somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিলেটকে পূর্ব প্রদেশের মর্যাদা দান এবং একটি প্রাদেশিক সরকারের দাবী.......

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন ধরেই এমন একটা দাবী উঠে আসি আসি করেও আসছেনা।সিলেট তথা গোটাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে দেয়া, একটি ফেডারেল সরকার ব্যাবস্থায়।বিশেষ করে সিলেটের ক্ষেত্রে এটা জরুরি হয়ে পরেছে।স্থানীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটা রাখতে পারে বিশাল অবদান। সিলেটবাসী অনেক অনেক বাঘা বাঘা মন্ত্রী এম পি পেয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় উন্নয়ন হয়েছে কতটুকু?।মার্ক করে দেখাবার মতো বিশেষ কোনো উন্নয়ন সাধিত হয়নি।
প্রাদেশিক মর্যাদা পেলে সবকিছুই পরিচালিত হবে গুরুত্ব সহকারে।আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি আভ্যন্তরীণ কাজেই লাগবে, শক্তিশালী রুপ পাবে স্থানীয় প্রশাসন।দুর্নীতির পরিমান কমে আসবে ৯০ শতাংশ। কারন সুযোগ থাকবেনা।
সিলেটের মানুষ ছায়াপুতুল শিক্ষামন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী চায়না।ঠিক সেরকম যোগ্য প্রতিনিধি চায় যে উন্নয়নের পথে নিজেকে উৎসর্গ করবে।
সম্ভব হলে প্রাদেশিক মর্যাদা।সিলেটকে প্রাদেশিক মর্যাদা দিলে বৃহত্তর সিলেটের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হবে সিলেট শহর।এতে এর স্তিমিতভাব থাকবেনা।সমস্ত দেশে সিলেটের প্রতি আপাত অবহেলার যে ঐতিহ্য শুরু হয়েছে তাও কমে আসবে।
এর ফলে সিলেটই হয়ত হয়ে উঠতে পারে রাজধানীর বাইরে মুম্বাই অথবা
লাস ভেগাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরে।
বিশ্বের যে ক'টি উন্নয়নশীল দেশ নিজেদের খুব দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের সরকার ব্যাবস্থাও ফেডারেল,আমি এ ক্ষেত্রে উদাহরন টানতে পারি পার্শবর্তী দেশ ভারত তৎপার্শবর্তী নেপাল,শ্রীলংকা,চীন।
আওয়ামীলীগ সরকার শুভবোধের শুভবুদ্ধির এবং দেশের জন্য সর্বাত্মক মঙ্গলকামী সরকার।আশা করি তাদের কেউ না কেউ বিষয়টা নিয়ে ভাববে।
কারন এতে সরকারের পরিচালনাশক্তি অনেক স্পস্ট এবং মজবুত হবে সহজ ও হয়ে যাবে অনেক।
এককেন্দ্রিকরন সাধারনত আগাছা আর জঞ্জাল বয়ে নিয়ে আসে বেশী।
প্রদেশ হিসেবে ভাগ করে দিলে রাজধানীমুখো স্রোত কমে আসবে।
এর ফলে গড়ে উঠবে স্থানীয় ও স্বায়ত্তসাশিত প্রচুর প্রতিষ্ঠান।
সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করা ভিষন জরুরি ।

এ প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন চৌধুরীর একটা লেখা হুবহু তুলে দিচ্ছিঃ-----------

যেসব কারণে বাংলাদেশে প্রদেশ
গঠন প্রয়োজন
আবদুল বাতেন চৌধুরী
বিশ্বায়নের যুগে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার
অন্যতম শর্ত হচ্ছে এককেন্দ্রিক, একক নেতৃত্ব ও
একদলীয় শাসনের বদলে প্রশাসনিক
ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রিকরণ। অর্থাৎ ফেডারেল
পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
রাষ্ট্রের জনকল্যাণ, মৌলিক
চাহিদা এবং আর্থ-সামাজিক
উন্নয়নে ফেডারেল পদ্ধতির সরকারই সক্ষম।
সেক্ষেত্রে বর্তমান বাংলাদেশের ১৬
কোটি জনসংখ্যা এবং আগামী ২০২০ সাল
নাগাদ প্রায় ২০ কোটি হবে। তাই দেশ ও
জাতির ভবিষ্যৎ মৌলিক
চাহিদা পূরণে বাংলাদেশে প্রদেশ গঠন
করে ফেডারেল পদ্ধতির
সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
অনেকেই মনে করেন, আয়তনের দিক
থেকে বাংলাদেশ ছোট। একটি ছোট
রাষ্ট্রকে প্রদেশে ভাগ করার প্রয়োজন কেন?
