এগার একের দ্বিতীয় পর্ব
দীর্ঘ প্রায় সতের দিন পর যে লেখাটি আজ লিখতে বসলাম, এটি লেখার কথা ছিল আরো বেশ আগে, যখন উনত্রিশ তারিখের বিষ্ময়কর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি একদলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার কায়েম হলো বাংলাদেশে। নির্বাচন কেমন হলো- না হলো- বা কতটুকু ফেয়ার হলো সে বিতর্ক থেকে দূরে থেকেও, আমি এবং আমার বন্ধুদের আগ্রহ ছিল, এগার একের এই দ্বিতীয় পর্বের রূপটা কেমন হয় সেটি বুঝা। ইতোপূর্বেই আমাদের কারো তো অজানা নেই যে, ইলেভেন বেশ একটা সিম্বল হয়ে উঠেছে বিশ্ব ইতিহাসে। দুইহাজার এক-এ-ও এই সংখ্যাটি নিছক একটি ক্যালেণ্ডারের পাতা ছিল, সেপ্টেম্বরের নয় তারিখে এসে সেটি তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস তৈরী করল। বলা ভাল, ইতিহাসের ঘন্টা দুলিয়ে দিল। সর্বগ্রাসি জাতিরাষ্ট্র, সার্বভৌমত্ব, এবং তার অধীনে বেড়ে ওঠা ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবাদের ধারণারে টুনকো করে দিলো। তার ভিত্তিতেই এক সুপার স্টেটের ধারণাবাহি আমেরিকা শুরু করল ইনফিনিট ওয়ার এগেইনস্ট টেরোরিজম। মানে, কেবল সেই ধরণের টেররিজম, যা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখে, জাতিরাষ্ট্র। তাই, দুই হাজার নয়েও এই ইলেভেন তার দৌড়াত্ম্য বজায় রেখে চলেছে, ওয়ার এগেইনস্ট টেরোরিজমের কল্যানে। এই ইলেভেনের সাথে নিজেরে মেলানোর জন্য, আমাদেরকেও এখানে এগার একের ক্যুকে ওয়ান ইলেভেন নাম দিয়ে ডাকতে হল। কৌতুহলের বিষয় হলো, ইণ্ডিয়ারও এখন একটি নিজস্ব নাইন ইলেভেন হলো, তাদের মিডিয়াগুলো তাইতো উদযাপন করেছে, গত মুম্বাইয়ে বোমা হামলার পর থেকে। বলেছে, ইণ্ডিয়ার নাইন ইলেভেন। এবং এটার পরই আমেরিকা ওয়ার এগেইনসট টেরোরিজমের আর এক শক্তিশালী মিত্র এবং সহযোগী পেলো ভারতকে।
এই এগারর একাধিপত্যের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে, দুইহাজার ছয় সালের জানুয়ারী থেকে নয়ের অন্য জানুয়ারী, সময়ের এই অক্ষপথটির রাজনৈতিক পাঠ আমরা না যদি করতে পারি, তাহলে এই এগার এক- দ্বিতীয় পর্বের যে রহস্য এবং মাজেযা, তা বুঝা একটু কঠিন হবে। প্রথম পর্বে আমরা দেখতে পাই, সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের সেনাপতি আমেরিকা তার অনন্ত যুদ্ধের যজ্ঞে কোনরকম দরকষাকষি ছাড়াই মিত্র হিশেবে পেয়েছে বাংলাদেশের তৎকালীন এগার একের রেজিম এবং এর পেছনের মীর জাফরদের। সেই অন্যায় মৈত্রীর ফলে ক্ষুদ্ধ বাংলাদেশের মানুষ যখন উনত্রিশ তারিখের নির্বাচনে একটু নিঃশ্বাস নেবার ফুরসত পেলো, তখন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করল এগার একের রেজিমের বিরুদ্ধে, সেই তাবেদার