
মহান রাব্বুল আলামীনের শুকুরিয়া, DSE এডমিন প্যানেল, সদস্য/সদস্যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে একজন অসহায় বয়বৃদ্ধ মানুষ ফিরে গেল তার স্বজনদের কাছে। বিগত ২৭/১২/২০১৬ ইং তারিখে একজন বয়বৃদ্ধ মানুষকে স্টেশনের কাছে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। তার সন্ধান চেয়ে DSE গ্রুপে ও আমার টাইমলাইনে পর পর কয়েকটি পোস্ট দেই। পোস্টগুলো মহুর্তের মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ছুটে আসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ সহ একঝাঁক মানবদরী তরুন/তরুনী, সেব্চ্ছাসেবক/সেবিকা, সাংবাদিকবৃন্দ (বিশেষ করে Hasan Misbah ভাই), মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবি, ডাক্তার ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শুধু ঢাকা থেকে নয় ব্রাক্ষনবাড়ীয়া, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শুধু একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন অগনিত মানুষ। কেউ সময় দিতে, কেউ রোগীর পাশে সেবক/সেবিকার ভুমিকায়, কেউ আইনী সহায়তা, প্রশাসনের বিশেষ ব্যাক্তিদের সহায়তা, রোগীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ঔষধ ক্রয় করে দিয়ে, আবার কেউ পর্দার অন্তরালে থেকে, যাকে বার বার অনুরোধ করা সত্বেও মিডিয়ার সামনে আসেননি বা কোন ছবি উঠাতে দেননি সেই (Eman Khan) ভাইকে । সেইযে বিগত ২৭/১২/২০১৬ ইং তারিখ থেকে ০৭/০১/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত একটানা ১২ দিন চলতে থাকে একটানা নিরলস নি:স্বার্থ পরিশ্রম। কারো চাকুরী, কারো পরীক্ষা, কারো আবার ব্যবসা সবকিছুই যেন মানবতাকে হার মানিয়েছে।

চিকিৎসারত ডাক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী তার মাথায় হালকা মানসিক সমস্যা আছে, বিধায় তিনি মাঝে মাঝে সঠিক কথা বলতেন আবার মাঝে মাঝে ভুল তথ্য দিতেন আর তারই ধারাবাহিকতায় তিনি বলেছিলেন তার ছেলে-মেয়েরা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছেন। বিষয়টি অনলাইনে ব্যাপক প্রচার হওয়াই (বিদেশে অবস্থানরত) সর্বপ্রথম তার ছোট সন্তানের দৃস্টিতে আসে। এরপর শুরু হয় আমাদের সাথে যোগাযোগ। বাড়ী থেকে ছুটে আসেন তার অন্যভাই সন্তান বেলাল সহ আরো তিন বোন। তার বাবার শরীরে বিভিন্ন চিহ্ন দেখে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় জনৈক বৃদ্ধ দাদুই তার হারিয়ে যাওয়া বাবা। দাদু তার মেয়েদের দেখা মাত্র বুকে জড়িয়ে ধরে শুরু করেন অঝোর নয়নে কান্না। হাসপাতালে তৈরী হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের মা মারা যাবার পর তিনি (দাদু) ভীষণভাবে মানসিক যন্ত্রনা পান। জমি নিয়ে তার ভাইয়ের সাথে সামান্য বিরোধ ছিল। উক্ত বৃদ্ধ দাদু আজ থেকে প্রায় ১০/১১ বছর আগে বাড়ী থেকে স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে হন।পরিবারের সদস্যগণ মনে করেছিলেন যে, তিনি হয়ত মারা গেছেন। তার সন্তানদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে DSE এডমিন প্যানেল স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সাথে কথা বলে পরিবাবেরর বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সন্তানদের কাছে পেয়ে দাদুর স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকে, অসুস্থতা কমে আসে । বাড়ী ফিরে যাওয়ার জন্য দাদু ও তার সন্তানরা ব্যাকুল হয়ে উঠেন। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গতকাল ০৭/০১/২০১৭ ইং তারখে হাসপাতাল থেকে এক আবেগঘন পরিবেশে দাদুকে বিদায় দেয়া হয়। দাদু চলে গেল কিন্তু রেখে গেল অসংখ্য স্মৃতি। কাদিয়ে গেল একঝাঁক তরুণ/তরুণীদের।