প্রশ্নটির দু’টি অংশ- ১. বাংলাদেশ কি ছোট?
২. প্রদেশে ভাগ করার প্রয়োজন কেন? এ
প্রসঙ্গে বাস্তব অবস্থার নিরিখে দুই
একটি যুক্তি তুলে ধরা আবশ্যক বলে মনে করি।
বাংলাদেশ কি ছোট?
পৃথিবীর সাম্প্রতিক
মানচিত্রে বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্যদেশ
১৯৩টিসহ কমবেশি মোট ২৫০টি দেশ রয়েছে।
তন্মধ্যে ছোট ছোট স্বাধীন দেশ ১৭টি। এদের
আয়তন ২০০ বর্গমাইলেরও কম। দৃষ্টান্তস্বরূপ-
ভ্যাটিকান সিটি (২ বর্গমাইল), নাউরু (৪.৫
বর্গমাইল), টুভালু (৯ বর্গমাইল), সেন্ট কিটিস ও
নেভিস (১০৪ বর্গমাইল), সিসিলি (১০৭
বর্গমাইল), গ্রানাডা (১৩৩ বর্গমাইল),
এন্টিগুয়া (১৮০ বর্গমাইল), পালাউ (১৯১
বর্গমাইল), মাইক্রোনেশিয়া (১২২৯.৯
বর্গমাইল) প্রভৃতি। এসব দেশের তুলনায়
এমনকি ২৪৬ বর্গমাইল আয়তনের দেশ
সিঙ্গাপুরও অনেক বড়। বাংলাদেশের আয়তন
৫৬ হাজার ৯৭৭ বর্গমাইল বা ১ লাখ ৪৭ হাজার
৬০০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক
থেকে পৃথিবীর ৯৬তম বৃহৎ রাষ্ট্র বাংলাদেশ।
সুতরাং বর্তমান বিশ্ব
প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ছোট দেশের
সংজ্ঞায় পড়ে না।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৬
কোটি। জনসংখ্যার ঘনত্ব
প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১৪২.২৯ (২০১২
সালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট
অনুযায়ী)। ভবিষ্যতে আরো বাড়ছে।
জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর
অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র। আমাদের
জনসংখ্যাকে দুনিয়ার সবাই এমনকি দেশেরও
অনেকে জাতীয় অগ্রগতির ক্ষেত্রে প্রধান
সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে।
সে হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান
দায়িত্ব জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত
করা।
প্রদেশে ভাগ করার প্রয়োজন কেন?
