
১৯৭১ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি বদলেছে বহুবার। বদলেছে সমাজব্যবস্থা,রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাও। কিন্তু একটা ধারা কখনো থেমে থাকেনি,সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ধারাও বদলেছে বহুবার কিন্তু যা রয়ে গিয়েছে তা কেবলই ইসলামি রাজনীতি ও নেতৃত্বের ধারা।
এই স্বাধীন বাংলায় অনেকে রাজনীতি করেছেন,অনেকে শুধু ধর্ম চর্চা করেছেন,কিন্তু এই যে ইসলামি ধারার রাজনীতি ও নেতৃত্ব তা কেবল কিছু সংখ্যাক দল কিংবা মানুষরাই বহন করে চলেছেন।
আর তাদের মধ্যে একজন হলেন ডাক্তার সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ছাত্রজীবনে করেছেন ছাত্রশিবিরের রাজনীতি,এবং পরবর্তীতে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করায় ইসলামের বলয়ে জীবন ব্যবস্থা এবং ছাত্রজীবন শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির রাজনীতি শুরু করেন ডাক্তার তাহের।
তার হাত ধরেই কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ধীরে ধীরে ছাত্রশিবিরের জনশক্তি বাড়তে থাকে এবং জামায়াতে ইসলামির জনশক্তিও। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম পেরিয়ে কুমিল্লা-১১ আসন তথা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার এমপি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করেন ২০০১ সালে। দীর্ঘ পাঁচ বছর এমপি থাকা অবস্থায় অত্যন্ত স্বচ্চতার মধ্যে দিয়ে পার করে। দীর্ঘ ষোলো বছরের ফ্যাসিবাদ আমলে নানান জেল জুলুমের পরেও দমানো যায়নি,বরং বারংবার দুদক দিয়ে নতুন মামলায় ফাসানোর চেষ্টা করেও সামান্যতম কোন অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি দুদক। আর তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন অত্যন্ত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার সাথে।
আমরা যদি ডাক্তার তাহেরের রাজনৈতিক চোখে দেখি তবে সেখানে তিনি একজন রাজনৈতিক মেন্টর হিসেবে কাজ করেন। যেমন তিনি মনে করেন তরুণদের রাজনীতি তে আসা,শুধু রাজনীতিতে আসা এবং স্লোগান ধরাই নয়,বরং কাজের মাধ্যমে পরিবর্তন দিয়ে রাজনীতির টোটাল পরিবেশকে পরিবর্তন করে ফেলা।
ডাক্তার সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের একজন চিন্তাবিদ,কর্মপ্রেরণা এবং যুব রাজনীতির মেন্টর। তিনি মনে করেন ইসলামের আলোকে যদি কেউ রাজনীতি করেন তবেই এই দেশটা পরিবর্তন হয়ে যাবে,যেখানে ইসলাম কেবল একটা নাম কিংবা বিন্দু হয়ে নয় বরং ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা,রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমেই কেবল একটা কল্যানকর স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা সম্ভব,এবং যদি সেটা ইসলামের মাধ্যমে করা হয়। আর এই জন্য উনি মনে করেন তরুনদের আরো রাজনীতিতে আসা উচিৎ।
ডাক্তার তাহের ডিবেটের মানুষ,উনি মনে করেন একটা সুষ্ঠ পরিবেশের মাধ্যমে আলোচনা সম্ভব,আলোচনার মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করা যায়। তিনি মনে করেন,ইসলামী রাজনীতি মানে আধুনিক বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নয় বরং সময়কে ইসলামী দৃষ্টিতে রূপান্তর করা।
ডাক্তার সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের একজন চিন্তাবিদ,যুব মেন্টর,ডিবেটার এত সবের পরেও তিনি জনসংযোগ এর মাধ্যমে জনপ্রিয় আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ও বটে। তিনি বিশ্বাস করেন তরুণদের,নতুন প্রজন্মকে,তিনি ছুটে বেড়ান জনতার কাছে। তিনি ভালোভাবেই যানেন ইসলামি রাজনীতির মাধ্যমে সেটা মানুষের কাছে কিভাবে ছড়িয়ে দিতে হয়,কিভাবে তরুণদের সংগঠিত করতে হয়।
যখন ডাক্তার তাহের বলেন,
" ইতিহাসে নাম লেখাতে নয়,বরং পরিবর্তনের ইতিহাস গড়তেই আমি রাজনীতি করি " আজকের এই রাজনীতির ভিড়ে ডাক্তার তাহের যেন এক ভিন্নধারার রাজনীতিবিদ। প্রজ্ঞা,বিশ্লেষণ,কর্ম ও আদর্শের সমন্বয়ে তৈরী একজন ইসলামী স্ট্র্যাটেজিস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


