somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট ভাইয়ের কাছে এন্ড্রিকের চিঠি...

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছোট ভাইয়ের কাছে এন্ড্রিকের চিঠি...

ভাই, আমরা ধনী পরিবারে জন্মাইনি। আমাদের জন্মই ফুটবলের মাঠে। তুই কখন এই চিঠি পড়বি জানি না, তবে এখন তোর বয়স ৪ বছর। আর আমাদের জীবন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমি স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে যাবো। হ্যাঁ, সেই টিমই, যে টিম তুই আমাকে খেলতে দেখে PlayStation-এ বেছে নিতি।

তিন প্রজন্ম ধরে, হয়তোবা তারও বেশি, আমাদের পরিবার ফুটবলের স্বপ্ন দেখে আসছে। আমরা আমাদের জীবনের পরিস্থিতি বদলাতে চেয়েছি। কিন্তু এখন, তুই যা খুশি করতে পারবি... আর কোনো চাপ নেই। ঈশ্বর, মা, বাবা আর ফুটবলের কাছে কৃতজ্ঞতা। তুই শুধু তোর জীবন উপভোগ কর, যেভাবে খুশি। এটাই তোর জন্য আমার উপহার।

মনে আছে, মা কত পুরনো ভুট্টার রুটি খেয়েছেন। বাবা টিকিট বুথের নিচে ঘুমিয়েছেন। মা বাথরুমে কাঁদছেন। বাবা সোফায় কাঁদছেন। আমরা যে জীবন পাচ্ছি, সেটা হঠাৎ করে আসেনি।

(আমরা মনে করি জীবন সুন্দর,পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন বাবা মায়ের যে আত্মত্যাগ সবর থাকে তা এখন মোটেও নেই। এখন তো আমরা সন্তানই জন্ম দিতে চাইনা,জীবেদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়বে বলে,নিজেদের সন্তুষ্ট জীবনে প্রভাব পড়বে বলে। আমরা নানান ভাবে গর্ভপাত করি,অন্যর জন্মদেয়া নবজাতকে ঘিরে আমাদের কি বা মোহ থাকতে পারে যেখাবে বাবা মায়েরই তাদের নিজেদের উপর মোহ থাকেনা? আমরা আমাদের পছন্দমতো নিজেদেরকে গুছাই,গুছাতে থাকি,চাকরি,বাড়ি,গাড়ি,নারী,পুরুষ থেকে শুরু করে,কিন্তু আমরা কি লক্ষ্য পরিবর্তন করতে পারি? আর এই লক্ষ্য পরিবর্তন করতে না পারার জন্যই আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করে ফেলি,কেউ কঠোর শ্রম আত্মত্যাগ দিয়ে,কেউ পছন্দমতো জীবনকে বেঁচে নিয়ে। এরকম জীবন কি আমরা কখনো আশা করতে পারি? অথবা পেয়ে গেলেও সেই জীবনের উপর মোহ থাকে? মায়া? অথবা সন্তুষ্টি?

ফুটবলের জন্য দুনিয়াজুড়ে ব্রাজিল চাকচিক্যময় হলেও এর পেছনের গল্প ভিন্ন,আজ অব্দি বেশিরভাগেরও বেশিরভাগ তারকা এসেছে ঠিক একই ভাবে,সময়ের বিখ্যাত রাইট ব্যাক দানি আলভেজ,মার্সেলো ভিয়েরা,নেইমার,এন্তনি,সহ অসংখ্য গল্পের কথা আমরা বিগত দিনে শুনে এসেছি,নতুন একটি গল্পের নাম,এন্ড্রিক। এর বাইরেও কত এন্ড্রিকদের জীবন রয়েছে? অথচ আমরা এই চাকচিক্যময় হিসেবেই এই গল্প গুলোকে প্পড়েছি,শুনেছি,কতটুকু নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পেরেছি? শিখেছি? অথবা শুধরে নিচ্ছি নিজেদেরকে? আমরা নিজেরাও জানিনা যে আমরা কতটা ক্ষতির মধ্যে ডুবে যাচ্ছি দিনের পর দিন...
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×