somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুড়ানো ৫১ ( কণে দেখা )

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ফোর সিজন্স রেষ্টুরেন্টের কোনের টেবিলটায় আমরা বসেছি ।

আমরা বলতে আমি, আমার স্ত্রী লুনা , ছোটবোন তিতলী আর মিসেস হাসান । আমরা আগে থেকে মিসেস হাসানের সাথে পরিচিত না । পরিচয় পর্ব সারতে দেরী হলোনা । মিসেস হাসান নিজ থেকে পরিচিত হলেন ।

আমাদের এখানে আসার পেছনে একটা উদ্দেশ্য আছে ।

খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দেখে মিসেস হাসানের দেয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে আজ আমরা দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।

ভদ্রতার খাতিরে হোক বা নিয়মের খাতিরে হোক মিসেস হাসানের উদ্দেশ্যে বললাম - কি খাবেন বলেন । অর্ডার করে আমরা কথা শুরু করি ।

- আজকের বিলটা আমি দেয়ার অনুমতি চাইছি ।

- আজ আমি খাওয়াবো । ভাগ্যে থাকলে পরেরদিন আপনি ।

- হা হা হা । তবে তাই হোক ।

খাবারের অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষণ নিরবতার পর আমিই শুরু করি - হুম । আমরা আপনার বিজ্ঞাপনে কিছুটা ধারণা করতে পেরেছি । বাকিটা আপনি বলুন ।

- সম্পর্কে ও আমার আপন ননদ । বিয়ের দশ বছর পর ওর স্বামী মারা যায় । অনেক চেষ্টা তদবীরেও ওদের কোন সন্তান হয়নি । এ নিয়ে ওর স্বামীর কোন আক্ষেপও ছিলোনা । খুব ভালোবাসতো নীনাকে । নীনা কোন কষ্ট পায় এমন কথাও ওর স্বামী কোনদিন বলেছে বলে শুনিনি । দুম করে হার্ট এ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথেই জাহিদ মারা যায় । নীনার বয়স তখন বড়জোড় বত্রিশ ! শ্বশুরকুলের কেউ অল্প বয়সি সুন্দরী বউ ঘরে রাখতে রাজী হলোনা ।

- তারপর ?

- আমি তখন ছোট ছোট দুই বাচ্চা , সংসার আর চাকরী নিয়ে হিমসিম খাচ্ছিলাম । ভেবে দেখলাম নীনার মতো আপন কেউ থাকলে আমি নিশ্চিন্তে বাচ্চা, সংসারের দায়িত্ব ওর হাতে তুলে দিয়ে চাকরী সামলাতে পারি । আমারও উপকার হলো আবার নীনারও নিরাপদ একটা আশ্রয় হলো ।

- তারপর ?

দম নিয়ে মিসেস হাসান শুরু করলেন - সংসার সন্তান নীনার হাতে ছেড়ে দিয়ে আমার চাকরী জীবন শেষ করলাম । ছেলেমেয়েরাও বড় হলো । মেয়ের বিয়ে দিলাম । এবারতো ছেলে বিয়ে দিতে হবে তাইনা ?

- বুঝলামনা ! ছেলের বিয়ের সাথে নীনা আন্টির সম্পর্ক কি ?

- তা যা বলেছো ! সম্পর্ক না থাকলে কি আর এই সিদ্ধান্ত নেই ?

- জ্বী ওটাই জানতে চাইছি ।

- নীনার বয়স এখন পঞ্চান্ন পেরিয়ে গেছে । আগের মতো এক হাতে সংসার সামাল দিতে পারেনা । বাড়তি টাকা দিয়ে এই আকালের বাজারে একজন ছুটা বুয়া রাখতে হয় । তাছাড়া নীনাও আজকাল নানা অসুখ বিসুখে ভোগে । ডাক্তার ঔষধ খরচাওতো কম না ? তাই এই সিদ্ধান্তে আসা ।

- আপনাদের সিদ্ধান্তের কথা নীনা আন্টি জানেন ?

