আমাদের সকলকে স্ব স্ব স্থান হতে দেশ, সমাজ ও নিজের স্বার্থে সত্ ও আদর্শবান হতে হবে। অসত্ পয়সা কার জন্য? ঘুষ-দুর্নীতি কার স্বার্থে? এতে ব্যক্তিগত লাভ কি? টাকা গাড়ি বাড়ি আর কতটুকু ব্যবহার করা যায়? কিন্তু লোকে চোর ও ঘুষখোর বললে তখন আপনার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? ছেলে-মেয়েকে যখন ঘুষখোরের ছেলে-মেয়ে বলে মানুষ অবজ্ঞা করবে তখন ছেলে-মেয়েই ধিক্কার দিবে, তখন কেমন লাগবে নিজের? হাইকোর্ট ও জর্জকোর্টের রায়ে জয়ী হলেও শেষ বিচারের পার পাওয়া যাবে না। ঘুষের টাকার কারণে ও গরমে নিজ সন্তানাদি যদি মাদকাসক্ত হয় তখন আমাদের যন্ত্রণাই বাড়বে।
তাই সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন। ঘুষ-দুর্নীতি ছেড়ে দিন। অবৈধ অর্থের বাড়ি-গাড়িতে শান্তি নেই। অবৈধ উপার্জন থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। একজন সত্ লোকের গাড়ি, বাড়ি, অর্থ কম থাকলেও আত্মার শান্তির দিক থেকে সে অনেক বড়। এ বিষয়টি গভীরভাবে একবার চিন্তা করা আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। আমরা সবাই ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মত ঘৃণিত কাজকে মন থেকে ঘৃণা করি। এদেশের ঘামঝরা শ্রমজীবী মানুষের অর্থেও রাষ্ট্র চলে, এ অর্থ অনেক কষ্টের। এ অর্থ যেন দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থেই ব্যয় হয় সেদিকে নজর রাখতেই হবে। তাই দেশ, জাতি, সমাজ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণার্থে বিগত দিনের কলঙ্কগুলো মুছে ফেলতে চাই সত্ ও দক্ষতার সাথে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। এই মর্মকথাটির উপলদ্ধি যেন হয় দেশ ও জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



