ঢাকা শহরে একটা কাজের বুয়া পালন করা আর বিট্রেনের কুইন এলিজাবেথকে পালন করা প্রায় সমান ব্যাপার। যারা বিট্রেনের কুইন এলিজাবেথকে পালন না করে নিজে রান্না করে খান তাদের পেরেশানিটা আমি জানি। তাই এইসকল কাঁচা রাধুনী ভাইদের কথা চিন্তা করে আজ ১টি সুবিধাজসক রেসিপি শেয়ার করলাম। এই রেসিপি হলো খিচুড়ী! দুনিয়ার সব রান্না গুলোর মধ্যে সহজতম ১টি রান্না হলো খিচুড়ী। টমি মিয়া টাইপের মেধাবী রাঁধুনী না হলে, সাধারনত এই রান্না খারাপ হয় না!!
প্রথমেই চাল, ডাল ধুয়ে নিন। এবার চাল ডালের সাথে তেল, লবণ, মসলা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ, রসুন বাটা, জিরা বাটা এবং একটু খানি আঁদা বাটা মাখিয়ে নিন। ভালো কথা, লবণ, তেল, হলুদ এবং মরিচ এই উপাদানগুলো দেবার সময়, নিজের আক্কেল (!) নামক এক প্রকার বস্তুর ব্যবহার বাধ্যতামুলক। এবার সব একসাথে মাখিয়ে, পাত্রে পানি দিন। মনে রাখবেন, পানির পরিমান এমন হবে যেনো খিচুরীর উপাদানগুলোর ওপর ৩ ইঞ্চি পানি জমে থাকে।
ব্যস, এবার খিচুড়ীর পাত্র চুলায় তুলে দিয়ে গান শুনতে থাকুন। বলে রাখা ভালো, খিচুড়ী রান্নার সময় গান শোনাটা প্রায় বাধ্যতামুলক !!! কারন আপনি কি টাইপের খিচুড়ী খেতে চান তা নির্ভর করছে গান শোনার ওপর। ধরুন আপনি ভুনা খিচুরী খেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫-৬ টি Rock সঙ্গীত শুনতে হবে। আবার ধরুন, আপনি একটু ঢ্যাল ঢ্যালা টাইপের খিচুড়ী খেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ৪-৫ টি রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনতে হবে। এই গানগুলো রান্নার মন্ত্রের মতো কাজ করবে। মন্ত্র ভুল হলে কিন্তু রান্না পুরাই হরিবোল হয়ে যাবে।
কনফিউজ হবেন না, একটু মজা করলাম। গান শুনতে যে সময় অতিবাহিত হবে, তাতেই খিচুরী রান্না হয়ে যাবে। তবে রান্না শেষ করার ২ মিনিট আগে একটু সরিষা তেল অথবা লেবুর রস দিতে পারেন। এতে একটি আলাদা ফ্লেবার তৈরি হবে। কেউ ইচ্ছে করলে, খিচুড়ীর উপকরনগুলো মাখিয়ে নেবার সময় আলু, গাজর, টমেটো বা অন্যান্য সবজীও দিতে পারেন। এতে ভিন্নতা আসবে এবং একই জিনিস বারবার খাচ্ছেন বলে বিরক্তিও আসবে না। ব্যস্, তৈরি হয়ে গেলো সহজ রান্না খিচুড়ী। এবার রান্না নামিয়ে গরম গরম থাকতেই, আরাম করে খেতে বসুন!
বিঃ দ্রঃ খিচুড়ী যদি বেশি মজা হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে আমাকে ডাকতে ভুলবেন না। আর যদি অখাদ্য, কুখাদ্য টাইপের কিছু তৈরি হয়, তাহলে যেই সকল বন্ধু সবসময় খাই খাই করে তাদের দাওয়াত দিতে খাওয়াতে পারেন।