
রাত গভীর হয়, শহরের আলো নিভে আসে, আর আমি বসে থাকি এক অনন্ত নীরবতার ভেতর। এই নীরবতা শান্ত নয়—এটা দগ্ধ করে, যেমন নিঃশেষ হয়ে যাওয়া আগুনও ছাইয়ের নিচে গোপনে জ্বলে থাকে। সবকিছু আছে—তবু কিছুই নেই। এক শূন্যতা এসে আমার ভেতর থেকে রঙগুলো মুছে দেয়, যেন অস্তিত্বের কোনো মানে আর বাকি নেই।
“বিষাদ”—এই শব্দও ছোট হয়ে যায় আমার অনুভূতির সামনে। এটা শুধু কষ্ট নয়, এটা আত্মার গভীরতম কোণে লুকিয়ে থাকা এক ধীর বিষের মতো, যা নীরবে বইতে থাকে প্রতিটি স্পন্দনে।
গালিবের কবিতায় আমি এই অচেনা যন্ত্রণার ছায়া দেখি—যেন তিনি আগেই জানতেন, ভালোবাসা হারানোই শেষ নয়, আসল বেদনা হলো অনুভূতির মৃত্যু। যখন হাসি থাকে, কিন্তু প্রাণ থাকে না; রোদ নামে, কিন্তু উষ্ণতা আর ফেরে না।
আমি এখন সেই সীমানায় দাঁড়িয়ে—যেখানে ব্যথা অভ্যস্ত, শান্তি অচেনা। গালিব, তুমি যদি এই সময়ের মানুষদের দেখতে, বুঝতে—এরা আর কাঁদে না, শুধু নিঃশব্দে পুড়ে যায়।
তোমার কবিতার অক্ষরে আমি আশ্রয় খুঁজি, হয়তো সেখানেই মুক্তি আছে—যেখানে শব্দ ও নীরবতা মিলেমিশে যায়, আর বিষাদ নিজেই এক অনন্ত সৌন্দর্যে রূপ নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



