somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজানা তথ্য হিটলারের

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিটলার সম্পর্কে মজার তেমন তথ্য না থাকলেও চিত্তাকর্ষক কাহিনীর শেষ নেই। হিটলারের জীবন সম্পর্কে, তার চালচলন সম্পর্কে আমাদের যেন কৌতূহলের শেষ নেই। হিটলারের উপর এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-
ব্যক্তিগত বহিঃপ্রকাশ
*হিটলারের গোসল বা নগ্ন হওয়ার সময় কারো প্রবেশানুমতি ছিল না। তিনি কখনও কোন পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার করতেন না।
*যত গরমই লাগুক না কেন তিনি জনসম্মুখে কখনও তার ব্যবহৃত কোটটি খুলতেন না।
*১৯২৩ সালে নাজি প্রেস সেক্রেটারি ড. সেজুইক হিটলারকে ছোট গোঁফ স্বাভাবিকভাবে বড় করার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন। গোঁফ বড় করার বিষয়ে হিটলারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রতিউত্তরে হিটলার বলেছিলেন, ‘আমার গোঁফ নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না, যদিও এই ছোট গোঁফ এখন ফ্যাশন না, তবে পরবর্তীতে এটাই ফ্যাশন হয়ে যাবে’।
*শারীরিক ওজন ছিল ১৫৫ পাউন্ড আর উচ্চতায় ছিলেন ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি।
সামাজিক আচরণ
*যখন তিনি খেতে বসতেন তখন অপ্রাসঙ্গিক বা স্বাভাবিক গল্পগুজব করতেন। কিছু মুহূর্তের ব্যবধানেই তিনি তার জীবনের পথচলার ও অন্যান্য চলমান ঘটনার গল্প করতেন। গল্প বলার ধরণটি ছিল বিরতিহীন।
* তার আলোচনায় ঘুরেফিরে যে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করতেন তা হলো, ‘যখন আমি সৈনিক ছিলাম, যখন আমি ভিয়েনায় ছিলাম, যখন আমি জেলে ছিলাম, যখন শুরুর দিকে দলের নেতা ছিলাম …।’
*যদি হিটলার ওয়াগনার বা অপেরা সম্বন্ধে কিছু বলতে শুরু করতেন কারও সাহস ছিল না তার কথার মাঝে কথা বলার। এমন কি শ্রোতারা একপর্যায়ে যদি ঝিমিয়েও পড়তেন তবুও তিনি কথা থামাতেন না।
ব্যক্তিগত কিছু অভ্যাস
*খেলাধুলা কিংবা কোন ধরনের শরীরচর্চার ওপর হিটলারের কোন আকর্ষণ ছিল না। তিনি এগুলো করতেন না। তবে তিনি মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতেন।
*তিনি তার নিজ কক্ষে কর্নার থেকে কর্নার আড়াআড়িভাবে একই গতিতে হাঁটাহাঁটি করতেন।
*হিটলারের হাতের লেখা ছিল একেবারে নিখুঁত। ১৯৩৭ সালে বিখ্যাত মনস্তাত্ত্বিক কার্ল জাং হিটলারের একটি লেখা দেখে মন্তব্য করেন- এই হাতের লেখা দেখে আমাকে স্বীকার করতেই হয় যে এটা মেয়েলী প্রকৃতির।
বিনোদন
*হিটলারের বিনোদনের জন্য তার অধীনস্থ কর্মচারীরা সঙ্গোপনে রাজবন্দীদের নির্যাতন ও তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভিডিওচিত্র দিয়ে চলচ্চিত্র বানাতেন। বলাই বাহুল্য, এ ধরনের চলচ্চিত্র বেশ উপভোগ করতেন তিনি। হিটলারের নির্বাহী সহযোগী কর্মকর্তারা তার জন্য পর্নো ও চলচ্চিত্রও সংরক্ষণ করে রাখতেন।
*‘অ্যামেরিকান কলেজ’ ফুটবলে যে ধরনের মিউজিক ব্যবহার করা হয়, সাধারণ আম-জনতার মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে হিটলার তার বক্তৃতার সময় সে ধরনের মিউজিক ব্যবহার করতেন। অ্যামেরিকান ফুটবলের চিয়ারলিডাররা দর্শকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে কৌশল অনুসরণ করতো, সেই একই কৌশল অবলম্বন করে সভা-সমাবেশে ‘সিয়েগ হেইল!’ বলে শ্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করতেন হিটলার।
*হিটলার সার্কাস দেখতে পছন্দ করতেন। সার্কাসের কসরতকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ অভিনয় হিটলারকে বেশি আনন্দ দিতো। ১৯৩৩ সালে তিনি অনেকবার সার্কাস দেখেছেন বলে জানা যায়। সার্কাসের নারী কসরতকারীদের তিনি দামী চকোলেট ও ফুল দিতেন। এমনকি মাঝে মাঝেই হিটলার তাদের নাম স্মরণ করতেন, তাদের পরিবার, তাদের ঝুঁকিপূর্ণ পেশা নিয়ে উদ্বিগ্নও হতেন।
*তিনি আদিমতা বা বন্যদের মতো অভিনয় (আচরণ), মেয়েদের বিপদে পড়াকে কখনও সমর্থন বা পছন্দ করতেন না।
*তিনি প্রায় রাতেই তার ব্যক্তিগত থিয়েটারে সিনেমা দেখতেন, বিশেষ করে যেগুলো জার্মান জনগণের কাছে নিষিদ্ধ ছিল। তিনি কমেডি সিনেমা বেশী পছন্দ করতেন। মাঝে মাঝে তিনি জিউস গায়িকাদের গান পছন্দ করতেন। কিন্তু গান শোনার পর তিনি সেগুলোকে আবার মন্দ হিসেবে আখ্যায়িত করতেন।
*তিনি জিপ্সি মিউজিক, ওয়াগনার, অপেরা, বিশেষ করে অ্যামেরিকান কলেজের ফুটবল মার্চের গানগুলোর বন্দনা করতেন বেশ।
অন্যান্য
*উৎসাহ, প্রেরণা পাওয়ার জন্য হিটলার সব সময় তার ডেস্কে ‘হেনরি ফোর্ড’র পট্রেইট রাখতেন।
* ছোটবেলায় হিটলার ধর্মযাজক ও চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন।
*হিটলারের মায়ের মৃত্যুর পর ও আর্ট স্কুল থেকে দ্বিতীয়বারের মত বিতাড়িত হওয়ার পর হিটলার ছিল একেবারেই গৃহহীন, আশ্রয়হীন।
*হিটলার ছিলেন নিরামিষভোজী, অন্যদিকে হিটলার দিনে দুই পাউন্ড পর্যন্ত চকোলেট খেতে পারতো।
*হিটলার যিনি জার্মানিতে জন্মগ্রহণ না করেও জার্মানির চ্যন্সেলর হয়েছিলেন অথচ তিনি জন্ম নিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ায়।
*অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন হিটলার আসলে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
*হিটলারের শারীরিক ওজন মূলত পুরোপুরি যথার্থ নয় । মেডিকেলে শারীরিক চেকআপের সময় তিনি জামা কাপড় খুলতে বরাবরই ছিলেন নারাজ।
* ১৯৩৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য হিটলারকে মনোনীত করা হয়েছিল।
*৩০ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে স্ত্রী ইভা ব্রাউন এবং হিটলার একসাথেই আত্মহত্যা করেন।

Print Friendly
http://dailysylhet.com/features/47706.php
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×