somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বরকতের কাছে উত্তরসূরির চিঠি

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় বরকত ,
আপনার সাথে আমার প্রথম পরিচয় বাবার মুখে।আমি তখন কতোই বা!ছয় কিংবা সাত।ততোদিনে আমার বর্ণমালার প্রায় সবগুলো অক্ষরের সাথে পরিচয় হয়ে গেছে।স্বর আর ব্যান্জন মিশিয়ে বাংলায় নিজের নামটা লেখা শিখে গেছি।সেই সাথে শিখে গেছি এ ভাষায় দিগন্ত লেখা যায়।এ ভাষায় সমুদ্র লেখা যায়।

এ ভাষা দিগন্তের চেয়েও বিশাল,এ ভাষা সমুদ্রের চেয়েও গভীর।তারপর পেড়িয়ে গেছে বেশ ক'টা বছর।ইতিমধ্যে আমি ইশকুলের গন্ডি পেড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে গেছি।আমার ঘরে এখন আপনার একটা ঝাপসা ছবি ঝুলিয়ে রেখেছি।

মাঝে মাঝে বিকেলের দিকে জানালার ফাঁক দিয়ে রোদ এসে পড়ে আমার ঘরে।আপনাকে তখন রক্ত মাখা মনে হয়।প্রিয় বরকত সাহেব,আমাদের উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিশেবে এখনও বাংলা প্রতিষ্ঠা পায় নি।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশগুলোতে তাই আমার মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসে।আমাদের বাবা মারা অনেকেই সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যম ইশকুলে পড়িয়ে আভিজাত্য অনুভব করে সন্তানের শুদ্ধ করে বাংলা বলতে না পারাতে গর্ব অনুভব করে।আমাদের লুলায়িত প্রজন্ম নিজেকে smart প্রমাণ করার জন্য বাংলার ভেতর ভুলভাল ইংরেজি মিশেল করে।এ প্রজন্মের আমরা লালনকে চিনি না,হাসনকে চিনি না
।আমরা বাংলা গান শুনতে রীতিমত লজ্জাবোধ করি।পশ্চিমা চিৎকার সর্বস্ব অপসংগীতকে ধারন করে আমরা নিজেদের আধুনিক প্রমাণ করতে ব্যস্ত।এ প্রজন্মের একজন হিশেবে তাই আপনার কাছে আমি করজোড়ে ক্ষমা চাইছি।আপনার উত্তরসূরী হিশেবে ভাষার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারিনি।আপনি আমাদের ক্ষমা করবেন না।ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

ভালো থাকবেন। আকাশের তারা ,ছায়া আর রোদ্দুর হয়ে। বাংলার আকাশে ঘাসে ।

ইতি
উত্তরসূরিদের পক্ষে
রিয়াদ আরিফ
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×