সিজেন (H2O) গ্লাসে গুলিয়ে খেয়ে ফেলিস....??
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