somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাহ্য রাসায়নিক এবং আগুন নিয়ে খেলা

০৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক বছর আগে রাজধানীর নিমতলী এলাকায় এক অস্বাভাবিক অগি্নকা-ে ১২৩ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে। এ মর্মান্তিক ঘটনার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন মহলের পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ সরিয়ে নেয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এ দাবিটি করা হয়েছিল সরকারের কাছে এক বছর আগেই। প্রথম দিকে সরকার তথা আমলারা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। কমিটি ও সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এমনকি মোবাইল কোর্ট গঠন করে দাহ্য কেমিকেল রাখা আবাসিক ভবনে গিয়ে জরিমানা করেছিল। কিন্তু তাতে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ অথবা এসব ব্যবহারকারী ফ্যাক্টরি পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকা থেকে সরানো যায়নি।
সরকার কোন আইনে রাসায়নিক পদার্থের ছোটখাটো গুদামকে জরিমানা করেছে, সেটাও পরিষ্কার না থাকায় যাদের জরিমানা করা হয়েছে তারা আদালতের আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের জরিপে যেসব গুদাম ও ফ্যাক্টরিকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই বহাল তবিয়তে আছে। এ কাজে আমলাদের নিষ্ঠার অভাব বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সব মিলিয়ে দাহ্য রাসায়নিকের গুদাম ও এসব ব্যবহারকারীর অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। দু-চারজন ঝামেলা এড়াতে গুদামের স্থান পরিবর্তন করেছে মাত্র।
এসব দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের দোকানপাট আমাদের দেশের ছোটখাটো শিল্পকে কাঁচামাল সরবরাহ করে। অনেকে ছোটখাটো ফ্যাক্টরিতেই দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ রেখে দেয়। এগুলো এক ধরনের সার্ভিস-প্রোভাইডার। এরা বহুদিন থেকেই এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছে এবং পুরান ঢাকা অনেকেরই জীবিকানির্ভর করছে। এখানে মনে রাখা দরকার, নিমতলীতে সরাসরি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগেনি। গলির ভিতরে রান্না করার জন্য ও দেশীয় পদ্ধতি বড় ধরনের খানাপিনার আয়োজন করতে গিয়ে যে পরিমাণ তাপ সৃষ্টি হয় তাতেই দাহ্য রাসায়নিকে আগুন লেগে যায় এবং এলাকাটার রাস্তাঘাট এত সরু যে, সেখানে ফায়ার ব্রিগেডের ট্রাক প্রবেশও কঠিন ছিল। অনেক কিছু একসঙ্গে ঘটায় নিমতলী ট্র্যাজেডি বড় আকার ধারণ করে।
দাহ্য রাসায়নিক এবং এসব ব্যবহারকারী ফ্যাক্টরিগুলো কোথায় সরানো হবে অথবা কোথায় সরানো সম্ভব সে সম্পর্কে সরকারি আমলাদের কোন ধারণাই নেই। আবাসিক এলাকার বাইরে এ পর্যন্ত কোন এলাকা এ কাজের জন্য চিহ্নিত করা হয়নি। এরা সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। যত দিন পর্যন্ত এগুলো সরানোর কোন বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা সরকারের কোন কমিটি বা সাব-কমিটি তুলে ধরতে না পারে ততদিন গুদাম বা ফ্যাক্টরিগুলোতে অগি্ননির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। আজকাল এগুলো সহজেই বাজার থেকে কেনা যায়। ফায়ার সার্ভিসের সূত্র বলছে, মহানগরীর ৯৩৪টি রাসায়নিক গুদাম এবং ফ্যাক্টরির মধ্যে ৮৬৭টির অগি্ননিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। প্রাথমিকভাবে এ বিষয়টির ওপর জোর দিলে পুরান ঢাকার অধিবাসীদের মধ্যে কিছুটা নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি হবে। এসবের জন্য কি আরেকটি অগি্নকা-ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×