ছোট্ট ছেলেটা সারাদিন খেলতো, আর সপ্ন দেখতো বড় হয়ে একটা রঙ্গীন গাড়ীর চালক হবে সে। গাড়ীটা চলবে দেশ থেকে দেশান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে, অচেনা সব লোকালয় জুড়ে। রঞ্জু, টুম্পা, ইফাত, সালটু, মিমি, শিমুল, তুহিন সবাই সে গাড়ীতে উঠবে। তবে পিংকি কে তার গাড়ীতে উঠতে দেবে না। কারন ওদের নতুন মুরগীর বাচ্চাগুলোকে একটুও কোলে নিতে দেয়নি সে!
দিন যেতে থাকে আর বাচ্চা ছেলেটাও বড় হতে থাকে। একটু বড় হতেই সে বুঝতে পারে একটা রঙ্গীন গাড়ী কিনতে অনেক টাকা প্রয়োজন। আরো একটু বড় হতেই বুঝতে পারে গাড়ী চালাতে হলে জ্বালানী তেল কিনতে হয়, সেজন্যেও টাকা প্রয়োজন। পরিবারের বড়রা তাকে শেখায়, বেচে থাকার জন্য টাকা উপার্জন করতে হয়। তাই শুরু হয় বেচে থাকার লড়াই। সময়ের সাথে সে লড়াইটাও জমতে থাকে। এদিকে রঙ্গীন গাড়ীর সপ্নটাও সাদাকালো হতে থাকে ধীরে ধীরে!
ছোট্ট ছেলেটা আজ অনেক বড়। তবে বেচে থাকার লড়াই আজও শেষ হয়নি। এতো লড়াইয়ের মাঝে সেই রঙ্গীন গাড়ীর সপ্নটা আর বাচতে পারেনি। আজ প্রচন্ড রোদ পড়েছে। মনে হচ্ছে সুয্যি মামা আজ সব পুড়িয়ে ভষ্ম করে দেবে। এই রোদের মাঝেই ছেলেটা হাটছে। পিচঢালা রাস্তায় সে রোদের ঝলকানি পড়ে চোখ ঝলসে দিচ্ছে বারবার। রাস্তার পাশে কয়েকটা পুচকে বাচ্চাকে খেলতে দেখে ছেলেটা হঠ্যাৎ থমকে দাড়ায়। আর মুখ নাড়িয়ে বিড় বিড় করে বলতে থাকে,
ড়োন্ট গ্রো আপ কিডস্! ইটস্ আ াকিং ট্রাপ..