somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলার ডায়েরি (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) !!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, শনিবার। আজ ছিল মহান শহীদ দিবস। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই' আন্দোলনে পাকিস্তানের পুলিশ গুলি চালিয়ে সেদিন হত্যা করেছিল আমাদের ছাত্রদের- আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আবুল বরকত, আব্দুস সালাম। সেদিন নবাবপুরে জনতার মিছিলেও গুলি চালিয়ে আরো হত্যা করেছিল ঢাকা হাইকোর্টের কর্মচারী শফিউর রহমান, ওয়াহিদুল্লাহ, আবদুল আউয়াল এবং অহিদুল্লাহ নামে নয় বছরের এক বালককে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নিহতদের স্মরণে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করেন। শহীদ মিনার তৈরির কাজ শেষ হয় ২৪ তারিখ ভোরে। তাতে একটি হাতে লেখা কাগজ গেঁথে দেয়া হয়েছিল। যাতে লেখা ছিল 'শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ'। ২১ ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের ঘটনার পর 'একুশ' নিয়ে প্রথম গান লেখেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। গানটি হল - 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...'। গানটি প্রথমে সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ। পরে করাচী থেকে ঢাকা ফিরে ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদ আবার নতুন করে সুরারোপ করেন। সেই থেকে ওটা হয়ে গেল আমাদের একুশের প্রভাতফেরীর গান। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানটিই আমরা গাই। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর দিন। প্রতিটি বাঙালি, প্রতিটি বাংলাভাষার মানুষ ২১ ফেব্রুয়ারিকে হৃদয়ে লালন করেন গভীর বেদনা ও শোকাহত হয়ে। ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন গভীর মমতায়।

১৯৯৮ সালে কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন করেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' রূপে পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি বছরই প্রতিটি বাঙালি মহান শহীদ দিবস পালন করেন গভীর বেদনা নিয়ে। আর এখন জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশে এটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করলাম যে, শহীদ দিবসের প্রথম ক্ষণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আমাদের মাননীয় মন্ত্রী, সাংসদ, আমলাদের কাছে এটি যেন একটি খোসগল্প করার উৎসব। তাদের চেহারায় ছিল মাস্তি করার মত খোশমেজাজ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মন্ত্রী, সাংসদ, আমলাদের টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হচ্ছিল। তারা সেখানে ফুল দেবার নামে খোস গল্প করেছেন, সবাই ভারী খোশমেজাজে ছিলেন। যে চেতনা আমরা ছোটবেলায় লালন করতাম, আজকের একটি শিশু টেলিভিশনে আমাদের এসব মন্ত্রী, সাংসদ, আমলাদের শহীদমিনারে উপস্থিতি দেখে, তাদের এই চেহারা দেখে আসলে মহান একুশ সম্পর্কে কি শিক্ষা পাবে? তাদের আচরণ দেখে শিশুরা মনে করতে পারে- এটি বুঝি স্ফুর্তি করার মত কোনো গণ-উৎসব।

রাষ্ট্রযন্ত্র আমাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোকে এখন একটি উৎসব বানিয়ে ফেলেছে। যা এই দিবসের যথাযোগ্য মর্মবোধ ও উপলব্ধি সম্পর্কে আজকের শিশুকে ভুল বার্তা দিতে পারে। আমাদের মহান মন্ত্রী, সাংসদ, আমলাগণ, আপনারা অন্তত দয়া করে টেলিভিশনের সামনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এই খোসগল্প পর্ব উপহার দিয়ে নতুন প্রজন্মের শিশুদের শহীদ দিবস সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবেন না। আপনাদের দোহাই লাগে। আপনারা নিজেরা উৎসব করুন, আড়ালে আবডালে গিয়ে করুন। কিন্তু দয়া করে লাইভ টেলিভিশনের সামনে, আজকের নতুন প্রজন্মের শিশুদের সামনে এভাবে খোশমেজাজের উৎসব ভঙ্গিটা কোনোভাবেই শোভা পায় না। আপনারা সাবধান হোন। নতুবা আজকের শিশুরা আপনাদের সম্পর্কে, শহীদ দিবস পালনের কাণ্ডকীর্তি সম্পর্কে ভুল ধারণা পাবে। আমরা কিন্তু হৃদয় দিয়ে গভীর মমতায় আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মাকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাই। আপনাদের মত লোক দেখানো খোসগল্প করতে নয়। হৃদয়ে গভীর বেদনার ক্ষত নিয়ে চিত্তে তা লালন করার জন্যই শহীদ মিনারে যাই। দয়া করে আপনারা তামাশা করার জন্য এভাবে আর শহীদ মিনারে যাবেন না। যা দেখে আমাদের কোমলমতি শিশুরা ভুল বার্তা পাবে।

আজ অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছিল সকাল আটটায়। একটানা মেলা চলেছে রাত নয়টা পর্যন্ত। আজ ছিল বইমেলায় সর্বস্তরের মানুষের প্রাণবন্ত জোয়ার। আজ উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যেও প্রচুর বই বিক্রি হয়েছে। সবাই কালো ব্যাচ ধারণ করেছে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে বইমেলায় এসেছে সবাই। সবার কণ্ঠে ছিল আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গান।

