আগে শুনতাম, এ জীবনে না পাই, মৃত্যুর পর তোমাকে পাবার আশা রাখি। কথাটার এডভান্সড বর্তমান সংস্করণ হলো, বিয়ের আগে না পাই, বিয়ের পর তোমাকে পাবার আশা রাখি। হাসি আর কষ্ট দুইটাই পায় এই ভেবে যে পশ্চিমা বহুগামিতা (বহুজনের সাহচর্য যার) এদেশে স্পর্শ করছে। বিশ্বাস করতাম, বাঙালি নারীর দেহ পরের বিছানায় থাকলেও মন থাকে স্বামীর কাছে। এখন দেখি বহু বাঙালির দেহ স্বামীর বিছানায় থাকলেও মন থাকে পরের কাছে। আদর্শ বাঙালি নারীরা কখনোই এতদূর এগুতে পারে নাই। অগ্রসর হয়েছে পশ্চিমাদের লেজের অনুসারী অর্থাৎ আধুনিকা বাঙালি নারীরা। কোন প্রজ্ঞাসম্পন্ন ব্যক্তির ঝুলিতে বক্তব্য থাকতে পারে যে প্রেম এমন একটা সম্পর্ক যেটা অন্যের সাথে বিয়ে হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যায় না। তাদের বলি, যাকে বিয়ে করতে পারবে না, তার সাথে প্রেম করলে কেন? কেউ বলে, পরিবারের দিকে তাকিয়ে বিয়েতে রাজী হয়েছি। এর মানে কি এটা যে তুমি বিয়েতে রাজী ছিলে না? অর্থাৎ বিয়েতে তুমি মন থেকে কবুল বলো নি? যদি বলো যে কবুলটা শুধু মুখে বলেছো, মন থেকে নয়, তবে আমি বলবো হয়তো তোমাদের বিয়েটা স্রষ্টার কাছে কবুল হয়নি। মানে তোমরা বিবাহিত নও। তোমাদের একসাথে বসবাসের সম্পর্ক বিবাহ বহির্ভূত একজনের সাথে বসবাসের নামান্তর। যদি দাবি করো যে আমরা বিবাহিত, তবে সাবেক প্রেমিককে ভুলতে হবে। স্বামীকে কবুল বলার মানে আমার সমস্ত তোমায় সম্প্রদান করলাম। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবা তার সাথে বেঈমানি। সেই বিশ্বাসঘাতক, দুরাচারীর উপর স্রষ্টার অসন্তুষ্টি নেমে আসুক। প্রেম তখনই করতে পারো, যখন তাকে পাওয়ার আশা করতে পারো। যদি তাকে পেতে ব্যর্থ হয়ে কাউকে কবুল বলে ফেলো, তবে তাকে কবুল বলো না। কবুল ছাড়াই জীবন কাটিও।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