somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০ নম্বর বিপদ সংকেত (সেলফি ও ভুমিকম্প আর একটি বৈশখী নস্ট মানষিকতায় পরিমিত আসমানী গজব ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে ....)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ সরকার নেপালের এই ভয়াবহ দিনে ত্রান দিয়ে সহযোগিতা করতে শুরু করেছে।
বিপদের দিনে প্রতিবেশীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া একটা মানবিক ব্যাপার।
কিন্তু অন্যের বিপদ দেখে নিজেকে সাবধানতায় দার প্রান্তে নিয়ে যাওয়াটাও কিন্তু একটা বড় মানবিক কাজ, যা মানব সমাজে
যুগ যুগ ধরে চলমান।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যে আমরা এমন বিপদ থেকে কতটুকু নিরাপদ?
আমাদের প্রশিক্ষিত মিলিটারি, বিজিবি,ফায়ার ব্রিগেড - এরকম সময়ের জন্য কতটুকু প্রস্তুত?

ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও যুগের সাথে তালমিলিয়ে আমাদের প্রিয় ঢাকা নগরী এখন আগের চেয়ে অনেক বড় বড় অট্টালিকায় পরিপুর্ন ।

সেইসাথে গা'য়ের সাথে গা লাগিয়ে বাড়ি তৈরী করার মন মানষিকতা, ঢাকাকে নিয়ে গেছে বসবাসের অযোগ্য নগরীর কাছাকাছি।
এমনতাবস্তায় আমাদের প্রানপ্রিয় এই বাংলাদেশে - যদি নেপালের মত একটি ভুমিকম্প ঘটে তাহলে কি ঘটবে-
তা বলার অবকাশ রাখেনা।

তারপরেও আমরা নিশ্চিত ঘুমে থাকি, অথবা অপেক্ষায় থাকি, সৃস্টিকর্তার কোন সু-দৃস্টির, যেন এমন কিছু না-ঘটে।



এখনো পাশের দেশের ভুমিকম্পের কাপুনিতে আমরা নেচে গেয়ে হেলেদুলে সেলফিতে ভরিয়ে দেই আমাদের ফেইসবুকের ওয়াল।
সরকার নিরাপত্তা ভারে ন্যু-হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র, যুদ্ধবিমান ইত্যাদি ক্রয় করে।
কিন্তু - বাংলাদেশের ভুতাত্বিক অবস্থান অনুসারে ভুমিকম্পের মত নিশ্চিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা জানা থাকার পরেও
তেমন কোন উদ্ধার কার্য্যক্রমে ব্যাবহিত ভারি যন্ত্রপাতি কেনার বা যোগার করার কোন তোড়জোর বা প্রস্তুতি দেখায় না।
আমাদের ভাগ্যটা এত খারাপ যে, এমন ভুমিকম্পের কালদর্শন যেদিন বাংলাদেশে দেখা দিবে( আল্লাহ না করুক)
সেদিন ধংসষ্তুপের ভেতর আটকেপরা মানুষদের - অন্তত উদ্ধারকারী দলের সাহাযার্থে - প্রানের নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখাটাও কঠিন হয়ে দাড়াবে বলেই মনে করি।



(রানা প্লাজার এক বিল্ডিং এর স্তুপ সরাতে প্রায় ২ মাস লেগেছিলো। ভেবে দেখুন তো সম্পুর্ন ঢাকা সিটির ব্যপারটা এমন হলে কত দিন (বছর, যুগ) লাগতে পারে......)