বইমেলায় পৌঁছাতে আমার পৌনে নয়টা বেজে যায়। আর মেলা থেকে বের হই রাত পৌনে নয়টায়। বারো ঘণ্টা আজ বইমেলায় ছিলাম। বইমেলায় আজ প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢু মারি। আমার প্রকাশক মাধব দা আমাকে ২০ কপি 'মুজিব দ্য গ্রেট' বইটি দেন। যা নিয়ে আমি একাডেমির প্রিয় লিটলম্যাগ প্রাঙ্গনে চলে আসি। বন্ধু নাট্যকর্মী কাজী ফয়সাল আজ মেয়েকে নিয়ে বইমেলায় এসেছিল। পাঁচ বছরের পিয়েতা বাবার হাত ধরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তারপর বইমেলায় এসেছিল। নিজে পছন্দ করে বই কিনেছে পিয়েতা। ফয়সাল আমার 'মুজিব দ্য গ্রেট' বইটি সংগ্রহ করল। ততক্ষণে বইমেলা প্রাঙ্গনে মানুষের ঢল নেমেছে। আমার প্রকাশক মাধবদার তথ্য অনুযায়ী, গতকাল 'মুজিব দ্য গ্রেট' ২৩ কপি বিক্রি হয়েছিল। আজ বিক্রি হয়েছে ২৯ কপি। মাধবদা বইটির বিক্রি নিয়ে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট।

আমার বন্ধু কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর আজ বইমেলায় এসেছিলেন বাবা-মা আর দুই ভাগ্নি বর্ষা ও তাথৈকে সঙ্গে নিয়ে। তারপর তাথৈ'র সঙ্গে যোগ দিল চৈতি আপার মেয়ে মেধা। তাথৈ আজ শাড়ি পড়েছিল। যা দেখে মেধার একটু মন খারাপ হল। পরে খালাম্মা-খালুজান, তাথৈ আর মেধাকে নিয়ে বর্ষা বাসায় গেল। যাতে তাথৈ আর মেধা একসঙ্গে কিছুক্ষণ খেলতে পারে। মেধার যাতে মন ভালো হয়। আমাদের সঙ্গে এই পর্যায়ে যোগ দিলেন কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা। আমরা লিটলম্যাগ প্রাঙ্গনে আড্ডা দিচ্ছিলাম।

বেলা সাড়ে বারোটার দিকে মেলায় প্রবেশ করেছিল দুই অভাগা মুড়িওয়ালা। ওরা একাডেমির মূল গেটের নিরাপত্তা রক্ষীদের ম্যানেজ করেই মেলায় ঢুকেছিল। বেচাবাট্টা শুরু করার আগেই ঘটল বিপত্তি। অন্য দুই সিকিউরিটি সদস্যের তাড়া খেয়ে একজনের মুড়ির ডালা মেলার মাঠে বহেড়াতলায় উল্টে গেল। তাই নিয়ে শুরু হল বিপত্তি। মুড়িওয়ালা দাবি করল, গেটে পয়সা দিয়েই ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেয়েছিলেন। আর যারা সেই পয়সায় ভাগ পায়নি তাদের তাড়া খেয়ে তার পুঁজি এভাবে মাটিতে গড়াল। বইমেলায় আসা সর্বস্তরের মানুষ মানবিক কারণে মুড়িওয়ালার পক্ষ নিলে সিকিউরিটি সদস্যরা সেই জায়গা থেকে এক সময়ে কেটে পড়লেন। অনেকে এই দৃশ্যের ঘটা করে ছবি তুলেছেন। মেলায় অন্তত ঘণ্টা খানেক মুড়িওয়ালার মাটিতে লুটানো মুড়ি ছিল আলোচনার মূল বিষয়।

এই সুযোগে বাংলা একাডেমির আরেকটি অব্যবস্থাপনার উদাহরণ দেওয়া যাক। বাংলা একাডেমি এবার একাডেমির মূল প্রাঙ্গনে আইসক্রিমের দোকান এলাউ করেছে। এলাউ করেছে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলের স্টল। আর টেলিটকের সেই শুরু থেকেই বিশাল জটলা তো আছেই। যত মানুষ মেলায় এসে আইসক্রিম খাচ্ছে, তাদের কেউ কিন্তু মনের ভুলেও একটা বই কিনছে না। মাথায় ফুল গুজে আইসক্রিম খাচ্ছে আর বন্ধুরা মিলে দলবেধে ঘুরছে। বাংলা একাডেমির কেন্টিন নামে পুকুর পাড়ে যেটি চালু হয়েছে, সেটা এক ধরনের গলা কাটা ব্যবসা করছে। ১০ টাকার পানির বোতল তারা ত্রিশ টাকা নিচ্ছে। খাবারের দাম নিচ্ছে অন্তত তিনচার গুন বেশি। আমাদের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে দুর্বৃত্তপনা যেভাবে বেড়েছে, সেই দুর্বৃত্তপনাকে বাংলা একাডেমি কেন নিজ উদ্যোগে এভাবে লালন করার লাইসেন্স নিল? একাডেমির নিজস্ব কেন্টিন কেন এভাবে ভাড়াটেদের গলাকাটা ব্যবসার আকড়া হবে? বাংলা একাডেমি এটি করে গোটা জাতিকে আসলে কি শেখাতে চায়??? জবাব চাই জনাব শামসুজ্জামান খান।
আজ করাতকল থেকে অমর একুশে বইমেলায় এসেছে তরুণ কবি শাফি সমুদ্রের কবিতার বই 'ঘুমের ঘুঙুর'। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী চারু পিন্টু। বইটি পাওয়া যাবে লিটলম্যাগ চত্বরে দ্রষ্টব্য স্টলে। তরুণ কবি শাফি সমুদ্রকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এছাড়া আজ মেলায় এসেছে হৃদরোগ চিকিৎসক আব্দুল্লাহ জামিলের দুইটি কবিতার বই। 'চলো অসম্ভবে যাই' ও 'কোলাজ কার্টুন'। দুইটি বইয়ের-ই প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী তারিকুল ইসলাম। বই দুটি এক্সেপশন প্রযোজনার ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছে। পাওয়া যাবে লিটলম্যাগ চত্বরে।

