আপনাদের হয়তো মনে আছে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আওয়ামীলীগ বিগত সময় গুলোতে অনেক নাটক রচনা করেছিল।একবার না বেশ কয়েকবার।যে প্রজেক্টের নাম দিয়েছিল ভোটার কার্ড হাল নাগাদ।নতুন করে ভোটার কার্ড হাল নাগাদ করে দেখা গেল মরে ভুষি হওয়া পাব্লিকও জ্যান্ত ভুতের মত ভোটার হয়ে বসে আছে।আবার গোপাল গঞ্জের যে ব্যাক্তি যদু নামে ভোট দিয়েছে ওই একই ব্যাক্তি গ্রামে গিয়ে মধু নামেও ভোট দিয়েছে।সে হিসেবে যদি ধরি তবে দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে ভোটার সংখ্যাই বেশি। ছয় সাত বছরের আন্ডা বাচ্চারাও ভোটার হয়ে গেছে।একেক জন ভোট দিয়েছে একাধিক বার।জানিনা আমার নামের ভোট গুলি কার ঝুলিতে ঢুকছে।
যাই হোক,ভোট ভাটের ছলা কলা নিয়ে কাহীনি অবলা পাব্লিকের নিকট এখন পানির মত পরিস্কার।জনগনের এখন ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যেতে হয়না।আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান ব্যাক্তিবর্গ লোক গুলোই পাব্লিকের ভোট গুলো দিয়ে দেয়।এতে সময় খরচ দুটোই বাঁচে।ভোটের দিন টিভিতে চলে মুখরোচক চানাচুর মার্কা সব দারুন দারুন উনুষ্ঠান মালা।টিভির সামনে থেকে ভোটদাতাদের ওঠায় দায়।ভোট চুলোয় যাক।
আচ্ছা আপনাদের মাথায় কি একবারও এই প্রশ্নটি আসেনা।
ফিংগার প্রিন্টের মাধ্যমে সিম রেজিস্ট্রেশন করাতে আওয়ামীলীগ এত উঠে পড়ে লেগেছে কেন? কি এর রহস্য?কি এর মুজেযা?
একটু ভেবে দেখুন,আওয়ামীলীগ কি ভাবে ক্ষমতা আকঁড়ে আছে।তাদের কাছে ক্ষমতা আকঁড়ে ধরা ছাড়া আর বিকল্প কোন পথ নেই।ক্ষমতা বিহিন তাদের অস্তিত্ব যে বিলিন, সেটা তারা খুব ভালো করেই জেনে গেছে।অতীতের মতো রাস্তার মাঝে পুলিশের লাথি তারা আর খেতে চায়না।সতরাং যে কোন মুল্যেই হোক সিংহাসন তাদের চাই ই চাই।আওয়ামীলীগ প্রত্যেকটি ধাপ এগুচ্ছে বিরাট চতুরতার সাথে।বিষয়টা এরকম, এক মেয়েকে আপনি বললেন আমি তোমাকে ভালোবাসি।মেয়েটি বললো সে আপনাকে ভালোবাসেনা।আপনি মেয়েটিকে বললেন আমার সোনার বাংলা।মেয়েটি বললো আমি তোমায় ভালোবাসি।কিছু মাথায় ঢুকছেনা তাইতো?একটু পরিস্কার করে বলছি।
কেন্দ্র দখল,জাল ভোট,ভোট চুরি এসব তো এখন জনগনের কাছে পরিস্কার।তাহলে আওয়ামীলীগ নেক্সটে কেমনে ক্ষমতায় যাবে?
একটু আগেই বলেছি আওয়ামীলীগ যা করছে তা রাজনৈতীক মাষ্টার প্লানিং মোতাবেক।ধাপে ধাপে কার্যসিদ্ধি হাসিল করছে।ছলে বলে কৌশলে।বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের ইস্যুতে জনগনের ফিংঙ্গার প্রিন্ট আগে কবজো করতে চায় তারা।কারন অন্য ইস্যুতে তা জনগনের কাছে থেকে আদায় করা খুব কঠিন একটা ব্যাপার।কিন্তু সিম নিবন্ধন ইস্যুতে কেউ সেটা দিতে খুব একটা আপত্তি করবে বলে আমার মনে হয়না।এই ফিংঙ্গার জবদো করার কিছুদিন পর তাদের পরের ধাপ হবে ভোট প্রদানের সিস্টেমে পরিবর্তন আনা।এক কথায় ফিংঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোট প্রদান।আবাল জনগন ভাববে বাহ!এটাতো খুব ভালো উদ্দ্যোগ।ভোট চুরি হবার তো কোন সম্ভাবনা আর থাকলোনা।আরে আমার আবাল জনগন বায়োমট্রিক সিম নিবন্ধনের সময়ই তো আপনার মুল্যবান ভোট আপনি আওয়ামীলীগকে দিয়ে বসে আছেন।আপনাকে আর তাদের কোন প্রয়োজন নেই।আপনি দেশে থাকেন বা আমেরিকায় থাকেন নো টেনশন আপনার ভোট আওয়ামীলীগের জন্য আজীবন উইল হয়ে গেছে।আপনি আঙুল চুশতে থাকুন দুর্নীতি আর খুন,ধর্ষনের খবর দেখুন।দেশকে গালি দিতে থাকুন।এটাই আপনার প্রাপ্য।কারন আপনার গোবর ভরা মাথাটিকে দেশের ভবিষ্যত উন্নয়নের বিষয়ে ভাবাননি।আপনার সন্তান বাবা মা,যদি এ দেশে নিরাপত্তা হিনতায় ভোগে তার জন্য দায়ি আপনি নিজেই....