শক্তিকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রত্যাশায়। এক এগারর রেজিম কর্তৃক সুবিধাভোগী, একই সাথে সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞ ও দক্ষ সুচতুর দল হিশেবে আওয়ামীলীগ এই অনন্য মুহূর্তের বেনিফিশিয়ারী হতে পেরেছে। এখন দেখার বিষয়, এই বেনিফিশিয়ারী আওয়ামীলীগ সরকার 'সাউথ এশিয়ান ব্লক' বা 'ইন্দো-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সন্ত্রাসবিরোধী টাস্কফোর্সের' নামে সেই এলাইয়ের স্বার্থ রক্ষার জেহাদে শামিল হয়ে তাদের প্রতি দেওয়া জনগণের অযাচিত এবং অভূতপূর্ব আমানত বিসর্জন দেয় কিনা। লক্ষণীয় বিষয়, ইতিমধ্যেই ছাব্বিশ দিনের আওয়ামীলীগ সরকার এইসব বিষয়ে পরাশক্তিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সহযোগিতা চেয়েছে। বহু বিতর্কিত এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের সাথে জড়িত ট্রানজিট ইস্যূতে কোন প্রকার জাতীয় সংলাপ ছাড়াই ভারতের কাছে এ ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাব এবং 'ইচ্ছা'র কথা জানিয়েছে। সর্বোপরি বহুত আগ থেকেই এগার একের রেজিমের যাবতীয় অবৈধ কাজকে বৈধতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামীলীগ, সে কথাতো কারোর অজানা নয়।
তবে, এগার একের প্রথম পর্বের তুলনায় দ্বিতীয় পর্বের ডাইনামিকস হলো, প্রথম পর্বের রেজিমের গণভিত্তি ও সাংবিধানিক বৈধতা ছাড়া অপরাপর সব সম্ভব পরা-ভিত্তিই প্রবলভাবে ছিল। বিপরীতে দ্বিতীয়ার্ধের এই পর্বের কলা কুশলীদের অপরাপর সব পরা-ভিত্তির সাথে সাথে নির্বাচনী গণতন্ত্র অর্থে গণতন্ত্রের লেবাস এবং সেই হিশেবে গণভিত্তির লেবাসও আছে। এতেই বিপদগুলো নতুনতরো মাত্রা এবং পোশাক নিয়ে হাজির হয়। এগার একের রেজিম যেটি অবৈধ উপায়ে পরাশক্তির আশ্রয়ে করতে গিয়েছিল, এই নির্বাচনী গণতন্ত্রের একদলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার জনগণের সম্মতির কথা বলেই, তাদের ভোটের হাতিয়ার দিয়েই, সেই কুকাজ সম্পন্ন করার সামর্থ এমনকি হিম্মত রাখে। সেই মনোভাব এবং হিম্মত ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইচ্ছেয় অনিচ্ছেয় প্রকাশ করেছে।
এই বিপদের গোঁড়া হলো, গণতন্ত্র বিষয়ে আমাদের যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা ও তৎপরতা নির্বাচনের ধারণাকে কেন্দ্র করেই লুটোপুটি খায়, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও গণমুক্তির মত ব্যাপারগুলির সুরাহা তাই আমরা নির্বাচনের মহৌষধ দিয়েই সমাধা করতে যাই সব সময়। ফলত, সাম্প্রতিক সময়ে পরাশক্তির তাবেদার রেজিমের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ আন্দোলনের যাবতীয় পরিপ্রেক্ষিতে মাঠ ঊর্বর হয়ে থাকলেও, বিএনপির মত রাজনৈতিক দল অদূরদর্শী জামাতের ফাঁদে পা দিয়ে উনত্রিশ তারিখের নির্বাচনে বুঁদ হয়ে থাকে।
