
ফেব্রুয়ারিতে আমি আসলে নির্বাচনের কোন কনফার্মেশন দেখছিনা,গয়েশ্বর দাদা গতকাল বললেন,যদি বেগম জিয়ার কিছু হয় তবে নির্বাচন পেছাতে পারে। এইটা কেবল তিনি বেগম জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে বলেছেন বলে আমার মনে হয়না।
অন্যদিকে তারেক রহমান তার একক সিদ্ধান্তে দেশে আসতে পারছেন না,বাম পাড়া থেকে তৃণমূলে একটা জুজুর ভয় ছড়িয়ে দেয়া হলো দূর্বৃত্তায়নের। কথা হল এই জুজুর ভয়টা কেন ছড়ানো হচ্ছে?
অনলাইনে একটা ন্যারেটিভ ঘুরতেছে 'র' এর পাশাপাশি,জামায়াত নাকি তারেক রহমানের দেশে না আসার অন্যতম একটা কারণ,তো জামায়াতের যদি ক্ষমতার স্বাদ এতই মর্যাদাবান মনে করতো তাহলে লীগের সাথে আপোষ করে কেন তাদের শীর্ষ নেতাদের বাচালোনা? দীর্ঘ সময় কেন নিজেদের জীবন দিয়ে খালেদার জন্য শহীদ হলো? তারেক রহমানের জন্য জামায়াত কখনোই হুমকি হবার দূরতম সম্ভাবনা আমি দেখছিনা।
বিএনপির আরেকটা দাবি,
তারা বলে যে,রাষ্ট্রের সকল কাঠামোতে ফ্যাসিনার লোকজন বসে আছে,এইটা খাতারনাক সিচুয়েশন হতে পারে তার জীবনের জন্য। তো আমার কথা হল এই রাষ্ট্রীয় সংস্কার তো করতে দিলোনা বিএনপি,বরং UNO ও তারা পছন্দমত দিতে চায় লটারিতে না। এইটা সর্বশেষ 'না' বিএনপির।
প্রফেসরের প্রেস উইং শফিকুল আলম জানিয়েছে,তারেক রহমানের দেশে ফিরতে সরকারী কোন বাধা নেই। আজকে আবারো প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হল,তারেক রহমান চাইলেই এক দিনেই ট্রাভেল পাস ইস্যু করে দিবে সরকার,এবং আরো জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে যে,কেউ চাইলে কেন তার দেশে ফিরতে পারবেনা,অবশ্যই সম্ভব,বাকিটা তারেক রহমানের উপর।
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের এমন সিচুয়েশনে তারেক রহমান তাহলে কি জন্য দেশে ফিরছেন না? এই ব্যাপারে বিএনপির আসলেই খোলাসা করা উচিৎ,দেশের মানুষকে আর বিভ্রান্ত না করাই ভালো সিদ্ধান্ত হবে বিএনপির জন্য। তবে বিএনপি যদি এইসব বিষয়ে খোলাসা না করে তবে বুঝতে হবে এর ভেতরে অন্য কোন রহস্য আছে, যা তাদের ভেতর থেকেই তারেক রহমানের জন্য বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


