আমার এলাকায়। হ্যাঁ হ্যাঁ আমার এলাকায়। ও ভালো কথা পরিচয় না দিলে বুঝবেন কেমন করে, কোন এলাকার কথা বলছি !! রাজশাহী বিভাগের, জয়পুরহারট জেলা, আক্কেলপুর উপজেলা, গুপীনাথপুর ইউনিয়ন এর কথাই বলছি। আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার মিলনস্থল গোপীনাথপুর গ্রাম। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমায় গোপীনাথপুরে মেলা বসে।
মেলায় থাকে হরেক রকমের দোকানপাট, সার্কাস, যাত্রা ও পুতুল নাচ। মোটরসাইকেল ও মাইক্রো খেলার প্যান্ডেলও থাকে। গোহাটির (গরু-মহিষ ও ঘোড়া বিক্রির স্থান) জন্য প্রায় ১০ একর জায়গা বরাদ্দ থাকে। থাকে বিশাল এলাকা জুড়ে কাঠের আসবাব পত্র ও গার্মেন্টস এর দোকান। আরও থাকে প্রায় ২৫০-৩০০ দোকানের সমারোহে চুড়ি পট্টি। প্রতি বছর বাংলা ফাল্গুন মাসে শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা উপলক্ষে এ মেলা বসে। দোলযাত্রার রাতে মূল মন্দির থেকে বিগ্রহ (মূর্তি) বাজার মন্দিরে নিয়ে ১২ দিন পর আবার তা মূল মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এ সময়ে চলে মেলা। এই তো আগামী ২৭ শে মার্চ এ দোলযাত্রা। তার মানে ২৮ তারিখ থেকে সেই মেলা শুরু হতে যাচ্ছে।
এখন বলি আসল কথা। হটাত এই মেলার কথা মনে পরতেই মনে পরে গেলো সেই ছোট বেলার কথা। আমার “ইয়ার” চাচ্চু ছোট বেলা আমাকে নিয়মিত মেলায় নিয়ে যেতেন। সার্কাস দেখাতেও নিয়ে যেতেন।
তো সার্কাস শুরু হওয়ার পূর্বে সুন্দর সুন্দর মেয়ারা এসে নাচতো। তো সেই সময় আমার “ইয়ার” চাচ্চুর বন্ধুরা ঐসব মেয়েদের সাথে নাচার জন্য আমাকে জোড় করে প্যান্ডেল এ তুলে দিতো। আমি তো ভয়েই কেঁদে ফেলতাম। আর চাচ্চু যেয়ে, আমাকে নামিয়ে আনত।
কিন্তু এখন বড় হয়ে গেছি, তাই মনে পরে সেই দিনগুলির কথা। এখন আর কেউ জোড় করে অইরকম কোন মেয়ের সাথে নাচতে তুলে দেয় না ।
এখন মনে মনে বলি, কেউ একটু জোড় করে নাচতে তুলে দিক এবার পুরাই সবাইকে নাচিয়ে ফেলবো।
এখন ঢাকায় থাকার কারণে মাঝে মাঝেই মেলাটা মিস হয়ে যায়। যদিও যাই লোকলজ্জার ভয়ে সার্কাস দেখতে আর যাওয়া হয় না।
তাতে কি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তো নাচতেই পারি, তাই না।
২০১১ এর ফেব্রুয়ারী তে এক ভাইয়ের আপুর বিয়ের গাঁয়ে হলুদের সন্ধ্যায় চলুন দেখি একটা পাগলা নাচ !!!
পাগলা নাচ