- আদৌ ওকে জানানোর প্রয়োজন আছে কি ? ওর ভার টানার মতো অবস্থা আমাদের নেই । বিয়ে দিয়ে একটা গতি করতে পারলে ভালো । নয়তো গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিবো ।

কাল বিকেলে আমরা মিসেস হাসানের বাসায় যাবো কথা দিয়ে এসেছি ।
.
.
মা মারা গেছেন চার বছর আগে । মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা দুই ভাইবোন পৃথিবীর দুই প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলাম । মায়ের মৃত্যুর পর এই প্রথম দেশে এলাম । বাবাকে আমাদের কাছে নেয়ার বিফল চেষ্টা করেছি এই চার বছর । মায়ের স্মৃতি আকড়ে বাবা পরে আছেন এই চার বছর । মায়ের স্মৃতি ফেলে বাবা কোথাও যাবেননা এই সিদ্ধান্তে তিনি অটল।

বাচ্চাদের পড়া, নিজেদের চাকরীর অজুহাতে আমরা একবারও বাবাকে দেখতে আসার সুযোগ পাইনি বা চেষ্টা করিনি ।

দুইমাস আগে তিতলী জানালো ও দেশে আসছে । আমিও কেমন একটা তাগিদ অনুভব করলাম বাবাকে দেখার ।

তিতলী আসার পরের সপ্তাহে বউ নিয়ে আমিও এলাম ।

মাকে নিয়ে বাবা যে ঘরটায় থাকতেন ওটায় ঢুকেই আমি চমকে উঠি ।

কে বলেছে মা নেই ? বাবার বালিশের পাশে মায়ের বালিশ দুটো আজো আগের মতোই আছে । আলনায় পরিপাটি করে সাজানো মায়ের শাড়ি । জুতো জোড়াও আগের জায়গায় । ড্রেসিং টেবিলে সাজানো মায়ের শখের চুড়ি , আয়নার এককোনে মায়ের কপালে দেয়া শেষ টিপটাও । টিপের আঠা শুকিয়ে গেলে বাবাই হয়তো আঠা লাগিয়ে জায়গামতো আটকে রাখেন । চিরুনী, লিপষ্টিক , পাউডারের কৌটোও আগের মতোই । মায়ের সাদা ধবধবে কার্ডিগানটাও হ্যাঙ্গারে আগের জায়গায় ঝুলানো । একটুও ময়লা লেগে নেই ।

কিন্তু বাড়ির কোথাও মায়ের রিনরিনে গলার শব্দ নেই ! আমার নেহাল এসেছে তিতলী এসেছে বলে উচ্ছাস করার কেউ নেই ! বাবা একা ! খুব একা !

পয়ষট্টি বছরের আমার বাবা মায়ের সব স্মৃতি যক্ষের ধনের মতো আগলে রেখেছেন। অথচ বাবাকে আগলে রাখার কেউ নেই !

মায়ের মৃত্যুর পর বিধবা বড় ফুপু কিছুদিন বাবার কাছে ছিলেন । সংসার সন্তানের প্রয়োজনে তিনি চলে গেছেন ।

হাত পুড়িয়ে নিজ হাতে বাবাই রান্না করে খান । বুয়া রাখলে পাছে লোকে কিছু বলে তাই ওই পথ মাড়াননি ।

হাবীব নামের সতের আঠারো বছরের ছেলেটা এমন একটা কান্ড না ঘটালে নিশ্চিত থাকা যেতো । সেই এক বছরের বেশি বাবার রান্না বান্নাসহ সব দেখাশোনা করতো । বাবার বিশ্বাসের চরম অবমূল্যায়ন করে ঘুমে থাকা বাবার বালিশের তলা থেকে আলমিরার চাবি বের করে বাবার সঞ্চিত টাকা নিয়ে একদিন পালিয়ে গেলো ।

সেই থেকে বাবা বিশ্বাস অবিস্বাসের দোলাচলে আর কাউকে নিজের কাছে রাখেননি । বাবা চলছেন একা একাই এই তিনটি বছর । রোগে শোকেও বাবার পাশে কেউ নেই !

