somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হঠাৎ স্বর্ণকেশী! (পর্বঃ ছয়)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্বকথাঃ হঠাৎ স্বর্ণকেশী!-৫

দিনে দুপুরে বেশিক্ষণ চন্দ্রাহত হয়ে থাকা গেল না। পলক না ফেলে মাছের মতো তাকিয়ে আছি দেখে লতা চোখের সামনে দুই আঙুলে বার কয়েক তুড়ি মেরে বলল, ‘এই যে, কি হলো আবার, ভিমড়ি খেয়ে গেলেন নাকি?’ বিহ্বল আমি একবার ঢোঁক গিলে ধন্যবাদ বা ওরকম কিছু একটা বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মুখ দিয়ে বেরোল, ‘উফ্, আউউ...!’ আশ্চর্য! লতা একটা রাম চিমটি মেরে দিয়েছে। বলা কওয়া ছাড়াই। ঠিক একটু আগে কামড় খাওয়া জায়গাটায়। ব্যথায় রীতিমতো ঝাপসা দেখছি। মানে কী? চিমটি দেওয়ার কী হলো! এদিকে লতা চোখে–মুখে দুষ্টামি মেখে আরেকবার চিমটি দেওয়ার জন্য আঙুল বাঁকিয়ে আবার আসছে। আর আমার মেজাজে কুলাল না। খপ করে লতার হাত শক্ত করে চেপে ধরে চাপা গর্জনের সঙ্গে বললাম, ‘কী হচ্ছে এসব!’ আরও একটা প্রচণ্ড ঝাড়ি দেব, কিন্তু ‘ইশ্‌, লাগছে, ছাড়ো!’ আমাকে থামিয়ে দিল। ঘাবড়ে গিয়ে হাত ছেড়ে কয়েক পা পিছিয়ে এলাম। দেখি লতার মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ। আর তার থেকেও স্পষ্ট তার হাতে আমার পাঁচ আঙুলের ছাপ। লাল হয়ে জেগে উঠেছে।

লতা ধপ করে কাছের চেয়ারটায় বসে পড়ল কলের পুতুলের মতো। খালি পার্থক্য, এই পুতুলের মুখটা ফ্যাকাশে, ব্যথায় কোঁকড়ানো। মনে হয় একটু বেশি জোরেই চাপ দিয়ে ফেলেছি। হাতটা আস্তে আস্তে ডলছে মেয়েটা। খুব আড়ষ্ট হয়ে ইতস্তত করছি দুঃখিত বা ওরকম কিছু বলব বলে। কিন্তু কিছুতেই মুখে আসছে না। ওসব দুঃখিত–ফুখিত আমার ধাতে পোষায় না। নাহ, ধুর, কাজটা ঠিক হয়নি। কই সে পরির মতো আকাশ থেকে নেমে এসে আমার মাথাটা ফেটে চৌচির হওয়া থেকে বাঁচাল আর আমি সামান্য কৌতুকে ক্ষেপে গিয়ে তাকেই মেরে বসলাম? তাহলে দেড় ফুটি বিচ্ছুটার সঙ্গে আমার আর কী তফাৎ থাকল? একরাশ লজ্জা আর সংকোচ এসে ঘিরে ধরল। কী করি, কী করি।

কী মনে করে টটস্ত হয়ে কাউন্টারে রাখা ঠান্ডা কোকের বোতলটা ছোঁ মেরে এনে লতার হাতটা টান মেরে তাতে বোতলটা চেপে ধরলাম। কিন্তু রক্ষা হলো না। আচ্ছন্ন লতা চমকে কেঁপে উঠল। ফলাফল ধাক্কা লেগে বোতল উল্টে গেল। সেই উল্টে যাওয়া বোতল বিপজ্জনক ভঙ্গিতে বার দুই শূন্যে ডিগবাজি দিয়ে ওয়েস্টার্ন সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যের মতো বুলেট হয়ে ঠুশ করে কপালের ঠিক মাঝ বরাবর বাড়ি খেয়ে আমাকে আবার সর্ষেফুলের খেতে পাঠিয়ে দিল। তারপর নব্বই ডিগ্রি ঘুরে উড়ে গিয়ে কোণার টেবিলের সেই বদরাগী বুড়োটার পায়ের কাছে আছড়ে পড়ে পুরোনো ডিসি ১০ মডেলের বাংলাদেশ বিমান হয়ে অনেক দূর সশব্দে ছেঁচড়ে থামল অবশেষে। ততক্ষণে আমি চোখে পুরোপুরি কবরের অন্ধকার দেখছি। তার ওপর কোক পড়ে চুল হয়েছে কাকভেজা আর ভিজে চুপচুপে শার্টের অবস্থাও বারোটা। জ্ঞান আছে না গেছে বুঝতে পারছি না। শুধু জানি এখন আমার উচিত লতা নামের এই আজব মেয়েটার হাত নয় বরং গলা চেপে তীব্র একটা ঝাঁকুনি দেওয়া।