আমরা জানি, রাষ্ট্র মানে জনসংখ্যা, মাটি,
পানি আর আকাশ হলেও, প্রধান বিবেচ্য বিষয়
জনগণ বা নাগরিক। নাগরিক আর রাষ্ট্রের
সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। একটি না হলে যেমন
অন্যটির অস্তিত্ব থাকে না, তেমনি জনগণের
উন্নতি মানে রাষ্ট্রেরও উন্নতি। আর জনগণের
কল্যাণ বা উন্নতির জন্যই রাষ্ট্র। কিন্তু রাষ্ট্র
তার নাগরিকদের কল্যাণে, তাদের
চাহিদানুযায়ী সরাসরি সেবা দিতে পারে না;
সেবা দিতে হয় একটি এজেন্সির মাধ্যমে, যার
নাম গভর্নমেন্ট বা সরকার। তাই নাগরিক
সেবা নির্ভর করে সরকার ব্যবস্থার ওপর।
সরকার ব্যবস্থা দু’’রকম: এককেন্দ্রিক ও
ফেডারেল। এককেন্দ্রিক সরকার সেবা দেয়
কেন্দ্র থেকে আর ফেডারেল সরকার সেবা দেয়
স্থানীয় এলাকার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের
সরকার ব্যবস্থা এককেন্দ্রিক। স্বাধীনতার পর
থেকে এ পর্যন্ত প্রচলিত দলীয় এককেন্দ্রিক
সরকার ব্যবস্থা দেশের নাগরিকদের ন্যূনতম
মৌলিক চাহিদা মেটাতে পেরেছে কি?
বাস্তবতা হচ্ছে, বিপুল জনপ্রিয়তা ও
গাদা গাদা প্রতিশ্রুতি নিয়ে একের পর এক
সরকার ক্ষমতায় আসে এবং স্বেচ্ছাচারিতা,
অদক্ষতা, দুর্নীতি, দল বা গোষ্ঠীপ্রীতি,
স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি বাদ-অপবাদে গণধিকৃত
হয়ে বিদায় নেয়। এর কারণ কি?
নাগরিক চাহিদা
বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ১৬ কোটিরও
বেশি জনসংখ্যার দেশ।
ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। এককেন্দ্রিক শাসন
ব্যবস্থা ইংরেজরা চালু করেছিল আমাদের
শাসন-শোষণ করার জন্য,
জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য নয়। পাকিস্তান
আমলেও এই শাসন ব্যবস্থা শাসন-শোষণের
উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। এখনো সেই একই
ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা চলছে। এই
ব্যবস্থায় একজন প্রধানমন্ত্রী ও তার
কেবিনেটের পক্ষে কোনো ক্রমেই ১৬
কোটি মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান
করে উপযুক্ত সেবা দেয়া কি সম্ভব? তার নজির
প্রতি মুহূর্তে সবার চোখে পড়ছে।
তদুপরি প্রধামন্ত্রীকে দলীয় কোন্দলসহ
নানান রাজনৈতিক সমস্যাও
মোকাবেলা করতে হয়।
বৈষম্য
দেশবাসীর ভ্যাট/ট্যাক্সের টাকা জমা হয়েই
সরকারি তহবিল হয়। দেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম
নাগরিক রূপে চিহ্নিত একজন ভিক্ষুককেও তার
ভিক্ষার টাকা দিয়ে চাল-ডাল, আলু-পেঁয়াজ,
লবণ-তেল, ওষুধ-সাবান, কাপড়-স্যান্ডেল
কিনতে হলে ভ্যাট/ট্যাক্স দিতে হয়।
সে তহবিল থেকেই দেশের বাজেট হয়।
সে বাজেটের প্রায়ই ৬৫ শতাংশ ব্যয় হয়
রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক এবং ২০ শতাংশ
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকেন্দ্রিক।
বাকি ১৫ শতাংশ সমগ্র দেশের জন্য, যার এক
সামান্য ভগ্নাংশ পায় পল্লী-গ্রামের জনগণ।
তার মানে, ব্রিটিশ আমলে এ দেশের জনগণের
ভ্যাট/ট্যাক্সের টাকায় উন্নয়ন
হতো ইংল্যান্ডের, পাকিস্তান আমলে পশ্চিম
পাকিস্তানের আর এখন হয় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ
শহরাঞ্চলের। অর্থাৎ এখন শহর-নগরের তুলনায়
পল্লী-গ্রামের জনগণ নিষ্ঠুরভাবে বঞ্চিত। এই
বৈষম্যের প্রধান কারণ আমাদের স্বাধীন
দেশে এখনো চালু রাখা ব্রিটিশ আমলের
এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা।
বিশ্বায়ন ও বাংলাদেশ
জনশক্তি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড,
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্য
এবং ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশ
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অঞ্চলে এবং বর্তমান বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ
দেশ হিসেবে স্বীকৃত। তাছাড়া, বর্তমান
বিশ্বকে এক ও অভিন্ন একটি গ্রাম (গ্লোবাল
ভিলেজ) হিসেবে গড়ে তোলার
প্রক্রিয়া চলছে এবং এটি বৈশ্বিক
অর্থনীতি (global economics)
দ্বারা পরিচালিত, যার নাম বিশ্বায়ন।
বাংলাদেশও তার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিশ্বায়নের কারণে আমাদের
সরকারি নীতি (Policy)
নির্ধারণে নিয়োজিত রাজনৈতিক কর্তা-
ব্যক্তিদের (যেমন- প্রধানমন্ত্রী,
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী,
বাণিজ্যমন্ত্রী প্রভৃতি) প্রতিনিয়ত বিশ্ব
পরিস্থিতি মনিটর করে নীতি-নির্ধারণ
করতে হয় এবং সেই লক্ষ্যে ব্যস্ত থাকতে হয়।
কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখি আমাদের
প্রধানমন্ত্রীকে কমনওয়েলথ সম্মেলন বাদ
দিয়ে আইলা মোকাবেলা করতে বরিশাল
ছুটে যেতে হয়। আবার মফস্বল এলাকার
কোনো স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বা উদ্বোধনও তাকেই করতে হয়।
সুতরাং সাধারণ কিংবা জরুরি (প্রাকৃতিক
দুর্যোগ যেমন- সিডর, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস,
মহামারি ইত্যাদি) সব সমস্যার মোকাবেলায়
এভাবে ব্যস্ত থাকা মানবিকভাবে অসম্ভব।
যার ফলে সব সিদ্ধান্তই হয় তাৎক্ষণিক ও
জরুরি, সুচিন্তিত নয়। তার মানে এককেন্দ্রিক
সরকারের প্রধানমন্ত্রী বা তার পারিষদ
কোনো কাজেই সঠিকভাবে মনোনিবেশ
করতে পারেন না।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্ব এখন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জীবন ধারা,
মূল্যবোধ, তথ্য-প্রযুক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি, ভূ-
রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগ
ব্যবস্থা প্রভৃতি দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের
মাধ্যমে এগোচ্ছে। ফলে তার সঙ্গে তাল
রেখে চলতে হলে আমাদেরও চাই
সময়োপযোগী নতুন ভাবধারা, সাদৃশ্যমান
যুক্তি, শ্রেণী-বিন্যাস এবং প্রগতিশীল
ধ্যান-ধারণা।
দরকার প্রদেশ বাস্তবায়ন ও ফেডারেল রাষ্ট্র
ব্যবস্থা
এ সবকিছু বিবেচনা করলে রাষ্ট্রকে তার
জনগণকে সেবা দিতে হলে স্থানীয়ভাবে উন্নয়ন
করা অপরিহার্য এবং সরকারের সেবা ও
প্রশাসন ব্যবস্থাকে জনগণের
কাছে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য, ব্রিটিশ
আমলের এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার
বদলে ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন,
প্রদেশ বাস্তবায়ন এবং স্বশাসিত স্থানীয়
সরকারকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তাই
আমরা মনে করি, এই ক্রমবর্ধিষ্ণু ১৬
কোটি জনগণের দৈনন্দিন অর্থনৈতিক,
রাজনৈতিক, সামাজিক, আন্তর্জাতিক,
সাংস্কৃতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায়
বাংলাদেশকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র
(Federel State) ঘোষণা করে এ
