শুনিয়াছি প্রেমে পড়িলে নাকি মানুষ বোকা হয়, কবি হয়, আবার উন্মাদও হয়। তবে আমাদের প্রিন্স আবুল উহার একটিও হয় নাই, হইয়াছে লুইচ্চ্যা!!! এঞ্জেল জরিনার প্রেমে গ্রিন সিগন্যাল পাইবার পর হইতে তাহার এই লুইচ্চ্যামি আরও বাড়াবাড়ি আকার ধারন করিয়াছে।
রাস্তার চিপা-চাপায় দাড়াইয়া গল্প গুজব করিতে তাহার বড্ড ভালো লাগে। আর সুযোগ মিলিলেই এঞ্জেল জরিনার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হাত চালাইতে থাকে সে। আবুলের এইসকল কর্মকান্ডের বিরোধীতা করিয়া তীব্র নিন্দা জানায় এঞ্জেল জরিনা এবং ভবিষ্যতে এইসকল কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তাহার সহিত সকল সম্পর্কের অবসান ঘটাইবে বলিয়াও হুমকি প্রদান করে সে। কিন্তু কে শুনে কার কথা, প্রিন্স আবুল যথারীতি তাহার হস্ত পারদর্শিতা প্রদর্শন করাইয়া যাইতে লাগিলো!
এইতো সেদিনের ঘটনা, এঞ্জেল জরিনার সাথে হাটিবার সময় রাস্তার ধারে একখানা চিপা গলি দেখিয়া থমকে দাড়ায় প্রিন্স আবুল। সহসা দুষ্ট বুদ্ধি আসিয়া ভর করে তাহার মাথায়। ছলে বলে, কৌশলে এঞ্জেল জরিনাকে সেই চিপায় লইয়া যায় সে। অতপর শুরু হয় তাহার টিকটিক খেলা!
এঞ্জেল জরিনা যতই তাহাকে নিষেধ করে, তাহার উৎসাহ তাতে ততগুনেই বাড়িতে থাকে। অবশেষে আর কোনো পথ খুজিয়া না পাইয়া, হাটু দ্বাড়া প্রিন্স আবুলের 'মিডেল স্ট্যাম্প' বরাবর কষিয়া একখানা ফ্রি কিক বসায় এঞ্জেল জরিনা!!! ফলে দিবালোকে, রাস্তায় পড়িয়া, খালি চোখে 'শনির বলয়' দেখিতে পায় প্রিন্স আবুল!
আর এমনি করিয়া, শুধুমাত্র লুইচ্চ্যামির কারনে প্রতিদিন হাজারো প্রিন্স আবুল, এঞ্জেল জরিনাদের ফ্রি কিক খাইয়া, রাস্তাঘাটে তাহাদের আঁটি হারাইয়া, একআঁটি আবুলে পরিনত হইতেছে!
অলস অতিমানব