আজ সকালে মেলায় এসেছিলেন ফ্রান্স প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহেমদ। আমি প্রিয় শিল্পীকে আমার 'মুজিব দ্য গ্রেট'-এর একটি কপি উপহার দিলাম। সাহাবুদ্দিন ভাই বললেন, দিবা যখন, দুই কলম লিইখা দাও। সাহাবুদ্দিন ভাইকে বললাম, প‌্যারিসে আমার এক ফরাসি আর্টিস্ট বন্ধু ডানিয়েলে লাকো আপনার পেইন্টিংয়ের ভক্ত। আপনার এক্সিবিশানেও ডানিয়েলে মাঝে মাঝে যায়। প্রায়ই ডানিয়েলে আপনার পেইন্টিং ওর ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করে। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার কাছে জানে। শুনে সাহাবুদ্দিন ভাই খুব খুশি হলেন।

আজ অমর একুশে বইমেলায় করাতকল থেকে প্রকাশ পেয়েছে তরুণ কবি শাফি সমুদ্রের কবিতার বই 'ঘুমের ঘুঙুর'। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী চারু পিন্টু। বইটি পাওয়া যাবে লিটলম্যাগ চত্বরে দ্রষ্টব্য স্টলে। তরুণ কবি শাফি সমুদ্রকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এছাড়া আজ বইমেলায় খুব একটা ঘোরাফেরা করার মত সুযোগ ছিল না। বলতে গেলে লিটলম্যাগ চত্বরেই কেটেছে গোটা দিন। আজ দেখা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে যাদের সঙ্গে- কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা টোকন ঠাকুর, কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা, শিল্পী চারু পিন্টু, কবি বিদ্রোহী কৃষক ও সঙ্গীতা দম্পতি, কবি কাজী টিটো, লেখক রুদ্র সাইফুল, কবি সরসিজ আলীম, কবি আরণ্যক টিটো, কবি ডা. আব্দুল্লাহ জামিল, বন্ধু শিল্পী মোবাশ্বির আলম মজুমদার, বন্ধু প্রকাশক মেনন, বন্ধু কথাসাহিত্যিক খোকন কায়সার, শিশু সাহিত্যিক লুৎফর রহমান রিটন, কবি ওবায়েদ আকাশ, লেখক ঋষি এস্তেবান, কবি শাফি সমুদ্র, কবি ও প্রকাশক আলী আফজাল খান, নাট্যাভিনেতা শাহরিয়ার খান, ন্যান্সি আপা, শাদ, রোদেলা, অপুদা ও ভাবী, গল্পকার ম্যারিনা নাসরিন, কবি তাহিতি ফারজানা, কবি ও সম্পাদক নীলসাধু ও তুলা ভাবী দম্পতি, খালাতো ভাই লিয়াকত শিকদার লাহু, বন্ধু সাংবাদিক নজরুল কবির প্রমুখ।

মেলার মাঠেই আজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিয়েছি। বই বিক্রি করেছি নন্দনে বসে বসে। আজ প্রচুর ভিড় ছিল। কোথাও একটু দাঁড়ানোর মত জায়গা ছিল না। আজ আর মেলা শেষে টিএসসিতে আড্ডা দেওয়া হয়নি। মোবাশ্বির আর আমি তাই মেলা থেকে বের হয়ে সোজা বাসার দিকে চললাম। পথে ছবিরহাটে দেখা হল বন্ধু সাংবাদিক তরুণ সরকার ও বন্ধু ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে। আমি বাসায় পৌঁছানোর পর টোকন ঠাকুর ফোন দিলেন। আজ সারাদিন একটুও রেস্ট পাইনি। খুব টায়ার্ড লাগছিল। টোকনকে বললাম, আর বের হব না। তারপর খেয়ে একটা আড়াই ঘণ্টার ঘুম দিলাম।

..................................
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
ঢাকা
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×