১.
গোধূলি শেষে সন্ধ্যার আনাগোনা প্রকৃতিতে
কর্ম-ক্লান্ত যুবক একাকী বিষণ্ণতায়
আনমনে হেটে যায়
না , তার নেই কোন নির্দিষ্ট গন্তব্য …
হেটে চলেছে কোন কালো পিচের রাস্তা ধরে
কোন হারিয়ে যাওয়া গন্তব্যে …
কি ভীষণ একাকীত্ব ভর করেছে
চোখে , মনে , প্রতিটি পদক্ষেপে ..
যুবকের দুটো ধূসর চোখ জুড়ে
কত অমীমাংসিত স্বপ্নের জাল বুনেছিল …
সবুজ শ্যাওলা ধরা
অন্ধকার দেয়ালের পৃষ্ঠে
সেই অগুনিত স্বপ্ন আজ বাসা বেধেছে …
রঙ্গিন স্বপ্ন গুলোর মাঝে
ঘামার্ত , কর্ম-ক্লান্ত যুবকের
ঠাই হই নি বলে …
হেটে চলেছে সে
কোন এক গহীন দুঃস্বপ্নের বনে …
২.
নীল আকাশের বুকে চাঁদটাকে স্থান করে দিবে তাই
একেলা দূপুরের সেই তপ্ত সূর্্যটা নিভে গেল …
সৌরগতের সীমানা পেরিয়ে হাজারো আলোকবর্ষ দূরে
চুপি চুপি জ্বলে থাকা
সেই নক্ষত্র গুলোর মাঝে যেন নিসঙ্গতায় ভর করছে …
নেবুলা , গ্যালাক্সি গুল যেন বিষাক্ত স্মৃতির প্রতিবিম্ব..
তবুও আবদ্ধ হয়ে যাই সেইসব প্রতিবিম্বের জালে…
৩.
কোন এক বিষন্ন সন্ধ্যায়
এক পশলা বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে সমস্ত ব্যস্ত শহরের রাজপথ …
একলা দাঁড়ানো সোডিয়াম বাতি গুলোর আলো
প্রতিবিম্ব হয়ে রয় বৃষ্টিসিক্ত পিচ ঢালা রাস্তা গুলোর পৃষ্ঠে …
বিস্তির্ন আকাশে কালো মেঘের মাঝে
উকিঝুকি দেওয়া চাঁদ টাকে বড় বেশি অসহায় মনে হচ্ছে আজ !
তামাকের বিষাক্ত ধোঁয়া
বায়ুমন্ডলে মিশিয়ে দিয়ে ছুটে চলেছি উদ্দেশ্যহীন …
যে সময়ের হয়তো শেষ নেই ,
কিংবা মিশে গেছে কোন এক অজানা ইন্দ্রজালে …
(মূল লিখা )