somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

DOCUMENTS OF LIBERATION WAR DESTROYED!!!

১১ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

NEW DELHI: The history of the 1971 India-Pakistan war will never be fully written. Most of the official records of the war that led to the liberation of Bangladesh have been destroyed.

The destroyed files include those on the creation of the Mukti Bahini — the Bangladesh freedom fighters — all appreciation and assessments made by the army during the war period, the orders issued to fighting formations, and other sensitive operational details.

Authoritative army sources said all records of the period, held at the Eastern Command in Kolkota, were destroyed immediately after the 1971 war. This has remained secret until now.

According to at least two former chiefs of the Eastern Command and other senior army officers TOI spoke to, the destruction may have been deliberate.

They say the destruction may have happened when Lt General Jagjit Singh Aurora, the Indian army’s commanding officer on the eastern front, headed the Eastern Command. If true, this would be at odds with Aurora’s image as the hero who led his men to victory and the Pakistan army’s surrender in Dhaka.

The sensational fact that the files were missing became known only recently when the Eastern Command was searching for details of the Mukti Bahini camps in order to organize a reception for Bangladeshi veterans.

The Indian Army had housed the freedom fighters in different camps across India, where army instructors trained them in warfare. Later, Mukti Bahini fighters were part of the operations led by the eastern command.

A senior army source told TOI, “We were looking for the details of Mukti Bahini camps. We wanted to know where all were the camps, who were in charge etc. When those files were not available, the eastern army command launched a hunt for the records of the war. That is when we realized that the entire records are missing.’’

Lt Gen (retd) JFR Jacob, who was chief of staff of the eastern command during the war and later its head, admitted the records were missing, when asked if this were true. ‘‘When I took over as Eastern Army commander in August 1974 I asked to see the records. I was told that they have been shredded,’’ he told TOI. He refused to discuss who ordered the destruction of the records.

The army headquarters and various units of the army may have some records of the war, a senior army officer said.

But the picture will never be complete, he said, adding that military records maintained at the nerve center of operations are crucial if one is ever to construct the full picture.
The details are significant as this operation is one of the great success stories of Indian intelligence and the army.

