যারা সাধারনত টুকটাক লেখালেখি করে তাদের মধ্যে হয়তো কমন একটা ডিসওর্ডার আছে। তা হল ভাবনার অপরিচ্ছন্নতা। কোন বিষয় লিখতে গেলে মূল বিষয় ব্যতিত মূল বিষয় কে ঘিরে নানান চিন্তা ভাবনা চলে আসা। ফলে যা হয় তা হল- প্লট মনে আছে তো শুরু আর শেষ কিভাবে হবে তা পরিষ্কার থাকেনা, প্লট এবং শুরু থাকলেও শেষটা আর হয় না। ভাবনায় দৃড়তা নেই কিংবা অতিরিক্ত ভাবনা কিংবা প্রত্যেকে প্রত্যেকের রিভার্স হওয়ার কারনে আমাদের অনেক লেখাই অসম্পূর্ন রয়ে যায়। কম চিন্তা বা অতিরিক্ত চিন্তা দুটোই লেখার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এই ডিসওর্ডারের একটা কারন আমি খুঁজে বের করেছি আর তা হল- আমরা যখন লিখতে বসি তখন একই সাথে অনেক কিছু লিখতে চাই অর্থ্যাৎ একটা লেখায় অনেক কিছু বুঝাতে চাই। এইদিক থেকে লেখকের একটা চরম সুবিধা হয় আর তা হল পাঠক রা যেভাবেই মিন করুক লেখকের সে উত্তর জানা আছে কারন পাঠক ই তা তৈরি করে দেয় সে কিভাবে নিয়েছে তার উপর।
আমরা যে কবি সাহিত্যিকদের বই পড়ি তা যদি ১০ জনকে পরতে দেয়া হয় ১০ জন লোক ১০ ভাবে নেবে, আর লেখকের সুবিধা হচ্ছে ১০টাই ঠিক। তার মানে দাঁড়ালো লেখকের একটা চিন্তা ১০টা চিন্তার তৈরি করে। কেউ যদি ১ লাইন লিখতে চায় তার ১০ লাইন পড়া উচিত- ১০ লাইন থেকে ১ লাইন তৈরি হবে, এই ১ লাইন আবার ১০ লাইন ভাবনার সৃষ্টি করবে, ১০ লাইন থেকে আবার হাজার হাজার উপলব্ধি তৈরি হবে। আবার হাজার হাজার উপলব্ধি থেকে ১/২ লাইন করে আসবে। এভাবেই বেড়ে উঠেছে আমাদের কথার ফুলঝুড়ি...জন্মেছে কবি, সাহিত্যিক, বেড়েছে বইয়ের সংখ্যা, বেড়েছি আমরা। পৃথিবী বড় হচ্ছে ভাবনা বড় হচ্ছে আর উপলব্ধি তথা পৃথিবী আল্টিমেটলি ছোটই হচ্ছে।