এবার দেশে আসার আগে আমরা ঠিক করে এসেছি বাবাকে আর একা থাকতে দিবোনা । সঙ্গীহীন বাবাকে একা রেখে যাওনা ঠিক না ।
.
.
বাবাকে কিছুই জানানো হয়নি । আজ আমাদের মিসেস হাসানের বাসায় যাওয়ার কথা । সকাল থেকেই উসখুস করছি বাবাকে কেমন করে জানানো যায় । জানলে বাবা যেতে রাজী হবেন কিনা তাও সন্দেহ । বলি বলি করেও আর বলা হলোনা।

মায়ের বাগানে বাবাকে পানি দিতে দেখা যাচ্ছে । তিতলী বাবার পাশে দাড়িয়ে আলতো করে পিঠে হাত বুলিয়ে বলে - চলো বাবা সবাই মিলে ঘুরে আসি তোমার ভালো লাগবে ।

- তা ঠিক বলেছিস । তোরা তৈরী হ , আমি বাকি গাছগুলোয় পানি দিয়ে আসছি । তা কই যাবি ঠিক করলি ?

- আমার পরিচিত এক আন্টির বাসায় ।
.
.
আমরা মিসেস হাসানের সুসজ্জিত বিশাল ড্রইংরুমে বসা । কারো মুখে রা নেই । কিছুক্ষণ পর মিসেস হাসান এলেন ।

- মিঃ নেহাল , ইনি আপনার বাবা ?

- জ্বী ।

- আপনাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতেই হয় । এই বয়সি একজন মানুষ একা থাকা রিক্স । কখন কি হয়ে যায় বলাতো যায়না ? আপনজন কেউ পাশে থাকা দরকার ।

বাবা এবার নড়েচড়ে বসেন - সরি আপনি কি বলছেন বুঝলামনা ।

- মিঃ নেহাল আপনার বাবা কিছু জানেননা ?

- জ্বীনা আন্টি বাবাকে কিছু বলা হয়নি ।

- তবে ?

- আন্টি একটা সময়ে বাবারা যেমন সন্তানের ভালো চান, আরেকটা বয়সে সন্তানও বাবার ভালো চাইতে পারে । ব্যাপারটা এমনই দাড়িয়েছে ।

- তিনি যদি অমত করেন ?

- তা কেন করবেন ? বাবার কোন সিদ্ধান্তে আমরা অমত করিনি তো ?

বাবা ফ্যালফ্যাল করে আমাদের দিকে তাঁকান ।
.
.
আটপৌড়ে একপ্যাচে সুতি শাড়ি পড়া ঘোমটা দেয়া যে মানুষটা এইমাত্র এলেন তার দিক থেকে চোখ ফেরানো দায় । ঘোমটার ফাঁকে উকি দেয়া কাচাপাকা চুলে তাকে প্রথম দেখায় আমার মা বলে ডাকতে ইচ্ছে হলো । চোখ মুখে মমতা আর কোমলতায় জ্বলজ্বলে । তিতলী তার পাশে বসে তার হাত দুটো কোলে নিয়ে বলে - অমত করোনা বাবা ! এই মানুষটারও একজন বিস্বস্ত সঙ্গীর প্রয়োজন যেমনি তোমারও ।

বাবার মুখে কথা নেই । টুপটুপ করে সাদা দাড়ি বেয়ে জল গড়িয়ে পরছে ।

আমি বাবার হাত ধরে মিনতি করে বলি - অমত করোনা বাবা । তোমাকে একা রেখে যেতে আমাদের খুব ভয় হয় বাবা ।

- তাই বলে তোদের মায়ের জায়গায়.........

- আর কথা বাড়িওনা বাবা । মায়ের বালিশের পাশে আরো দুটো বালিশ জোড়া লাগলো নাহয় !

