somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টি এবং ফুটবল এর গল্প

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাল্ কে রাত এ অফিস এর কিছু প্রগ্রামিং নিয়ে কাজ করছিলাম। কাজ করতে করতে কখন যে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে গেছে টের পাই নাই। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি ভোরের আলো এবং বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখেই মনে পরে গেলো কলেজ এর সকাল এর কথা । প্রতিদিন পিটি এর সময় চিন্তা করতাম বৃষ্টি নামে না কেনো? ইস , একটু বৃষ্টি নামলেই ত সবাই দোয়া করতাম আরেকটু জোরে নামতো যদি। আর পিটি তে যাবার পর যদি বৃষ্টি নামতো, সেদিন তো ঈদ এর মতো মনে হতো। কারন হাউসে এসে ১০-১৫মিনিটের ঘুমটা কি যে ভালো লাগতো।

বৃষ্টি এর সাথে ফুটবল এর ১টা অদ্ভুত সম্পক আছে। তাই বৃষ্টি এর সাথে ফুটবল এর কথা না বললেই না।

আমরা তখন ক্লাস টুয়েলভ এ।আইসিসিএফএম খেলতে গেলাম ১৯৯৯ এ রংপুর এ। (সাইফ আল দিন তুই যে কেনো যাস নাই আমি এখনও চিন্তা করি) আমরা ছিলাম আগের বারের চ্যাম্পিয়ন। তাই আমাদের সাথে প্রথম খেলা সাগতিক রংপুর এর। আগের মাঠ দেখেই টাসকি খেলাম। এতো বড় কেনো মাঠ। ওটা তো প্রায় ২টা ফুটবল মাঠ এর কাছাকাছি। পরে শুনলাম রংপুর ইচ্ছে করেই করেছে এই কাজ এবং ওরা প্রায় ৩ মাস প্র্যাক টিস করেছে ওই মাঠে। (ভাই, রংপুরের কেউ মাইন্ড কইরেন না, আমাদের দোস্তরাই বলছিলো )। যাই হোক, আমরা ১ দিন প্যাক টিস করলাম ওই মাঠে। খেলার আগের দিন সারাদিন, সারারাত বৃষ্টি। সেকি বৃষ্টি। ভালই হ্ল, হাউসে ৮ কলেজ কঠিন আড্ডা দিলাম। (পাবনা কেনো যেনো নিজেরা নিজেরা থাকতো। ) তো ম্যাচ এর দিন আমরা নতুন ড্রেস, বুট , গ্লাভস ইত্যাদি পড়ে মাঠে গেলাম। গিয়ে দেখি, বৃষ্টি বাবাজি তখনো চলছে। আমি গিয়ে পোষ্টে দাড়ালাম। আমার বুট পুরোটাই পানির নিচে। যাই হোক খেলা শুরু করলাম। ভালই চলছিলো। ১০ মিনিটে আমরা গোলও পেয়ে গেলাম। ইতিমধ্যে আমি প্রচুর গালি পাচ্ছি বিনামূল্যে। কারন আমি গোলকিপার। আর আমার পোষ্ট এর পিছনে সাগতিক দশক। বুজতেই পারছেন। অনেক ধরনের গালি শিখলাম ওইদিন। কিছুখন পর ১টা শ ট ধরতে গিয়ে আমি দেখি পানিতে সাতার দিয়ে ডি বক্স এর অনেক বাইরে আর রংপুরের ১ জন ডাইভ দিয়ে বল সহ পোষ্টের ভিতর। ওই ম্যাচ আমরা হেরেছিলাম ৪-২ গোল এ।

ক লেজ থেকে বের হয়ে ভারসিটি তে আসলাম। যেহেতু বেসরকারি, তাই খেলাধূলার তেমন সুযোগ নাই। তো ১ বছর পর হঠাৎ আসলো Inter Private University Football Tournament, খুশি লাগলো আবার খেলতে পারবো। যথারিতি আমি আবার কীপার। তো কোয়াটার ফাইনাল এ খেলা ইবাইস ভারসিটি এর সাথে। যথারীতি বৃষ্টি তে। ওদের টীম এ আবার জাতীয় দলের ৭-৮ জন প্লেয়ার। আমিনুল, জনি, আরমান আরো কে কে জেনো।তারা নাকি এম বি এ করছে। যদিও আমরা জানি খেলার জন্য ই ওদের আনা হয়েছে। আর আমাদের দল এ আমরা ২-৩ জন ছাড়া সবাই ফারমের মুরগি। (ঃ)) সবাই বুজতেই পারছেন ওদের সাথে খেলতে গিয়ে আমাদের কি অবস্তা হতে পারে। তাও আমরা খারাপ খেল্লাম না। ৩-১ এ হারলাম। আর আমি ১টি পেনাল্টি আটকিয়ে বাফুফে থেকে man of the match পেয়েছিলাম (নিজের ঢোল নিজে পিটাও)।ওই বছর আমরা ফেয়ার প্লে ট্রফি ও পেলাম।

তার পর শুরু করলাম অফিস লাইফ। এখানে প্রতি বছ্ র ফুটবল হয়। তো ২০০৭ এ গিয়েছিলাম নারায়নগঞ্জ প্রীতি ম্যাচ খেলতে। গ্রামীন ফোন বনাম নারায়নগঞ্জ ক্লাব। গিয়ে দেখি অইদিন এর এমন অনেক প্লেয়ার আছে যারা বাংলাদেশ এ অনেক নামী দামী। যেমন চুন্নু, জাকির, আসলাম। আবারো সেই বৃষ্টি। বৃষ্টি এর কারনেই অইদিন আমরা সম্মান নিয়ে আস তে পেরেছিলাম। বৃষ্টির জন্য তারা বেশি ভালো খেলতে পারলোনা। ৩-১ এ হারলাম।

তাই আমার হারগুলার সাথে বৃষ্টির ১ টা অদ্ভুত সম্পক আছে।জিতেছি অনেক। ওগুলা নাহয় আরেকদিন বলব পরে


সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×