মুহূর্তে ৭/৮/৯টি প্রদেশে বিভক্ত করার
প্রচেষ্টা নেয়া প্রয়োজন।
তাত্ত্বিকভাবে ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুবিধা
গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা পাবে
গণতন্ত্র হচ্ছে একটি সমাজ উদ্ভূত ব্যবস্থা।
সমাজ পরিবর্তনে, সমাজের সম্পদ উৎপাদন ও
বণ্টনে, সাংস্কৃতিক ও ধর্ম-কর্মের
প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় এবং দ্বন্দ্ব-বিরোধ
মীমাংসাসহ যাবতীয় বিষয়ে পেশাজীবী-
শ্রমজীবী-কর্মজীবী জনগণের
সরাসরি বা প্রতিনিধিত্বমূলক
(যেখানে যা প্রযোজ্য) অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়
যে ব্যবস্থায় তাই হচ্ছে গণতন্ত্র।
সুতরাং রাষ্ট্রের তৃণমূলসহ সবস্তরে এ ব্যবস্থার
প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যে কোনো তত্ত্ব
বা দর্শন পরিপক্বতা লাভ করে অনুশীলনের
মাধ্যমে। এই অনুশীলন করার জন্যই রাষ্ট্রীয়
পর্যায়ে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তুলতে হয়।
প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণ, প্রদেশ বাস্তবায়ন
তথা ফেডারেল রাষ্ট্রকাঠামো গঠনের
মাধ্যমে রাষ্ট্র কাঠামোগত সংগঠন
গড়ে উঠবে। যেমন- স্থানীয় সরকারের মধ্য
হতে গড়ে উঠবে প্রাদেশিক পরিষদ,
প্রাদেশিক সরকার, জেলা সরকার,
উপজেলা সরকার, ইউনিয়ন সরকার ও গ্রাম
সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ
রাজধানীতে, মহানগরে ও বড় বড়
শহরে গড়ে উঠবে মেট্রোপলিটন সরকার, পৌর
সরকার ও ওয়ার্ড সরকার। এসব
প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত
প্রতিনিধিরা রাজনৈতিকভাবে দক্ষ
হয়ে উঠবেন।
গড়ে উঠবে মানবিকতা বোধসম্পন্ন
সেবাদানকারী দক্ষ আমলা গ্রুপ। গণতন্ত্র
প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।
এভাবে ফেডারেল রাষ্ট্র
ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরণের
মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ
করবে। এতে স্বাভাবিকভাবেই দলবাজি ও
সন্ত্রাস অনেকাংশে কমে যাবে।
দুর্নীতি কমবে
ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দুইকক্ষ বিশিষ্ট
(Bi-cameral) পার্লামেন্ট থাকবে। রাষ্ট্রীয়
নীতি-নির্ধারণে উভয়কক্ষের ভূমিকা থাকবে।
ফলে এক কক্ষ আরেক কক্ষের check valve
হিসেবে কাজ করবে।
শক্তিশালী পার্লামেন্টারি কমিটি থাকবে।
এই কমিটি বস্তুনিষ্ঠ ও বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির
মাধ্যমে, মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও
সদস্যবৃন্দ, কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল,
প্রধান-বিচারপতি ও বিচারপতিবৃন্দ, সেনা-
নৌ-বিমান বাহিনী প্রধান, পুলিশ প্রধান,
বর্ডার গার্ড প্রধান, কোস্টগার্ড প্রধান,
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান ও
সদস্যবৃন্দ এবং সচিববৃন্দসহ প্রশাসনের
উচ্চস্তরের সব সদস্য নিয়োগের জন্য সুপারিশ
করবে।
পার্লামেন্টারি কমিটি যে কোনো উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তাকে যে কোনো সময় জবাবদিহিতার
জন্য ডাকতে পারবে। ফলে দুর্নীতি বিপুল
পরিমাণে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
আক্ষরিক অর্থে দুর্নীতি সহনীয়
পর্যায়ে নিতে হলে প্রদেশ বাস্তবায়ন ব্যতীত
কোনো পথ নেই।
নেতৃত্ব গড়ে উঠবে