এলা বলি, কেন আমি এই লেখা এতদিন দিতে পারি নাই
উপরে কথা হচ্ছিল গণতন্ত্র নিয়ে, আমাদের ইতিহাসভিজ্ঞতা এই কথাও বলে যে, এই 'গণতন্ত্র' ফ্যাসিবাদকেও নিমন্ত্রণ করে আনে কখনো কখনো। এই নির্বাচনী গণতন্ত্র যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের একনায়কতন্ত্রই জারি থাকে বৈধভাবে, সেটি এমনকি গঠনগত দশাতেই ফ্যাসিবাদের পথ উন্মুক্ত রাখে। জার্মানী, স্পেন এবং ইতালীর ফ্যাসিস্ট পার্টিগুলোর রেজিমের ইতিহাস অধ্যয়ন করলে, এই নির্বাচনী গণতন্ত্র কীভাবে গণভিত্তির দোহাই দিয়েই ফ্যাসিবাদকে অধিষ্ঠিত করে এবং ভীন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করে, তৎপরতাকে নিয়ন্ত্রণ করে, গুপ্তহত্যা করে, তার প্রকৃতি বোঝা যাবে। আমরা দেখি, এগার একের দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে সরকারটি গঠিত হলো, তা হল একদলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার। এমন কি এই সরকারের অতীত কীর্তিকলাপেও বাকশাল গঠনের মত হঠকারী উদাহরণ রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এই অভিনব একদলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনই ডেকেছে পচিশে ডিসেম্বর, বাকশাল গঠনের ঐতিহাসিক দিনে। বিজয়ের অব্যবহিত পরেই, উপজেলা নির্বাচনে যে বল প্রয়োগের উদাহরণ তারা রেখেছেন, এখানেও, এই একদলীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের ফ্যাসিষ্ট উপকরণগুলো স্পষ্ট হয়ে আসে ক্রমশ।
কিন্তু এর সাথে সামহোয়ারে আমার পোষ্ট দেওয়ার সম্পর্ক কোথায়? অনেকদিন আগে, রাষ্ট্রের পোপগিরি: রাষ্ট্রের পোপ কে হইবেন? শিরোনামে একটি ছোট নোট লিখেছিলাম ব্লগে। তারো কিছুদিন পর, যখন সামহোয়ার কিছু নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করল, তার প্রতিক্রিয়ায় আমি আরো একটি লেখা লিখেছিলাম। এইসব পোষ্টে আমার বক্তব্য ছিল, যখন রাষ্ট্র ট্রুথ কমিশন গঠন করে আমাকে বিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত হতে বলে, এবং আমাকে কনফেশন করতে বলে, তখন রাষ্ট্রের পোপ হওনের আকাঙ্ক্ষা তথা ধর্মাকাঙ্ক্ষা, কনফেশন এবং রাষ্ট্রকে নাগরিকের কনফেশন করানোর দায়িত্বার্পন- এর পেছনে রাষ্ট্রের যে বাসনা ও চরিত্র দাঁড়ায় তার পর্যালোচনা জরুরী হয়ে পড়ে।