SOURCE: Click This Link
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নথিপত্র ধ্বংস করে ফেলেছে ভারত
নিশ্চিত করেছেন ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান জেনারেল জ্যাকব
আহমদ হাসান ইমরান ভারত
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও অমূল্য উপাদান চিরতরে বিনষ্ট করে ফেলা হয়েছে একাত্তরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের যেসব অফিসিয়াল রেকর্ড ও নথিপত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর কলকাতাস্খিত ‘ইস্টার্ন আর্মি কমান্ড’-এর ফোর্ট উইলিয়ামস্খিত সদর দফতরে মজুদ ছিল, সেগুলোর এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই।
যেসব ফাইল নষ্ট করে ফেলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে­ মুক্তিবাহিনীর সৃষ্টি ও গড়ে তোলার অনুপুঙ্খ তথ্যাবলি সংবলিত নথিপত্র, বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন মূল্যায়ন, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কমান্ডারের কাছে প্রেরিত যুদ্ধ-সংক্রান্ত নির্দেশাবলি এবং এই অভিযানের সংবেদনশীল অন্যান্য বিবরণ।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক সানডে টাইমস-এ গতকাল এ সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বসম্পন্ন পদাধিকারীদের সূত্র সানডে টাইমসকে বলেছে, কলকাতায় অবস্খিত ‘ইস্টার্ন আর্মি কমান্ড’ সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে অভিযান চালানোর নেতৃত্ব দিয়েছিল। আর এর সদর দফতরে যুদ্ধকালীন সময়ের যেসব রেকর্ড রাখা ছিল, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই তা নষ্ট করে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এত দিন কোনো চর্চা হয়নি এবং বলতে গেলে তা এক প্রকার গোপনই ছিল।
ইস্টার্ন কমান্ডের কমপক্ষে দু’জন সাবেক প্রধান এবং অন্য শীর্ষস্খানীয় সেনা কর্মকর্তারা সানডে টাইমসকে জানিয়েছেন, নথিপত্রের এই ধ্বংস সাধন সম্ভবত ছিল সুচিন্তিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই কর্মকর্তাদের মতে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন, তখনই এই ধ্বংসকার্য সম্পন্ন হয়। যুদ্ধের পরও বেশ কিছু দিন তিনি এই পদে ছিলেন।
উল্লেখ্য, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা বীরত্বের সাথে এই যুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন। তিনিই ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সানডে টাইমস এর বক্তব্য হচ্ছে কী উদ্দেশ্যে ও মানসিকতা নিয়ে ঐতিহাসিক এসব নথপত্রের আক্কেলবিহীন ধ্বংসসাধন প্রক্রিয়া চালানো হয়, তার রহস্য উদঘাটনের জন্য বিশেষ অনুসìধানের প্রয়োজন।
এই ফাইলগুলোর চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার স্পর্শকাতর বিবরণ সম্প্রতি জানা গেছে। বাংলাদেশের বর্ষীয়ান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক বিশাল সংর্ধনার আয়োজনের উদ্দেশ্যে ইস্টার্ন আর্মি কমান্ড মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পের বিবরণ সংগ্রহ করতে সচেষ্ট হয়। সানডে টাইমস এ সম্পর্কে লিখেছে, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্খানে থাকার বন্দোবস্ত করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষকরা তাদের সামরিক তৎপরতা চালানোর প্রশিক্ষণ দেন। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানে অভিযান চালায়, মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারাও এই অভিযানের অংশ ছিল। আর এর ফলেই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।’ একজন শীর্ষস্খানীয় আর্মি সূত্র সানডে টাইমসকে বলেছে, ‘আমরা মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পগুলোর অবস্খান ও সবিস্তার বিবরণের সìধান করছিলাম। আমরা জানতে চাইছিলাম, এই ক্যাম্পগুলো কোথায় কোথায় ছিল? কারা কারা ক্যাম্পগুলোর দায়িত্বে ছিলেন ইত্যাদি। যখন এই ফাইলগুলো খুঁজে পাওয়া গেল না, তখন ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডের পক্ষ থেকে ’৭১-এর যুদ্ধের সব নথিপত্র ও রেকর্ডের খোঁজ শুরু হলো। আর এরপরই আমরা উপলব্ধি করলাম, সব রেকর্ডই হারিয়ে গেছে।’
এ সম্পর্কে যুদ্ধের সময়কার ইস্টার্ন কমান্ডের তৎকালীন ‘চিফ অব স্টাফ’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) জেএফআর জেকবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্বীকার করেন, কলকাতার সদর দফতর থেকে এই ফাইলগুলো হারিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ‘যখন আমি ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডের কমান্ডার হিসেবে ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করি তখনই এই রেকর্ডগুলো দেখতে চাই। আমাকে বলা হয়, এই রেকর্ডগুলো ছিঁড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি করে বিনষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তিনি অবশ্য কার নির্দেশে মহামূল্যবান এই রেকর্ডগুলো বিনষ্ট করা হল তা নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষস্খানীয় পদাধিকারী সানডে টাইমসকে বলেছেন, নয়াদিল্লিতে অবস্খিত সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং আরো কিছু ইউনিটের কাছে হয়তো বাংলাদেশ যুদ্ধের কিছু রেকর্ড থাকতে পারে। কিন্তু সম্পূর্ণ চিত্রটি আর কখনোই পাওয়া যাবে না। কারণ, অভিযানের নার্ভ সেন্টারেই (এ ক্ষেত্রে ফোর্ট উইলিয়ামের আর্মি কমান্ড) সামরিক দলিল দস্তাবেজ রাখা হয়। আর এখানে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি থেকেই সমগ্র চিত্রটি উদ্ধার করা যেত। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের অনুপুঙ্খ বিবরণাবলি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তার মতে, এই অভিযান ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর এক বিরাট সাফল্যের কাহিনী। এই দুই সংগঠনই মুক্তিবাহিনী সৃষ্টি করে এবং তাকে প্রশিক্ষিত করে তোলে, যাতে তারা দক্ষতার সাথে অভিযান চালাতে সক্ষম হয়। আর এর ফলেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্রুত আত্মসমর্পণ সম্ভব হয়েছিল। যদিও তারা ছিল সংখ্যার দিক থেকে অনেক বেশি।
যুদ্ধের সময় ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডে কর্মরত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিনষ্ট করে দেয়া এই ফাইলগুলোর সংখ্যা হবে কয়েক ডজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, ফাইল ছিল প্রচুর, আমাদের কাছে সম্ভবত মুক্তিবাহিনীর প্রতিটি ক্যাম্পেরই তথ্যসংবলিত ফাইল ছিল। অভিযানের জন্য কী ধরনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, যুদ্ধকালীন সময় ও পরিস্খিতির বিভিন্ন মূল্যায়ন ইত্যাদি ওই সব ফাইলে নথিভুক্ত ছিল।’
গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত এই আর্মি কর্মকর্তার পরামর্শ হচ্ছে, কী ধরনের পরিস্খিতির জন্য এই ফাইলগুলো ধ্বংস করা হলো তা জানার উদ্দেশ্যে একটি অনুসìধান কমিশন গঠন করা উচিত। এই কমিশন আরো দেখতে পারে, কিভাবে যথাসম্ভব তথ্য পুনরুদ্ধার করা যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনো জীবিত রয়েছেন। খুব বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই এ কাজ করা উচিত।
SOURCE: Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×