বর্তমান সময়ের দাবি অনুযায়ী স্ব-স্ব
এলাকা থেকে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসার
সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। পার্লামেন্টের
নিম্নকক্ষের সাধারণ জন-প্রতিনিধিদের
পাশাপাশি ওয়ার্ড সরকার, পৌর সরকার,
মেট্রোপলিটন সরকার, গ্রাম সরকার, ইউনিয়ন
সরকার, জেলা সরকার, প্রাদেশিক পরিষদ
এবং পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে শ্রমজীবী,
কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের নির্বাচিত
প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা থাকবে। সাধারণ
প্রতিনিধি ও শ্রমজীবী-কর্মজীবী-
পেশাজীবীদের
প্রতিনিধি মিলিয়ে আমাদের হিসাব মতে,
ওয়ার্ড সরকার, পৌর সরকার, মেট্রোপলিটন
সরকার, গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন,
উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, প্রাদেশিক
পরিষদ এবং জাতীয় সংসদের উচ্চ
পরিষদে সর্বমোট প্রায় ৭০ লাখ নির্বাচিত
নেতা প্রয়োজন হবে। এই ৭০ লাখ
নেতা আরো দুই বা ততোধিক ৭০ লাখ
প্রার্থীর
সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসবেন।
অতএব রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রত্যক্ষ
এবং পরোক্ষভাবে ২ কোটি ১০ লাখেরও
বেশি নাগরিক নেতৃত্ব চর্চার সুযোগ পাবেন।
এর ফলে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। এই ২
কোটি ১০ লাখ নেতার সঙ্গে তাদের
পরিবারের সদস্যবর্গও সংশ্লিষ্ট হবেন।
এতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায়
গোটা জাতি রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত
হবে। তাই দুর্নীতি করার সুযোগ আর
থাকবে না।
সুষম উন্নয়ন হবে
প্রদেশ হলে কেন্দ্রীয় বাজেটের তহবিল
কেন্দ্র তার প্রয়োজনীয় অংশ
রেখে বাকি অংশ প্রত্যেক প্রদেশের জন্য
জনসংখ্যা হারে আলাদা আলাদা করে বিলিবণ্টন
করতে হবে। ফলে কোনো নির্দিষ্ট প্রদেশের
নিজস্ব আয়ের সাথে কেন্দ্র
থেকে পাওয়া বরাদ্দ যোগ হয়ে বিপুল পরিমাণ
তহবিল ওই এলাকার জনগণের সেবা ও উন্নয়নের
জন্য প্রদেশের হাতে থাকবে। এর
ফলে বর্তমান অসম উন্নয়নের
বিপরীতে সারাদেশে একই সময়
সমানতালে উন্নয়ন কাজ ব্যাপক হারে শুরু
হবে। এতে স্থানীয়ভাবে কর্ম-সংস্থানের
সুযোগ সৃষ্টি হবে। কাজের সন্ধানে প্রতিদিন
হাজার হাজার লোককে গ্রাম থেকে ঢাকা-
চাটগাঁয় ছোটাছুটি করতে হবে না।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে
প্রদেশ হলে নতুন নতুন কলকারখানা, সরকারি-
বেসরকারি অফিস, উচ্চ-আদালত বা হাইকোর্ট,
কারিগরি ও পেশাভিত্তিক স্কুল-কলেজ
এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ
আরো বহু সংস্থা গড়ে উঠবে। যোগাযোগ
ব্যবস্থা বর্তমানের চাইতে শতগুণ বাড়বে। কল-
কারখানায় উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যের
ভোক্তা প্রদেশে তৈরি হবে এবং কেন্দ্রের
চাহিদাও মেটাতে পারবে। এ
নিয়ে আন্তঃপ্রাদেশিক
প্রতিযোগিতা তৈরি হবে।
প্রতিটি প্রদেশে প্রাদেশিক সচিবালয়,
সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটি বা সেনানিবাস
স্থাপিত হবে, উপকূলীয় এলাকায় নৌ-
ঘাঁটি এবং পোতাশ্রয়সহ আরো বহু প্রতিষ্ঠান
গড়ে উঠবে।
প্রশাসন ও সেবা জনগণের কাছে যাবে
সরকারি প্রশাসন ও সেবার যত অঙ্গ
থাকবে অর্থ, পররাষ্ট্র, দেশরক্ষা ব্যতীত প্রায়
