ছোট বেলায় ভয় শুধু ভূতের জন্য পুষে রাখতাম । একা একা ঘুমাতাম । সবসময় দেওয়ালের পাশে খাটের যে পাশটা ছিলো সে পাশে ঘুমাতাম, বাকি পাশটার দিকে মুখ করে । শোয়ার ভঙ্গিটা ছিলো, ডিপেনস করার মুডে । যাতে হঠাৎ করে কেউ আক্রমন করে বসলে, তাৎক্ষনিক প্রতিরোধ করা যায় । এমন করে করে ঠিক ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়তাম ।
মাঝে মাঝে মন হতো, ভূতটা ঠিক খাটের নিচেই আছে । আমি ভয়ে ভয়ে শুকিয়ে যেতাম ।
একদিন খাটের নিচে নেমে গিয়ে দেখে আসলাম । কেউ নেই ।
আমার ভয়টা তখন সমস্ত বাড়িটা জুড়ে ।
আব্বু আম্মু গ্রামের বাড়িতে গেলো, আমি জোড় করে রয়ে গেলাম । পুরো বাড়িতে একা থাকলাম । দেখি আজ কে আসে ।
কেউ এলো না ।
এখন প্রতিদিন রাতে মিছে মিছে ভয় পাওয়ার চেষ্টা করি । আসে না ।
কারণ ছোট বেলায় আমি ভয়কে খুন করতে শিখে গেছি ।
আমার ভুল ছিলো, ভুতটা খাটের নিচে না, ক্লজিটে ছিলো ।
ক্লজিট খুললে দেখতে পেতাম না । ক্লজিটের পিছনে হাজার দরজা আছে । এর কোন একটার পিছনেই ভূতটি এখনো আছে