এই সময়েই, আধুনিক রাষ্ট্রের এই ধর্মাকাঙ্ক্ষার গোড়ায় আরো যে বহুবিধ ক্ষমতা সম্পর্ক আছে, তাকে পরিশুদ্ধ এবং পবিত্রায়ন করে, আরো নিরাপদ করার নিমিত্তে বাংলাদেশে যে ঘটনাটি ঘটল, তা হল নাগরিকদের ফোনে আড়িপাতার নির্দেশ, এবং ছয় মাস ধরে আমি, আমার সমগ্র অনুভূতির পাতা, প্রেম, ক্ষোভ এবং অনুযোগ, আমার গোপন কোড, বিবিধ নকশাগুলো, যা আমার মায়ের কাছে প্রতিদিন জমা রেখে আসি, বিশ্বাসী হতে চাই বলে; রাস্ট্র, এক মহা ক্ষমতাশালী পোপের রেকর্ডারে বন্দী থাকবে, যতক্ষণ না, আমি বিশ্বাসী, অর্থাৎ রাস্ট্রের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হবো।
এই অভিন্ন প্রেক্ষিতেই তখন সামহোয়ারইন ব্লগ এর মডারেটরগণ ব্লগারদেরকে বিশ্বাসী হতে বলছিলেন এবং তার জন্য আমার ফোন নাম্বারটি চেয়েছিল। বিশ্বাসী না হতে পারলে, আমার পোস্ট সংকলিত পোস্টে সরাসরি স্থান পাবে না, আর ডিফল্ট অনুসারে, সংকলিত পোস্টই আসল পেইজ হিশেবে ভিজিটরদের কাছে উপস্থিত হবে, মানুষ অবিশ্বাসীদের লেখা দেখবে না। অবিশ্বাসীদেরকে, পোস্ট দিয়ে বিনীতভাবে অপেক্ষা করতে হবে, এবং মডারেটরদের যথাযথ সময় হবে যখন, তারপর যথার্থ মডারেশনের পর, যদি দেখেন, আমি, মানে সেই অবিশ্বাসী লোকটা ঈমানদারের মতন কাজ করেছি, রাষ্ট্র, এবং অথরিটির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না, তাহলে অবিশ্বাসীর পোস্ট জেল থেকে ছাড়া পাওয়া যেতে পারে।
একজন ব্লগার হিশেবে আমার লেখালেখি এবং ব্যক্তিগোপনীয়তার গভীর খবর, আমার অবস্থান এবং পরিচয়, নকশা এবং গোপন কোডগুলো পোপ হতে চাওয়া রাস্ট্রের দরকার হয় কখনো কখনো, নিজের পবিত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধে জয়ী হতে, আমার অবস্থান চিহ্ণিত করে, আমাকে খুন করে যাতে একই সাথে রাষ্ট্র, ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার এর নিরাপত্তা, এবং ইনফিনিট জাস্টিস এনশিউর করা যায়।
আমি প্রশ্ন রেখেছিলাম, সামহোয়ারেরও কখন আমার ফোন নম্বর দরকার হয়? রাষ্ট্রের যখন ধর্মাকাংক্ষা জাগে, রাষ্ট্রের ভিতরে প্রতিষ্ঠান আর রাষ্ট্রের সম্পর্ক তখন এক জায়গায় এসে সেই ধর্মাকাংক্ষাকে বাঁচানোর জন্য কাজ করে। কিন্তু, আমি তখন পরিষ্কার করে আমার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলাম, বলেছিলাম, আমার মা আমাকে এই ধর্মাভিলাসি রাষ্ট্রের ইনফিনিট জাস্টিসের বিরুদ্ধে লড়তে বলেছেন এবং গেরিলা হামলা করতে বলেছেন। আমি গেরিলা সেজে লিখছি, নিজের সব পরিচয় লুকিয়ে, ক্যামাফ্লোজ পরে, এই শাদা পোশাকের অরণ্যের ভিতর। আমি আমার মায়ের কাছে বিশ্বাসী, কিন্তু রাষ্ট্র এবং তার সবরকমের সহযোগী বন্ধুদের কাছে অবিশ্বাসী। এবং তাই থাকতে চাই। তাই আমার ফোন নাম্বারটি দিতে পারবো না বলে, সামইনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে যে বিপদজনক নীতিমালার বিরোধিতা করে আমি উপরোক্ত বক্তব্য দিয়েছিলাম, সেই নীতিমালার অপপ্রয়োগ এবং গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছিলাম আমি এবং আমার একটি পোষ্ট, গত ১১ জানুয়ারী ২০০৯ তারিখে, সামহয়ার অথরিটি কর্তৃক। সেই কারণেই দীর্ঘ সতের দিন ধরে সম্পূর্ণ 'নিরাপদ' হওয়া পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে, এই পোষ্টটি লিখতে।
