ছেলেটা আর মেয়েটা হয়তো একই স্কুল বা কলেজে পড়ে, কিংবা সে পাশের বাড়ীর বাসিন্দা বা অতিথি, হয়তো তার সাথে দেখা কোন এক অনুষ্ঠানে। তারপর আড়চোখে তাকানো, দুএকবার কথা বলা। মেয়েটা হয়তো বান্ধবীদের সাথে মিলে মজা করার জন্য ছেলেটার মোবাইল নাম্বার গ্রহণ করে। মিসডকল দেয় কোন এক বিকেলে। কথা বলতে খুব খারাপ লাগে না। তাই সেই বিকেলের ফোনটা বিস্তার পায় প্রতিদিন সকাল, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত। একদিন সময় সুযোগ বুঝে মেয়েটাকে প্রোপোজ করে ছেলেটা। শুরু হয় তুমুল প্রেম। শুরু হয় কফিশপ, শপিং মল, রেস্টুরেন্টে আনাগোনা। আবেগ, খুনসুটি, ঝগড়া নিয়ে এগোয় সম্পর্ক। বিশেষ দিনগুলোতে প্রেমিকা পায় বিশেষ উপহার। আর প্রেমিক পায় প্রেমিকার দেহের বিশেষ অংশের উপর অধিকার। বিপুল পরিমাণ প্রেমিকারা এভাবে নিজেদের সতীত্ব বিসর্জন বা আংশিক বিসর্জন দেয়। একদিন অমিল দেখা দেয়ায় বিচ্ছেদ ঘটে। মেয়েটার বিয়ে হয় অন্য কারো সাথে। পূর্বের প্রেমিককে ভুলে স্বামীর সাথে সুখি হয়। কিন্তু স্বামীটা কি জানে, সে সেকেন্ড হ্যান্ড বউ পেলো? আর প্রেমিক মহোদয়ও বিদেশ ঘুরে এসে অল্প বয়সী একটা মেয়েকে বিয়ে করে। সে হয়তো জানতেও পারে না এই লোকটা তার জন্য অল্প কিছুও সংরক্ষন করে রাখে নি। সবটা দিয়েই অন্য কারো সাথে ফূর্তিতে মেতেছিল বিয়ের আগেই। ব্যস, নষ্ট ছেলে + নষ্টা মেয়ে= নষ্ট সমাজ। (বি.দ্র. আগে বিয়ে করতে গেলে রান্না পারে কিনা, পড়াশুনো করেছে কিনা জিজ্ঞেস করা হতো। এখন কারো সাথে শারিরীক সম্পর্ক আছে কিনা জিজ্ঞেস করা উচিত।)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০৫