ইচ্ছেতরি জানতে পারেনি, তার চোখের হৃদজ্বলুনি দ্যুতি নিমেষেই ছারখার করে দেয় সন্মুখে অনিমেষ জমে থাকা সব আবছা মধুর কাব্য প্রলেপ।কত কত যে স্বপ্নের বিনির্মাণে মুগ্ধতার প্রলয় বয়ে গেছে কোনও এক কালে। এখন নিভৃতে দূর্বাঘাসের সাথে খরতাপের স্বার্থসিদ্ধির লুকোচুরি দেখি।কতটা বেলা বয়ে গেছে জানা নেই,জানতে গেলে হোঁচট খাবো, তাই এই অনাগ্রহ, এই অপারগতা।স্মৃতিরা বিরতিহীনভাবে সংঘবদ্ধ,কখনও কখনও অভুক্ত চাঁদকে উপেক্ষা করে জোসনার দ্যুতি ভেদ করে রাত্রির আলপনা লণ্ডভণ্ড করে দেয় আকস্মিক আক্রমণে।তারই মাঝে চিক চিক করে ওঠে বুনো হাঁসের পারিজায়ী দিগন্ত অতিক্রম।চারিদিক থেকে নিঃশব্দে ভেসে আসে শহুরে হলাহলের অনুকম্প, কেউ যান্ত্রিক বিভীষিকায় বিপন্ন আর কেউ উন্মুক্ত অনুগল্পে সাঁঝের মায়া বুনতে ব্যাতিব্যাস্ত।এ এক অব্যাক্ত সুখ বৈকি, কখনও হয়তো তোমার রাত্রিগুলোও পার হয়ে যেত অভিমানের পসরা সাজিয়ে অনাকাংখিত বেগে ঠিকরে আসা হলুদ ব্যাধির দৌরাত্য ঠেকাতে ঠেকাতে।স্যাঁতস্যাঁতে বালিশে তোমার বেদনাগুলোও চক্রক্রমিক হারে সম্প্রসারিত হতো মেঝে পর্যন্ত।কখনও ভেবে দেখনি তোমার এই উদবেলিত আবেগের বাকচাপল্য ইউক্যালিপটাসের গোঁড়ায় বসে কত কত বিভ্রান্তিকে বিশ্বাসের দাবানলে ভস্ম করে ফেলতো।এতকাল পরেও, যেখানে সুখ আসে,যখনই প্রশান্তির আনুকুল্য পাই, চারিপাশ জুড়ে প্রেম বসন্তের একটি মাত্র মুখ ভেসে ওঠে সবটুকু আধারকে অবলুপ্ত করে।আমি জানি তুমি বর্তমানেই আশ্বস্ত,অপ্রাপ্তির অসম অনুভুতি তোমার ইন্দ্রিয়ের প্রান্তটুকুও স্পর্শ করতে পারেনি কোনওকালে।প্রসাধনীর অনিয়ন্ত্রিত বিন্যাস তোমার বলিরখায় অগ্রাহ্যের এততুকুও ছাপ ফেলতে পারেনি, কিন্তু তীরবর্তী উপকূলের উপলখণ্ডে তীর্থের মতো দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বাসের হাত টি ধরে একটিবারও তীরে ওঠার চেষ্টা করনি।হয়তো রাতের পর রাত দিনের পর দিন পার হয়ে একারণেই তোমার যত অপ্রাপ্তি, যত বিক্ষিপ্ত হৃদজ্বলুনি।তুমিও পুড়ছ, পৃথিবীও পুড়ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৬