মিসেস হাসানের মনোভাব আমরা আগেই বুঝে গেছি । ছাই ফেলতে ভাঙা কুলোর তার আর প্রয়োজন নেই ।
.
.
নতুন মাকে নিয়ে আমরা রাতেই চলে এসেছি । কাজি ডেকে বিয়ে পড়াতে যতোটুকু সময় লাগে তারচে বেশি দেরী করিনি ।

বাবা বারান্দর ইজি চেয়ারে চুপচুপ বসে আছেন । মায়ের জন্য হয়তো একা বসে কাঁদছেন । ছেলেমেয়েরা তাকে এমন কাজে বাধ্য করবেন তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি । ঘোরের মধ্যে বসে আছেন বাবা । তিতলী আর আমার বউকে সাথে নিয়ে বাবার সামনে দাড়াই - ভুল বলো আর ঠিক বলো সব আমরা করেছি বাবা । নীনা আন্টির এতে কোন হাত নেই । তোমাদের দুজনেরই সঙ্গীর প্রয়োজন ছিলো । আমরা তা করে দিয়েছি । যাও ঘরে গিয়ে নীনা আন্টির সাথে কথা বলো তোমার ভালো লাগবে ।

- তাই বলে এই বয়সে তোরা এমন কাজটা করবি ?

- কথা বাড়িওনা বাবা যাও ঘরে যাও । নতুন পরিবেশে মানুষটা একা রয়েছে ।

বাবাকে নিয়ে আমরা নীনা আন্টির কাছে গেলাম - আমরা কি আজ থেকে আপনাকে মা ডাকতে পারি ?

নীনা আন্টি খাট থেকে নেমে এলেন - পেটে না ধরলে মা হওয়া যায়না বাবা ? দশ বছর সাধনা করেও একটি সন্তানের মা হতে পারিনি ! আর দেখো এক নিমিষেই আল্লাহ্পাক তোমাদের মতো সন্তান আমাকে উপহার দিলেন ? কোন পূন্যের ফল এটা জানিনা বাবা !

- মাগো আমার বাবাটাকে তুমি দেখে রেখো এরচে বেশি কিছু চাইনা ।

আমরা তিন মাসের ছুটিতে এসেছিলাম । ছুটি প্রায় শেষের দিকে ।

বাবা মাকে দিয়ে হানিমুন করাতে চেয়েছিলাম । তারা হানিমুনে যেতে রাজী হয়েছিলেন, তবে শর্ত সাপেক্ষে ।

শর্ত পালন করে সবাই মিলে কক্সবাজারে বাবার হানিমুন পর্ব শেষ করে এসেছি ।

সাতদিন পর আমরা ফিরে যাবো আমাদের গন্তব্যে । আমার মা খুব ব্যাস্ত । তার নাতি নাতনিরা কে কি পছন্দ করে সব তৈরী করে নিপুন হাতে প্যাকেট করছেন । এর মধ্যেই আমাদের পছন্দ জানা হয়ে গেছে । বাবাকে দিয়ে বাজার করিয়ে রান্না করে পাশে বসে খাওয়াচ্ছেন । যেনো কতো জনম জনমের বন্ধন আমাদের ।

- এই তিতলী বউমার পাতে মাছের পেটিটা তুলে দেতো মা । তুইতো আবার পিঠের টুকরো পছন্দ করিস । এই নেহাল মাশকলাইর ডালটা কেমন হয়েছে বললি নাতো ।

- আরে মা ! বাবার দিকেও নজর দাও !

- দেখছিসনা তোদের বাবা কেমন হা করে তোদের খাওয়া দেখছে ? সেই কখন একটুকরো মুরগী নিয়ে এখনও বসে আছে ।

- তুমিও বসে যাও মা । সবাই একসাথে খেয়ে উঠি ।

- নারেহ্ আমি পরে খেয়ে নিবো । তোদের আগে খাইয়ে নেই । আমি আবার দুই কাজ একসাথে পারিনা । তালগোল পাকিয়ে যায়। পরে দেখা যাবে তোরা একটা খেয়েছিস অন্যটা খাসনি !

আহা কতো বছর পর মায়ের আদর উপভোগ করছি ! এমন করেই মা পাশে বসে আমাদের খাইয়ে পরে নিজে খেতেন । মাও নাকি এই দুইকাজ একসাথে পারতেননা ।

পরের সপ্তাহে চোখের জলে নাকের জলে মা আমাদের বিদেয় দিলেন । যাবার বেলায় বারবার মনে করিয়ে দিলেন - বছর বছর না এলে তোদের বাবাকে জ্বালিয়ে মারবো মনে রাখিস ।

লেখাঃ মাহবুবা আক্তার নাজমা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×