সুন্দরবনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মনযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আরো মনিটরিং মানে নজরদারি জোরদার করতে। এটা আশার কথা।
প্রথম আলোএকটা গোল টেবিল করেছে। সেখানে দেশের বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞরা অনেক সহজ সহজ সমাধানের কথা বলেছেন। কেউ বলেছেন কচুরিপানা দিয়ে তেল আটকানো যেতো। বুম ব্যবহার করা যেতো।আরো অনেক দেশীয় প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে। এসবই আশার কথা ।
এবার কিছু নিরাশার কথা বলি। তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়ার একটা ব্যবস্থা কেন করা হলো না? এখনতো দেশের যেকোন প্রান্তে মোবাইল ফোন আছে। ইন্টারনেট আছে।
বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া হলে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা কমে না।
মোট কত হাজার জেলে এখন তেল ধরতে নেমেছে সুন্দরবনে? আমার কোন ধারণা নেই। ধরি ২০ হাজার। তাদের কে গাম বুট, গ্লভস এবং ফোম দেয়ার সামর্থ্য কি আমাদের ছিলো না।
ছিলো। অবশ্যই ছিলো। সরকারের সামর্থ্য নিয়ে এ সময়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নাই। কিন্তু তারপরও কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মানুষগুলোকে ফোম হিসাবে ব্যবহার করার বুদ্ধি যিনি দিয়েছেন, তিনি আরেকটু মানবিক হলে পারতেন।