এক দেশে ছিল ছোট্ট একটি মেয়ে। এঞ্জেল এর নির্ঝর হাসি থেকে তার জন্ম। সব থাকার পর ও সে ছিল খুব একা। তার নিজের একটা অদ্ভুত জগৎ ছিল। সে চাইতো তার সেই জগতে সবাইকে নিয়ে বিচরন করতে। জীবনে সে অনেক মানুষের দেখা পেয়েছে। কিন্তু কেউ তার জীবনে স্থায়ী হয়নি। তার কথা শুনে সবাই তাকে পছন্দ করতো। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নিজের কর্ম ব্যস্ত জীবনে সবাইকে ফিরে যেতে হতো আর সে হয়ে পড়তো আরো একা..।

বহু দূরের এক গ্রহে কিছু প্রাণী পৃথিবীর মানুষের উপর গবেষনা করছিল। তারা কয়েকজন কে পর্যবেক্ষনের দায়ীত্ব দেয়। তার মাঝেই একটি প্রাণীর দৃষ্টি পড়ে সেই ছোট্ট মেয়েটির উপর। দিনের পর দিন সে মেয়েটিকে বুঝতে চেষ্টা করে। এক সময় সে মেয়েটির ভয়াবহ একাকীত্ব অনুভব করতে থাকে আর তাকে সাহায্য করার জন্য ছটফট করতে থাকে। একদিন সে মানুষের বেশে পৃথিবীতে নেমে আসে...

খুব কাছ থেকে মেয়েটির সাথে মিশে তার এক ধরনের চাপা কষ্ট হতে থাকে মেয়েটির জন্য। মেয়েটির চিন্তা-চেতনা সবই কেমন যেন অন্যরকম, সবার সাথে ঠিক মেলানো যায়না। মেয়েটিকে তার ভালো লাগে। তার জন্য কিছু করতে ইচ্ছে করে। বেশ ক’টা দিন সে থাকে মেয়েটির সাথে। তারা খুব ভালো বন্ধু হয়। তারপর আসে তার যাবার দিন। সেদিন সে মেয়েটিকে বলে সে আসলে মানুষ না। এসেছে বহু দূরের এক গ্রহ থেকে। সেখানেই সে ফিরে যাবে আবার। মেয়েটি ভীষন কষ্ট পায়। খুব কাঁদে। কাঁদতে কাঁদতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে...

পরদিন সকালে যখন মেয়েটির ঘুম ভাঙ্গে, সে তার বন্ধুকে আর দেখতে পায় না। কিন্তু তার বিছানায় পা দুলিয়ে বসে থাকতে দেখে একটি রোবট কে।“আমি তোমার সেই বন্ধু যাকে তুমি এতদিন ধরে খুঁজেছ, যে তোমাকে ছেড়ে কোন দিন যাবেনা। কখনো না।“ সে ঘাড় ফিরিয়ে বলে...