অবশেষে আবারো সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ, তরুন/তরুনী, সেব্চ্ছাসেবক/সেবিকা, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবি, ডাক্তার, সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে শেষ করছি, বিশেষ কৃতজ্ঞতা (Jabin Islam ও তার টীম), এবং সকলকে সবিনয় অনুরোধ করছি আসুন আমরা সকলেই যে যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষদের পাশে একটু হাসি ফুটানোর চেস্টা করি।
DSE এডমিন প্যানেল ও স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে এখন বৃদ্ধাশ্রম প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। আসুন আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করি। জয় হোক মানবতার। আর যেন কেউ বৃদ্ধ মানুষকে রাস্তার পাশে বসে কস্ট পেতে না হয়। ভুল-ক্রটি মার্জনীয় DSE এডমিন প্যানেল, সদস্য/সদস্যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে একজন অসহায় বয়বৃদ্ধ মানুষ ফিরে গেল তার স্বজনদের কাছে। বিগত ২৭/১২/২০১৬ ইং তারিখে একজন বয়বৃদ্ধ মানুষকে স্টেশনের কাছে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। তার সন্ধান চেয়ে DSE গ্রুপে ও আমার টাইমলাইনে পর পর কয়েকটি পোস্ট দেই। পোস্টগুলো মহুর্তের মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ছুটে আসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ সহ একঝাঁক মানবদরী তরুন/তরুনী, সেব্চ্ছাসেবক/সেবিকা, সাংবাদিকবৃন্দ (বিশেষ করে Hasan Misbah ভাই), মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবি, ডাক্তার ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শুধু ঢাকা থেকে নয় ব্রাক্ষনবাড়ীয়া, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শুধু একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন অগনিত মানুষ। কেউ সময় দিতে, কেউ রোগীর পাশে সেবক/সেবিকার ভুমিকায়, কেউ আইনী সহায়তা, প্রশাসনের বিশেষ ব্যাক্তিদের সহায়তা, রোগীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ঔষধ ক্রয় করে দিয়ে, আবার কেউ পর্দার অন্তরালে থেকে, যাকে বার বার অনুরোধ করা সত্বেও মিডিয়ার সামনে আসেননি বা কোন ছবি উঠাতে দেননি সেই (Eman Khan) ভাইকে । সেইযে বিগত ২৭/১২/২০১৬ ইং তারিখ থেকে ০৭/০১/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত একটানা ১২ দিন চলতে থাকে একটানা নিরলস নি:স্বার্থ পরিশ্রম। কারো চাকুরী, কারো পরীক্ষা, কারো আবার ব্যবসা সবকিছুই যেন মানবতাকে হার মানিয়েছে।

চিকিৎসারত ডাক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী তার মাথায় হালকা মানসিক সমস্যা আছে, বিধায় তিনি মাঝে মাঝে সঠিক কথা বলতেন আবার মাঝে মাঝে ভুল তথ্য দিতেন আর তারই ধারাবাহিকতায় তিনি বলেছিলেন তার ছেলে-মেয়েরা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছেন। বিষয়টি অনলাইনে ব্যাপক প্রচার হওয়াই (বিদেশে অবস্থানরত) সর্বপ্রথম তার ছোট সন্তানের দৃস্টিতে আসে। এরপর শুরু হয় আমাদের সাথে যোগাযোগ। বাড়ী থেকে ছুটে আসেন তার অন্যভাই সন্তান বেলাল সহ আরো তিন বোন। তার বাবার শরীরে বিভিন্ন চিহ্ন দেখে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় জনৈক বৃদ্ধ দাদুই তার হারিয়ে যাওয়া বাবা। দাদু তার মেয়েদের দেখা মাত্র বুকে জড়িয়ে ধরে শুরু করেন অঝোর নয়নে কান্না। হাসপাতালে তৈরী হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের মা মারা যাবার পর তিনি (দাদু) ভীষণভাবে মানসিক যন্ত্রনা পান। জমি নিয়ে তার ভাইয়ের সাথে সামান্য বিরোধ ছিল। উক্ত বৃদ্ধ দাদু আজ থেকে প্রায় ১০/১১ বছর আগে বাড়ী থেকে স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে হন।পরিবারের সদস্যগণ মনে করেছিলেন যে, তিনি হয়ত মারা গেছেন। তার সন্তানদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে DSE এডমিন প্যানেল স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সাথে কথা বলে পরিবাবেরর বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সন্তানদের কাছে পেয়ে দাদুর স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকে, অসুস্থতা কমে আসে । বাড়ী ফিরে যাওয়ার জন্য দাদু ও তার সন্তানরা ব্যাকুল হয়ে উঠেন। অবশেষে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গতকাল ০৭/০১/২০১৭ ইং তারখে হাসপাতাল থেকে এক আবেগঘন পরিবেশে দাদুকে বিদায় দেয়া হয়। দাদু চলে গেল কিন্তু রেখে গেল অসংখ্য স্মৃতি। কাদিয়ে গেল একঝাঁক তরুণ/তরুণীদের।
অবশেষে আবারো সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ, তরুন/তরুনী, সেব্চ্ছাসেবক/সেবিকা, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবি, ডাক্তার, সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে শেষ করছি, বিশেষ কৃতজ্ঞতা (Jabin Islam ও তার টীম), এবং সকলকে সবিনয় অনুরোধ করছি আসুন আমরা সকলেই যে যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষদের পাশে একটু হাসি ফুটানোর চেস্টা করি।

DSE এডমিন প্যানেল ও স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে এখন বৃদ্ধাশ্রম প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। আসুন আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করি। জয় হোক মানবতার। আর যেন কেউ বৃদ্ধ মানুষকে রাস্তার পাশে বসে কস্ট পেতে না হয়। ভুল-ক্রটি মার্জনীয়
আমার প্রথম পোস্ট ছিল এই লিংকে-
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ ও টিভি নিউজ দেখুন এই ইউটিউব লিংকে-
আমার ফেসবুক লিংক-
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