যখনি আমাদের প্রতিবেশী কোন রাষ্টে ভুমিকম্প হয় তখনি আমাদের দেশের 'জনগন'
দু-তিন দিন লালবাতি জালিয়ে চায়ের কাপে বা কোন 'টক-শোতে' কোটপ্যান্ট পরে হাজির হয়ে চিল্লাচিল্লি করে,
দুদিন পরে নিজেই 'যে লাউ সেই কদু' উপন্যাসের চরিত্র হয়ে যায় - অর্থাৎ ভুলে যায়।
অথচ, ভুত্বক জরীপে দেখা যায় যে -
বহুত আগেই 'আল্লাহ' বাংলাদেশের নিচে লালবাতি জালায় রাখছে -
আর সেই সম্পর্কে আমাদের কোন 'প্রস্তুতি' তো দুরের কথা নজর-ইই নাই।

এবার এ বিপদ আমাদের দিকে আংগুল তুলে তাকিয়ে আছে।
ভুলে যাবেন না - যে, আমরা একদম ফল্ট লাইনের একদম উপরে বসে আছি।
নেপালের মত অমন কিছু এখানে ঘটলে 'ভুমিকম্প' তো মামুলি -
পুরো ঢাকা ৩০-৪০ ফুট 'দেবে' যাওয়ার সম্ভাবনাটা একদম উড়িয়ে দেওয়া যায়না ।

কারন, শহরায়নের ফলে - মাটির নিচ থেকে পানি তুলে ঢাকার নিচে একদম ফাকা করে ফেলেছি।
আর অপর দিকে রাস্তার কার্পেটিং এর কারনে মাটির নিচে এ শুন্যস্থ্যান পুরন হবার কার্য্যক্রমও প্রায় বন্ধ।
এমন অবস্থ্যায় ভুমিধস বা ভুমিকম্প তো সময়ের ব্যাপার মাত্র,
তার সাথে আবার মরার উপর খরার-ঘা হচ্ছে - ফল্ট লাইনের উপর অবস্থ্যানের কারনে মাইকেল জ্যাকসন টাইপ নাচুনির ভয়।

"আর এখন আমরা সব ভুলে, আপন উল্লাস নিয়ে মেতে আছি। আমাদের মত মানুষ রুপি হায়েনারা - সেই ভয়াভহ বিপদের উপর বসে মনের সুখে পহেলা বৈশাকে নারীদের সুন্দর দেহ নিয়ে উল্লাস করি, পুলিশ হয়ে ঘুষ খেয়ে মিথ্যা মামলায় মানুষকে হয়রানি করি, পরকিয়া করি, খুনকরি, গুমকরি, ইভটিজিং করি, প্রতিশোধ নিতে ভাই হয়ে ভাইকে হত্যা করি, লাশ পানিতে চুবিয়ে ইট দিয়ে বেধে দেই, বউরে মাইরি আগুন দিয়ে জ্বালাই দিই, শালিকে নিয়ে পালিয়ে যাই, বুড়ো চাচা টাকা না দিলে তার ফাইল আটকে রাখি, ইত্যাদি ... "

হায়রে বাংলাদেশের মানুষ, ক্ষমা চা-রে তোরা, তোদের আর রক্ষেনেই।
আল্লার বিচার বড় কঠিন সময় এসে গেছে, তওবা করে ঠিক হয়ে যা। তোদের গজব এলো-বলে । কোথাও কোন হাদিসে পরেছি মনে নেই - এমন যে আল্লাহ আগে আশপাশ দিয়ে ছোট ছোট বিপদ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করে।

আর আমরা তো পুরা জাতি হিসেবে তরুন, আবাল, বৃদ্ধ, বনীতা সবাই মিলে হয় অন্যায় করছি না হলে অন্যায়কে সয্য করছি, এই তো।
'লুত' জাতির কথা কি মনে আছে? যারা মুসলমান তারা সবাই আশাকরি কমবেশী 'লুত' জাতির কথা জানেন। আর এখণ তো সাইন্সের কল্যানে 'মায়ান' সভ্যতা সহ আরও অনেক সভ্যতার উদাহরন জানি যারা দুনিয়ার বুকে নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে আল্লার গজবে।

হয়ত আমাদের জন্যও এমন কিছু অপেক্ষা করছে, যার উপর দাড়িয়ে আমরা সেলফি তুলছি আর অপেক্ষা করছি আমাদের প্রত্যেকের জীবনের শেষ সেলফিটার.....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×