
৯ অক্টোবর বৃহঃস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের আইল্যান্ডের উপর আনুমানিক পঞ্চান্ন বছর বয়সের এক নারীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়,পরে স্থানীয় লোকজন দেখে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর কিছুক্ষণ পর রাত পৌনে দশটায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠের ফুটপাতে একি অবস্থায় অচেতন হওয়া আনুমানিক চল্লিশ বছরের এক মধ্যবয়সী পুরুষকে পাওয়া যায়,ঢাকা মেডিকেলে নিলে ডাক্তার তাকেও মৃত ঘোষণা করে।
ঠিক ঘন্টাখানেক পর শহীদ মিনারের সামনে ফুটপাতে আরেক মধ্যবয়স্ক লোককে পাওয়া যায় আগের দুজনের মতন একিভাবে পড়ে থাকা এবং অচেতন অবস্থায়,নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে এবং বরাবরের মতনই ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছেন।
প্রায় তিন সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে আনুমানিক ৩/৪ কিলোমিটারের ভেতরে একই অবস্থায়,একি ভাবে অচেতন এবং মৃত হওয়ার বিষয়টা শ্রেফ নরমাল কিছুনা। পত্রিকার মারফতে আমি তিনটা ঘটনাকে বুঝার চেষ্টা করলাম কয়েকদিন ধরে। শাহবাগ থানায় মামলা চলমান হলেও তিনটা মৃতদেহের কারোর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ডাক্তাররা পাননি,এমন কোন রোগের চিহ্ন ও ছিলোনা কিংবা ছোটখাটো কোন স্ট্রোক ও পাননি।
ভালো করে খেয়াল করবেন এই কয়দিনে এই ঘটনাটা সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হওয়ার কথা থাকলেও তা কিন্তু হয়নি। আমারা প্রতি মহূর্তে নিত্যনতুন আগুনের সংবাদ শুনছি,জাহাজ ডুবি কিংবা কাস্টমস ভিলেজে আগুন লাগার কত ব্যাপার গুলা। আমরা যেন বড় রকমের একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি নিত্যনতুন ভাবে।
তিনটা হত্যাযজ্ঞের আলোচবায় ফেরা যাক...
আমার এনালাইসিস বা ধারণা যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে আমার মতে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের বিভাগীয় কিংবা জেলাভিত্তিক শহরগুলোতে ঘাতকরা অবস্থান করছে। আমরা কেউ'ই নিরাপদ নই,এটা কেবল কোন রাজনৈতিক নেতা কিংবা ছাত্রনেতাদের ব্যাপার নয়,এটা একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা থেকে একজন মুচির জন্যও এলার্মিং।
বিশেষ করে যারা ঢাকায় থাকেন তাদের জন্য এটা সবকচেয়ে বেশি এলার্মিং বিষয় যে আপনি জানেন ও না আপনার পাশে সিরিয়াল কিলার বসে আছে,দাঁড়িয়ে আছে কিংবা একটুপরে আপনি আর নাই। পুরো ঢাকা এক প্রকার আন্ডারিগ্রাউন্ড জিম্মি শহরে পরিণত হয়েছে,কে কোথায় কাকে কিভাবে মারছে কেউ বুঝতে পারছেনা,দেখছেনা,জানতে পারছেনা,কিন্তু মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
আমি জানিনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কি আদৌ এই বিষয়গুলো জানেন কিনা,আমাদের রাষ্টের টাকা পোষা হাসিনার রেখে যাওয়া গোয়েন্দা বিভাগ কি এই বিষয়গুলা নিয়ে সজাগ আছেন কিনা,আমি জানিনা এভাবে ঠিক কতমাস দিন যাবে।
তবে ৫ আগস্টের পরে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভুলের মাসুল এখন এই দেশের সাধারণ জনগনের লাশের উপর দিয়ে যাচ্ছে,কেউ জানেনা লাশের পরিচয়,কিন্তু লাশ সত্য। আমাদের আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে,নিজেদের রক্ষায় নিজেদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


