বৃষ্টিভেজা আকাশের মত স্বচ্ছসুন্দর সদ্যস্নাতা,
পিঠে ছড়ানো কেশদাম হতে টুপটাপ জল ঝরছে বৃষ্টতে ভেজা নারকেল আর খেজুর পাতার মত ।
আমাকে হতবাক করে সামনে দাঁড়ালে -যেন জলসিক্ত শ্বেত শতদল।
প্রতিটি পাপড়িতে দলে উপদলে বৃন্ত বৃতিতে-তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম অতীতের অবশিষ্টাংশ,.... নেই নেই কিছুই বাকী নেই সেখানে আর-- পরিবর্তে ঝলমল ঝলমল হাসে সুখের রঙিন জল।
অতঃপর অনেক কষ্টে দীর্ঘশ্বাস চাপলাম, তোমাকে মাপলাম সূক্ষ্ম দৃষ্টির নিক্তিতে ।
একটুও বিচলিত হলে না তুমি আমার বিরহদগ্ধ উদাসীন নীলকন্ঠ রূপান্তর দেখে ।
বরষার পরে শরৎ এসেছে ভূবনে তোমার,
সবুজে সবুজে ভরপুর চারদিক।
আকাশে ভাসছে ধবল মেঘের ভেলা,
বাতাসে মিশেছে ফোঁটা শিউলির সুবাস;
সূর্য্যোদয় হয় ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দুতে ।
আর আমি অনেক আগেই হারিয়েছি ফাগুন
স্মৃতির আগুন আর গ্রীষ্মের দহনে তামাটে হয়েছে আমার হৃদয়ভূমি...
শত বর্ষনেও ভিজবে না তা
দ্বিতীয় অঙ্কুরোদ্গমের কোনই সম্ভাবনা নেই সেখানে।*********।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