পুনশ্চ: সামহয়ারইন হেজিমনি
সামহয়ারইন তার নীতিমালায় যে মতকে ধারণ করে, তা হলো ধ্রুপদি গ্রেকো-রোমান এবং সেই সাথে রেনেসাঁস ও এনলাইটেনম্যান্ট আনিত আধুনিকতার মূল মটো ফ্রি উইল। যার ভৌত প্রকাশ মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন। ওয়েস্টার্ন এনলাইটেনমেন্টর অন্যতম প্রপাগেটর ভলতেয়ারের ভাষ্যে এটি হচ্ছে এরকম: তোমার মতামতের সাথে আমি একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি প্রাণ দেব। স্বভাবতই ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলীর পাতায় সামইন প্রথম যে কথাটি লিখেছে, তা হল: চিন্তাধারা যতই চরম-পন্থী(radical) কিংবা রক্ষণশীল (conservative) হোক না কেন, তার স্বাধীন মত প্রকাশকে আমরা সমর্থন করি, যতক্ষণ না তা রাষ্টীয় আইন বা অন্যের ব্যাক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। রেডিক্যাল এর অনুবাদ 'চরমপন্থী' হতে পারে কিনা আমার গুরুতর সন্দেহ আছে, তবে এই বাক্যে তাদের এই অনুবাদ চরমপন্থাকেও অনুমোদন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। মজার ব্যাপার হলো, সামহয়ার আদৌ এমন নীতিমালাকে কেয়ার পর্যন্ত করে না কখনো কখনো, যখন কোন ভীন্ন মত তাদের গোষ্ঠি সার্থে আঘাত করে সমালোচনা হাজির করে।
এক্ষেত্রে ইতালীয় মার্কসিস্ট আন্তোনিও গ্রামসির পর্যবেক্ষণ হলো, বলপ্রয়োগই মূলত হেজিমনিক ডোমিনেন্সির মৌল চরিত্র, সংকট মুহূর্তে তার ছদ্ধবেশ খসে পড়ে, এবং সম্মতির মুখোশ থেকে বেরিয়ে নাঙ্গা দমন নীতিই একমাত্র নির্ণায়ক হয়ে উঠে।
পুনশ্চ: আরো কিছু হদিস
সামহোয়ার কি "একমত একমত" মার্কা ব্লগ হতে চাইছে?
মিডিয়া, ব্লগ ও সামহয়ারইন
ঘোড়ার ডিম আর আদিপাপের ফ্যালাসি: রিফাত হাসানের পোস্ট গুম হওয়া প্রসঙ্গে সামহোয়ারইন ব্লগের একটি পর্যালোচনা।
গাজায় গণহত্যা, আমাদের নির্বাচনী আবেগ ও যুদ্ধাপরাধ 'বিরোধী' চেতনার রাজনীতি এবঙ কন্ঠস্বর মুছে দেয়ার সন্ত্রাস
সামহোয়ারইন নি:সন্দেহে 'ব্লগ'। মুশকিল হইলো 'মডারেটর'গো নিয়া। তারা প্রায়ই ভুইলা যান যে এইটা ব্লগ । তাই তারা অকারনে পোস্ট ডিলিট করেন । সাধারন বানান ব্লগারদের।
ফাহমিদুল হকের বহুলপঠিত একটি পোস্ট এবং ব্লগের লিখিয়েরা: একটি পর্যবেক্ষণ
বিশ্বাসীদের অন্তর্ভূক্ত হবার আমন্ত্রণ: আমি কেন গ্রহণ করতে পারছি না প্রিয় সামহোয়ারইন
ব্লগাব্লগিতে বিস্কুট-দৌড় সংস্কৃতি
বর্ষসেরা লেখা সমাচার: মানস চৌধুরীর পোষ্ট ''দেখে'' আমার প্রতিক্রিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৪