কোন বৌদ্ধ বিহারে যখনি যাবার সুযোগ হয়েছে আমার প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে বৌদ্ধ ধর্ম এবং গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে জানবার। গৌতম বুদ্ধের জীবন ও দর্শন নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করার পর মানুষটা সম্পর্কে যতই জেনেছি ততই তাকে ভাল লেগেছে। তার জীবন ও দর্শন জানার পর আমি তার ছোটখাট ফ্যান হয়ে গেছি। সাম্প্রতি মায়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিদেশী কিছু সংবাদ মাধ্যমে কয়েকজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর বক্তব্য “Muslims and ISIS are the same. They just have different names”। যে সমস্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু এসব ভেবে সেনাবাহিনীর সাথে এক হয়ে অসহায় রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করছেন তারা তো ইসলাম সম্পর্কে জানেন ই না, বরং নিজের ভিতরেও বুদ্ধকে ধারন করেন না। মাথা মুণ্ডন করে শালুক কাপড় জড়ালেই বুদ্ধের অনুসারী হউয়া যায় না। শুধু মাত্র মানুষের জন্য গৌতম বুদ্ধ রাজার সন্তান হয়েও সব ত্যাগ করেছিলেন। আমি তো শুনেছি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দিনের বেলা ফল না খেয়ে রাতে খায়,যেন ফলের ভেতরে থাকা কোন পোকাও তাদের জ্ঞাতসারে মারা না যায়। গৌতম বুদ্ধ যদি থাকতেন তিনি অবশ্যই রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মায়ানমার সরকারের বক্তব্য আরও হাস্যকর-“ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে”। সূচি যদি শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেতে পারে তবে হিটলার, মুসোলিনিকেও মরণোত্তর নোবেল শান্তি পদক প্রদান করা হোক। অথবা নোবেল শান্তি পদক এর নাম পরিবর্তন করে নোবেল ফানি পদক রাখুন। বিগত কয়েক বছরে নোবেল শান্তি পদক নিয়ে যথেষ্ট হাস্যরস সৃষ্টি করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৬