somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবী সম্পর্কে এতোদিন যা জেনেছেন সব ভুল /:) /:)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোটোবেলা থেকেই আমরা জানি যে পৃথিবী কমলালেবুর মতো গোল। আমাদের এটাই পড়ানো হয়েছে। কিন্তু আসলেই কি পৃথিবী গোল? আপনি কখনো দেখছেন পৃথিবী গোল? না, কারণ পৃথিবী তো গোলই না। পৃথিবী হচ্ছে পিরিচের মতো চ্যাপ্টা। পৃথিবীর কেন্দ্র হচ্ছে নর্থ পোল বা উত্তর মেরু, আর অ্যান্টার্টিকা হচ্ছে পৃথিবীর ধারের বিশাল বরফের দেয়াল, যাতে পৃথিবীর কিনার থেকে নিচে না পড়ে যায়।

পৃথিবী যে চ্যাপ্টা বিশ্বাস হয় না? তাহলে বাইরে গিয়ে নদী থাকলে নদী বরাবর তাকান। অনেকদূর পর্যন্ত দেখতে পাবেন আপনি, প্রায় ৬ মাইলের মতো। কিন্তু ওটাকে আপনি সমতলই দেখবেন। পৃথিবী গোল হলে তো ৬ মাইলে আপনি একটু হলেও নিচে নামতে দেখতেন। ষড়যন্ত্রকারী নাসা এবং মূর্খ বিজ্ঞানীদের মতেই তো ৬ মাইলের মতো দূরত্বে পৃথিবীর ১ ফুটের মতো নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেখতে পান নিচে নামাটা, ঐ এক ফুট বক্রটা? না পান না। এটা কিন্তু পরীক্ষালব্ধও। স্যামুয়েল রোবোথাম ১৯শতকে এটা পরীক্ষা করে দেখেছেন।

ওহ, তাহলে তো প্রশ্ন জাগছে, চ্যাপ্টা পৃথিবী হলে এটা সূর্যের চারপাশ দিয়ে কিভাবে ঘুরে? কিভাবেই বা দিন-রাত হয়?
এই তো আরেকটা ভুল। সূর্যই তো পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে। প্রাচীন যুগের মানুষেরাই তো এটা বলে গেছে। আধুনিক কালের বিজ্ঞানীরা নাম কামানোর জন্য মিথ্যা ছড়িয়েছে যে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরে। প্রাচীন যুগের মানুষদের জ্ঞানের সাথে টেক্কা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলেই তো তারা এভাবে নাম কামানোর ধান্ধা করছে। প্রাচীন যুগের সাধারণ মানুষেরা পিরামিড বানিয়েছিলো, হ্যাঁ, সাধারণ মানুষেরাই... আধুনিক যুগের মহাজ্ঞানী জ্ঞানী বিজ্ঞানীরা তো এখনো ঐটা বানানোর কৌশলই আবিষ্কার করতে পারলো না।
হ্যাঁ, সূর্যই ঘুরে পৃথিবীর ওপরে। পৃথিবী বড়ো হওয়ায় ছোটো সূর্য একসাথে পুরোটা কভার করতে পারে না, তাই একবার এক জায়গায় আলো দেয়, পরে ঘুরে গিয়ে আরেক জায়গায় আলো দেয়। বিজ্ঞানীদের মতে সূর্য নাকি অনেক দূরে আর অনেক বড়ো। আসলে এমন না, সূর্য আসলে পৃথিবীর মাত্র কয়েক হাজার মাইল ওপরে, আর এটা মাত্র ৩২ মাইলের একটা বৃত্তমাত্র।

এই আধুনিক বিজ্ঞানীরাই তো 'গ্রাভিটি' নামক হোক্সের আবিষ্কার করেছিলো। এক পাগলা নিউটন তার মাথায় আপেল পড়া সহ্য করতে পারে নাই। তাই গ্রাভিটির থিউরি দিয়ে দিছে। আপেল পড়ে মনে হয় তার মাথার ঘিলুও এলোমেলো হয়ে গেছিলো। যাই হোক, গ্রাভিটির ঐ থিউরি বলে গ্রাভিটির জন্যই নাকি সব কিছু নিচে পড়ে, কেন্দ্রের দিকে আকর্ষিত হয়। পুরাই ভুল একটা কথা। যদি গ্রাভিটি থাকতো, তাহলে এই চ্যাপ্টা পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরে গেলে আমাদেরকে কেন্দ্রের দিকে হেলে থাকা লাগতো। কই আমাদের দিকে হেলে থাকা লাগে? আসলে গ্রাভিটি বলে কিছুই নাই, বরং পৃথিবীই সূর্যকে নিয়ে ওপরের দিকে উঠছে। আমরা লাফ দিয়ে কিন্তু নিচে পড়ি না, বরং আমরা ওপরেই থাকি, আর পৃথিবী আমাদের পায়ের নিচে এসে আমাদের ভর নেয়। লাফিয়ে লাফিয়ে নিজেরাই পরীক্ষা করতে পারবেন এটা।

পৃথিবী চ্যাপ্টা হলে আকাশ এমন গোল লাগে কেন? প্রশ্ন জাগতেই পারে। প্রশ্ন জাগা জ্ঞানের লক্ষণ। মাথার ওপরে আপনারা যে আকাশ দেখেন ওটা আসলে স্বচ্ছ একটা গম্বুজ। আর গম্বুজ তো একটু গোলই হয়। এইজন্যই গোল লাগে। আকাশে যে তারা দেখেন আপনারা, ঐ তারাগুলো কিন্তু এই গম্বুজেই লেগে আছে। সূর্যের আলো বেশি হওয়ায় দিনে এগুলো দেখা যায় না, শুধু রাতেই দেখা যায়। খুবই সহজ একটা ব্যাপার, আর আধুনিক বিজ্ঞানীরা তো লাইট
ইয়ার, ফাইটইয়ার কতো কী বানায়া ফেলছে - বেশি স্টার ওয়ার্স দেখলে যা হয় আর কী! মহাশূণ্য বলে কিছুই নাই। ইন্টারনেটে মহাশুন্যের যা কিছু দেখেন, সব নাসা ফিল্ম কোম্পানির ফিল্ম।

সূর্য যদি পৃথিবীর বেশি কাছে চলে আসে তখন গ্রীষ্মকাল হয় আর বেশি দূরে সরে গেলে হয় শীতকাল। যখন ঠিক জায়গামতো থাকে তখন হয় বসন্তকাল বা শরৎকাল।

পৃথিবীর উল্টাপৃষ্ঠে কিছু শক্তিশালি চুম্বক আছে, ওগুলো পানির নিয়ন্ত্রণ করে। আপনারা জোয়ার ভাটার ব্যাপারে যা শুনছেন তার আসল ব্যাখ্যা এটা।

......
......
......

ফ্ল্যাট আর্থ বিলিভারদের ভাবনা এইগুলো। আরো কিছু কিছু আছে, তবে আমি আর এরপরে বেশি নিতে পারি নাই। জীবনে প্রথমবারের মতো মনে হচ্ছে, না ভাই আমি পাগল না। এখনো যথেষ্ট হিতাহিত জ্ঞান আছে আমার মধ্যে।
গ্রাভিটি বইলা কিছু নাই - এইটা পইড়াই তো খাড়া থেইকা পইড়া গেছিলাম, কপাল ভালো পৃথিবী উইঠা আইসা আমারে নিচ থেইকা সাপোর্ট দিছিলো - নাইলে তো এখনো পড়া অবস্থাতেই ভাইসা থাকতাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৩
৩৩টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×