নির্লিপ্ত চোখে ভীষণ নির্বিঘ্নে মহাকালের প্রলেপ পড়া যন্ত্রণাগুলোর উচ্ছোষণ দেখছি আমি ঘুমে নির্ঘুমে অনবরত।উদ্বিগ্নতার আড়মোড়া ভেঙ্গে উদ্যমী স্বপ্নসত্তা কতটা নিরুপদ্রব সন্ধ্যা পার করছে তা আজ অবধি জানা হলনা অসঙ্গতির আনাগোনায়।আমি আড়ালেই থেকে গেলাম বিভ্রান্তির সুতো আলগা করতে করতে দীপান্বিতার আলোছায়ায়,হয়তো ঢেউ তুলে ইচ্ছেরা ছুটে যাবে সংঘবদ্ধ শ্যাওলার স্থুপ ভেদ করে দূরে অনেক দূরে।বড় বেশি অপ্রাপ্তির রঙ লেগে আছে সেইসব অচেনা সুতোর কোল জুড়ে,কখনও থেমে থাকা কষ্ট কিংবা ভুল পাতায় তরস্বান কাঠ পেন্সিলের অবুঝ আকিবুকি।বালুঘড়িতে থেমে থাকে সময়ের যত জট ও বিষাদের ক্ষিপ্রতা।জলমুখো চাতকেরা ছুটছে ঊর্ধ্ব থেকে ঊর্ধ্বতর,তবুও মুগ্ধতার বুনন অপেক্ষা করে ভুলভাল সব চিত্রাঙ্কনের অস্থিতে, মজ্জায়, কার্নিশে কার্নিশে প্রতিদিন।দুর্ধর্ষ সব গল্পের প্রবাহে ভর করে আমি ভেসে চলছি অনবদ্য এক তিরোধানের তীর ঘেঁষে।দিস্তা দিস্তা সংশয় আর সহ্যের বুনটে প্রানহীন মনে হয় মাঝে মাঝে নিজেকে।ঠিক জানিনা কোথায় গিয়ে থামবো,তাই মেঘহীন আকাশের নিচে হামাগুড়ি দিয়ে সময় কে অতিক্রম করে চলেছি।অবসানের শংকা আমাকে উদরদস্থ করেনি তাই হেরে যাওয়ার ভয় ও নেই।প্রাপ্তির শেষ বিন্দুতে একটি নির্মোহ সুখ অপেক্ষা করে আছে তা নিশ্চিত করে জানি।অস্বস্তির সাথে মিশে থাকা সেই অস্তিত্বই আমাকে বাচিয়ে রাখে প্রতিদিন।প্রতি রাতেই আমি আরও একটি সকাল দেখার অপেক্ষা না করে ঘুমুতে যাই, কিন্তু একটি মুখের অপেক্ষা অবশ্যই করি।ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসা শরীরটা গুমোটবদ্ধ সময় আবহকে ভেঙ্গেচুরে স্বপ্নকে জয় করতে চায়,স্পর্ধার তীক্ষ্ণতা কমেনি কখনও সাথে স্মৃতিরও।সারাটা আবেগ জুড়ে অন্ধকার নামে,সেই সাথে ক্লান্তির নীহার।পিছন ফিরে তাকালেই চোখে পড়ে একেবেকে চলা অসমতল নির্মম পথ,পদচিহ্ন আর প্রার্থনাগুলো। শীতের রাতের কুয়াশা ভেদ করা আবছা এলোমেলো অবয়ব,তারও অনেক পিছনে ক্লান্তিহীন স্বস্তির আবেশে জড়ানো প্রানবন্ত শৈশব, কৈশোর আর তারুন্য।ওখানেই ফিরে যেতে চাই আরও একটিবার,সব অবসাদের প্রান্ত ডিঙ্গিয়ে পৌঁছে যেতে চাই প্রানখোলা নিঃশ্বাসের উদারতায়।কিংবা সামনের অবারিত দিগন্তে নির্মল হাসি জড়ানো প্রিয় সন্তানের নিঃশব্দ সরলতায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৯