কিন্তু বেশি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মনে হলো কেউ যেন ধাক্কা দিয়ে কুয়ার ভেতর ফেলে দিয়েছে আর আমি হুটোপুটি খেয়ে শূন্যে পড়ে যাচ্ছি। এর মাঝেই কেউ যেন গায়ের সব শক্তি দিয়ে গালে প্রচণ্ড শব্দে একটা রাম চড় মেরে বসল। মাথা ঝাঁকি দিয়ে অতি কষ্টে চোখ খুলে ঝাপসা দেখতে পেলাম নাক বরাবর লতার মুখ। সারা মুখে বিচিত্র স্বস্তির হাসি। ‘চড়টা কাজে দিয়েছে তাহলে। টলে পড়ে যাচ্ছিলে। কেমন বুদ্ধি করে চড় মারলাম দেখলে? দেখো এখন কেমন দিব্যি জ্ঞান টনটন করছে।’ জ্ঞান টনটন করছে কিনা বলতে পারি না, কিন্তু একটা মেয়ের কাছ থেকে রেস্তোরাঁশুদ্ধ লোকের সামনে এমন বিরাশি শিক্কার চড় খেয়ে মান ইজ্জত যে পুরোপুরি গন কেস, সেটা নিশ্চিত। আর মাথাটাও দেদারসে ভনভন করছে। আচ্ছা, লতা কী আমাকে ‘তুমি’ করে বলল এখন? খেয়াল করেনি বোধ হয়। যা হোক, কী মনে হতে এত কাছে পেয়েও গলাটা টিপে দেওয়ার চিন্তা ঝেড়ে ফেললাম।

লতা এই ফাঁকে ক্যাফের মালিকের কাছ থেকে চেয়ে একটা আইস ব্যাগ এনে কপালে চেপে ধরেছে। ক্লাসের অবাধ্য দুষ্ট ছেলের মতো মাথা সরিয়ে আনলাম। গাঁক-গাঁক করে বললাম, ‘লাগবে না, প্লিজ ছাড়ুন।’ বেশি রুক্ষ শোনাল কিনা ভেবে নিজেকে অবাক করে দিয়ে যোগ করলাম, ‘ধন্যবাদ। তবে চড়ের জন্য না। তখন ছুটে এসে ধরলেন যে, সে জন্যে।’ সঙ্গে জোড়া তালি দেওয়া একটা কৃত্রিম হাসি। ভিজে জবজবে হয়ে যাওয়া শার্টের ভেতর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আঠালো চুলের ভেতর একটা অনিচ্ছার হাত চালিয়ে বললাম, ‘মাফ করবেন, হাতমুখ না ধুলেই নয়। একটু ওয়াশ রুম থেকে আসছি। আপনার নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছে। অর্ডার দিন, আমি আসছি।’

পরের দৃশ্যটা এরকম কপাল ফুলে বুড়ো গন্ডারের ভোঁতা শিঙের মতো উঁচু হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমার তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। লতার এনে দেওয়া আইস ব্যাগটা অবহেলায় টেবিলে পড়ে আছে। আর আমি বড় বড় কামড়ে বিশাল এক প্লেট ডোনার কাবাব হাপিশ করে দিচ্ছি। মাঝে মাঝে ঠান্ডা কোকে সশব্দে সুড়ুৎ সুড়ুৎ সুখটান। ইচ্ছে করে করছি। উদ্দেশ্য, সামনে এক বাটি ঘাস পাতা নাকি সালাদ নিয়ে বসা লতা নামের এই স্বল্প পরিচিতাকে বিরক্ত করা। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। এই মেয়ে অল্প অল্প করে সালাদ মুখে পুড়ে বিচিত্র এক শান্তি মুখে ফুটিয়ে জাবর কাটছে। তার খাওয়ার ধরন দেখে স্কুলের কৃষিবিজ্ঞান বইয়ে পড়া দেশি জাতের ব্ল্যাক বেঙ্গলের নেপিয়ার ঘাস চিবানোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। লতার মুখে কথা নেই, পরিচিত হওয়ার তাড়া নেই। খাওয়াটাই যেন জীবনের অন্তর্নিহিত মোক্ষ। আমিও আছি, কিছু জিজ্ঞেস না করলে আমিও মুখ সেলাই করে থাকব। খেয়ে দেয়ে বিল মিটিয়ে এই মেয়েকে ‘শ্যোনেন টাগ’, মানে ‘শুভ দিন’ বলে বাসার দিকে হাঁটা দেব। তারপর এ্যাইসা ঘুম দেব যে একদম কাল সকাল দশটা বাজিয়ে উঠব। ধুত্তোরি, সকাল থেকে কী সব লতাপাতায় জড়িয়ে পড়লাম! এগুলোতে আমার অ্যালার্জি হয়। হাত–পা চুলকায়।