সব দপ্তরই
প্রদেশে চলে যেতে হবে বা প্রতিষ্ঠিত হবে।
আজকে বোদা, পাটগ্রাম,
গলাচিপা কিংবা মনপুরা থেকে একজন
রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায়
নিয়ে আসতে হয়। একটি প্রাইভেট নিমিটেড
কোম্পানির অনুমতির জন্য টেকনাফ
থেকে ঢাকায় আসতে হয়। স্কুল, কলেজের
শিক্ষকদের পেনশনের টাকার জন্য ঢাকায়
বেনবেইস এ এসে দিনের পর দিন
ধরণা দিতে হয়। হাইকোর্টের বিচার
প্রার্থীকে মামলার জন্য ঢাকায় এসে প্রচুর
খরচ ও সময় ব্যয়সহ নানান হয়রানির
মুখোমুখি হতে হয়। পুলিশের
কনস্টেবলকে পেনশনের জন্য ঢাকায় আসতে হয়।
আবার প্রশাসনিক
বা সেবাপ্রদানকারী কর্তৃপক্ষের
প্রতিটি দপ্তরকেও অধিক কাজের
চাপে হিমশিম খেতে হয়। এসব
সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথই হল প্রদেশ
বাস্তবায়ন। প্রদেশ হলে আমাদের আঞ্চলিক
অর্থনীতি অনেক গতিশীল হবে। তখন
কালো টাকা বা চোরাচালানির অর্থনীতির
ওপর নির্ভরশীলতাও কমে আসবে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন হবে
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসন স্থানীয়
সরকারের আওতায় থাকবে। শিক্ষা নিবিড়
পরিচর্যার সুযোগ পাবে। ফলে মফস্বল ও পল্লী-
গ্রামে শিক্ষার হার এবং মানের
উৎকর্ষতা বাড়বে। প্রদেশগুলোতে হাসপাতাল,
মেডিকেল কলেজ,
নার্সিং এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,
স্কুল ও কলেজ গড়ে ওঠার ফলে ডাক্তার ও
নার্সের সংখ্যা বাড়বে এবং দক্ষ
জনশক্তি তৈরি হবে ও মানবসম্পদ
জনশক্তিতে পরিণত হবে। স্থানীয়
অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে এবং স্থানীয়
সরকারের আওতায় বিধায় ডাক্তার ও নার্সদের
জনগণের কাছাকাছি থাকার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে
প্রত্যেক প্রদেশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,
সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এবং ক্রীড়া ও
খেলাধুলার ক্লাব গড়ে উঠবে। গণ-মানুষের
চিন্তা ও মননের জগত বিকশিত ও প্রশস্ত হবে।
প্রদেশে অবস্থিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়,
প্রযুক্তি ও পেশাগত প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক-
অধ্যাপক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক
প্রমুখদের মধ্যে মুক্ত চিন্তার বিকাশ
ঘটবে যা আমাদের জাতীয় অগ্রযাত্রার
পথে সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর হলে ঢাকার
নানাবিধ
সমস্যা বহুলাংশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান
হয়ে যাবে। যেমন: যানজট নিরসন হবে, গাড়ি ও
জনচাপ কমে যাবে, আবাসন সমস্যার সমাধান
হবে, বাড়িভাড়া কমে যাবে, জনস্বাস্থ্য,
পয়নিষ্কাশন, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সমস্যার
সমাধান হয়ে যাবে।
জনসংখ্যা কমে গেলে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস
পাবে, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি কমে যাবে। এক
কথায় জাতীয় রাজধানীর পরিবেশ সুন্দর
হয়ে যাবে।
মারাত্মক অসুবিধা বা হুমকি: আর প্রদেশ
না হলে অচিরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ড বিশাল উৎপাদনের দেশ ভারতের
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিচালিত হবে।
আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বাজারের
