
ঢাবি এলাকায় ডাকসুর অভিযান চলছে—দেশে সকালবেলা সূর্য ওঠার মতোই এক “অপ্রত্যাশিত” ঘটনা।
ঘুম থেকে উঠে দেখি টাইমলাইন ভরে গেছে কান্না–কাটিতে। আহা, মদ গাঁজা উচ্ছেদ!
এ যেন বটতলায় গাছ কেটে বটগাছ বাঁচানোর অভিযান।
যে মহৎ আত্মা প্রথম এই ভাবনাটা দিল—“চল ঢাবি পরিষ্কার করি”—তাকে অবিলম্বে নোবেল না হোক, অন্তত মগবাজারে পাঠানো হোক বিশ্রামের জন্য।
ঢাবি থেকে গাঁজা উতখাত মানে তো যেন টিএসসি থেকে কবিতা নিষিদ্ধ করা!
এই পথে হাঁটলে পরের বার হয়তো বলবে—"কমনরুমে রাজনীতি নিষিদ্ধ" বা "চারুকলায় রঙের অপচয় বন্ধ করো"!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা কি ধীরে ধীরে কোনো নতুন মাদ্রাসা বানাতে চায়?
পানি, ধোঁয়া, মস্তিষ্কের নেশা—এই তিন উপাদান ছাড়া তো ঢাবির গবেষণা চলে না!
শিক্ষকরা কীভাবে ‘ডিসকোর্স’ চালাবে, কমরেডরা কোথায় বসে ‘তত্ত্ব’ চর্চা করবে?
আর তোমাদের বলছি, যারা এখন একটু কষ্টে আছো—বাম, প্রগতিশীল, ঘুমকাতুরে, অথবা নিছকই অবসন্ন ভবঘুরে—ধৈর্য ধরো।
নতুন ক্ষমতা পেয়েছে, তাই “মাদকমুক্ত ঢাবি” বলে নাটক করছে।
দুইদিন পরেই দেখবা অভিযান থেমে যাবে, পোস্টার উঠবে, আর টিএসসির বাতাসে আবার ভেসে বেড়াবে পরিচিত ঘ্রাণ।
কান্নাকাটি কম করো একটু
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৫ ভোর ৫:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