‘পা'টা যে কী বেকায়দায় ভাঙল জানো না তো। শুনলে গড়াগড়ি দিয়ে হাসবে।’ জাবর কাটা শেষে বাটিটা এক পাশে সরিয়ে রেখে বলল লতা। কাহিনি শুনে গড়াগড়ি দিয়ে হাসার লোক আমি না। কিন্তু সত্যি বলতে কী, জানতে ইচ্ছা হচ্ছে ঘটনাটা। যদিও উত্তরে আমি নির্বিকার একটা ‘হুম’ বলে দায় সারার ভান করলাম। লতা আমার হুমটাকে কৌতূহল ধরে নিয়ে বলতে লাগল, ‘মাসখানিক আগে ছুটিতে সুইজারল্যান্ডে গেলাম বোল্ডারিং করতে।’

আমি এবার কাবাব চিবানোতে আলাব্বু দিয়ে নড়েচড়ে বসলাম। বোল্ডারিং মানে কী, ওই যে হুক-দড়ি কোনো কিছু ছাড়া খালি হাতে পাহাড় বাওয়া, ওইটা না? এই মেয়ে কী পাহাড় বাইতে গিয়ে পা ভেঙেছে? বাপস্, এতো মারাত্মক এক পরদেশি জেনানার সামনে বসে আছি। অথচ ছোটখাটো গড়নের এই হালকা-পাতলা মেয়ে দেখে মনে হয় জোরে একটা ফুঁ দিলে শিমুল তুলার মতো উড়ে যাবে। তার স্ফটিক পেলব ত্বক আর এক মাথা সোনালি চুলের বন্যার সঙ্গে আর যাই হোক খালি হাতে পাহাড় বাওয়াটা ঠিক কল্পনায় আসে না। কিন্তু কী বলা উচিত ভেবে পেলাম না। খালি গল্প শোনার আশায় ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকলাম ক্যাবলাকান্তের মতো।

আমাকে হতাশ করে লতা কথা থামিয়ে উঠে গিয়ে একটা কফি নিয়ে এসে ধোঁয়া ওঠা চুমুক দিতে লাগল। আশার কথা, তারপর আবার শুরু হলো কথার ফুলঝুড়ি। ‘আমরা সুইস আল্পসের ম্যাজিক উড জায়গাটা বেছে নিলাম বোল্ডারিংয়ের জন্য। একদম বোল্ডারিং স্বর্গ বলতে পারো। কোন পাহাড়ের কোন খাঁজ বেয়ে বেয়ে উঠতে হবে, সব ম্যাপ করা আছে। এমনকি একটা বইও আছে জায়গাটার ওপর। আমরা নয়জনের দল নিয়ে হুল্লোড় করে এক সকালে শুরু করলাম। আস্তে আস্তে মাকড়সা গতিতে বেয়ে বেয়ে দুপুর নাগাদ পৌঁছে গেলাম চূড়ায়।’ এই খানে লতা তার স্মার্টফোনটা বের করে গোটা কয়েক ছবি দেখাল আঙুলের ডগায়। ভয়ংকর খাঁড়া একটা চূড়ার একদম কিনার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিকে তোলা ছবিতে লতা আর তার দল বিজয়ের ভি চিহ্ন দেখাচ্ছে। আমার ভাত খাওয়া বাঙালি কলিজাটা একদম শুকিয়ে গেল আতঙ্কে। মনে পড়ে গেল দেশে বুয়েট থেকে একবার কুমিল্লা যাওয়া হয়েছিল। পাহাড় বাওয়া বলতে ওই লালমাই-ই শুরু আর শেষ। সেই তুলনায় এই মেয়ের আল্পসের কোনো এক মাঝারি সাইজের পাহাড় চড়া আমার কাছে কিলিমাঞ্জারো বিজয়ের মতো শোনাল। তাও আবার খালি হাতে। এখন বুঝতে পারছি একটু আগে চিতার ক্ষিপ্রতায় ছুটে এসে আমাকে ক্যাচ ধরে ফেলার তালিমটা সে কোথা থেকে পেয়েছে। বাবা রে, কী মেয়ে রে। একে বেশি ঘাঁটানো যাবে না। বললাম নিজেকে। কিন্তু তাক লেগে নিজের অজান্তেই। মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল, ‘তারপর?’ যেন ঠাকুর মার ঝুলি শুনছি।