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রিত
হবে শিলং থেকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল আসামের
গৌহাটি থেকে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল
ত্রিপুরা থেকে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
নিয়ন্ত্রিত হবে কলকাতা থেকে। প্রয়োজনীয়
দ্রব্য-সামগ্রী আমরা সহজে পাবো সত্য কিন্তু
অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি আমাদের
হাতে থাকবে না। ফলে বাংলাদেশ অচিরেই
ক্লায়েন্ট বা মক্কেল রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তার কিছু কিছু লক্ষণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
অমূলক আশঙ্কা
কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ব্যতীত
আমাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা, ভাষা,
সংস্কৃতি, খাদ্য, বস্ত্র সবই এক।
সুতরাং বাংলাদেশে প্রদেশ
করা হলে রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও অখণ্ডতা ব্যাহত
হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বরং যদি ক্ষুদ্র
জাতিসত্তার সাংবিধানিক
স্বীকৃতি দেয়া হয়, যদি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার
নাগরিকদের নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হয়
এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন
অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সদস্যদের
জন্য আঞ্চলিক শাসনের ব্যবস্থা করা হয়,
তবে রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও অখণ্ডতা আরো সুদৃঢ় হবে।
পরিশিষ্ট
পৃথিবীর ২৫০টি দেশের মধ্যে আদি থেকে ১৯৯৩
সাল পর্যন্ত ফেডারেল রাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল
১৬। বর্তমানে ২৬। গত বিশ বছরে (১৯৯৩-২০১২)
বেড়েছে দশটি। তার মানে ফেডারেল
রাষ্ট্রের সংখ্যা দ্রুত বর্ধিঞ্চু। বাংলাদেশের
চেয়ে অনেক ছোট দেশও যেমন- ক্যারিবীয়
দেশ সেন্টকিটিস ও নেভিস,
মাইক্রোনেশিয়া, শ্রীলংকা, নেদারল্যান্ড
এবং পাশের দেশ নেপাল তাদের নিজস্ব
প্রয়োজনে ফেডারেল সিস্টেম অবলম্বন
করেছে। শ্রীলংকা ১৬টি, নেদারল্যান্ড ১৭টি,
মাইক্রোনেশিয়া ১৪টি, নেপাল
১৩টি (প্রস্তাবিত) প্রদেশে বিভক্ত।
পৃথিবীতে বর্তমানে সবচেয়ে জনবহুল দেশের
সংখ্যা ২৪। তন্মধ্যে ফেডারেল রাষ্ট্রের
সংখ্যা ৭। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে চীনসহ
আরো কয়েক দেশ। এক কথায় বলা যায়-
আগামী পৃথিবীতে ফেডারেল সিস্টেম অব
গভর্নমেন্টের সংখা বাড়ছে। যারা যত
আগে এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, তারা তত
অগ্রগামী। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের দেশ
হিসেবে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর
করার প্রয়োজনে যদি ফেডারেল
রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং প্রশাসনের বিকেন্দ্রিকরণ
তথা প্রাদেশিক ব্যবস্থা অবলম্বন
অত্যাবশ্যকীয় হয়, তবে আমরাই
বা পিছিয়ে থাকব কেন?
লেখক: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং কেন্দ্রীয়
সমন্বয়ক, সামাজিক আন্দোলন
বাংলামেইল২৪ডটকম/ ১৮২৫ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই
২০১৩
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×