ফোঁস করে নিশ্বাস ছেড়ে লতা হাত উল্টে বলল, ‘কিন্তু নামতে গিয়েই ঝামেলাটা বাঁধল, বুঝলে। জিরিয়ে টিরিয়ে বিকেল নাগাদ নেমে আসা শুরু করলাম। আমি কীভাবে যেন একটু পিছিয়ে পড়লাম। প্রায় নেমে এসেছি। এমন সময়ে, বাকিদের ধরতে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে হড়কে গেল পা।’ আমি শিউরে উঠে লতার গড়িয়ে পড়াটা যেন দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পেলাম। ‘তারপর কী হলো?’ লতা একটা রহস্যময়ী হাসি দিয়ে বলে চলল, ‘তারপর আর কী, তোমাদের বলিউডি নায়িকার মতো গড়িয়ে গড়িয়ে খাদের মতো একটা জায়গায় এসে থামলাম। খালি আফসোস যে, কোনো ধিতাং ধিতাং গান বাজছিল না সেখানে। আর খাদের ভেতর তোমার মতো কোনো নায়কও ছিল না যে কিনা ডিসকো ড্যান্স থামিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে আসবে, হি–হি–হি। এল কে, হেলিকপ্টার অ্যাম্বুলেন্স আর মাঝবয়সী টাক পরা এক প্যারামেডিক। ধুর, কিছু হলো, বলো?’

লতার কাহিনি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। কিন্তু এখানে আমি লতার পকপকানি থামিয়ে দিতে বাধ্য হলাম। জানালাম যে, আমি ভারতীয় নই আর ডিসকো নাচও জানি না। লতা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে বসল, ‘তাহলে তুমি কোন দেশি? তাই তো বলি, তুমি,...তুমি একটু অন্যরকম।’ বলেই আমার চুল-নাক-মুখ-গালের টোলের ওপর হরিণী চোখ বুলিয়ে একটা প্রচ্ছন্ন প্রশংসার হাসি হাসল। আমার জায়গায় মাসুদ রানা থাকলে খুব ভাব নিয়ে এতক্ষণে মেয়ে-পটান্তিমূলক কোনো পিক আপ লাইন ঝেড়ে দিত। কিন্তু আমি মাসুদ রানা নই, বরং টাঙ্গাইল্যা অনীক আহমেদ। আর লতাও কোনো সোহানা নয়, বরং জার্মান শার্লট। সুতরাং, সেই লাইনে না গিয়ে লতার ক্ষণিকের লাজুক হাসিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে গলা খাঁকারি দিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দিলাম, ‘আমি বাংলাদেশি’। এবার উল্টো আমাকে হতবাক করে লতা বলে বসল, ‘কি! তাই নাকি? আমি তো গত বছর কক্সবাজার গিয়েছিলাম। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার-এর হয়ে।’ শুনে আমার চোখ ছানাবড়া অবস্থা।

ছানাবড়া চোখ ঠেলে আবার কোটরে পাঠিয়ে বললাম, ‘সত্যিই?’ লতার উত্তর, ‘হ্যাঁ, গত বছর ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েই একটা টিমের সঙ্গে তোমার দেশে গেলাম। পাক্কা দুই সপ্তাহ ছিলাম। পুরো অন্য ধরনের একটা অভিজ্ঞতা। আমরা এত সামর্থ্য থাকার পরও কয়টা আর লোককে আশ্রয় দিচ্ছি জার্মানিতে, তোমরা তো সেই তুলনায় ভীষণ উদার। অনীক, তুমি একটা ভালো দেশের মানুষ।’ আমি লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে তাকালাম। খালি হাতে পাহাড় বাওয়া এই মেয়ের পক্ষেই সম্ভব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সপ্তাহ কাটানো। লতাকে যতই জানছি, ততই একটা ঘোরের ভেতর পড়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই ঘোরটা আমার ভালো লাগছে। (চলবে)

ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকার: মিউনিখ, জার্মানি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৩০
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×