শরৎচন্দ্রের রাজলক্ষ্মী। যার কপালে বসন্তের দাগ ছিল; আর সবাই ঘেন্নায় চোখ ফিরিয়ে নিত তার থেকে ! সেখানটায় চুমো খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয় – ভালোবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসে নি।
কিছু সাদাসিটে মানুষ গুলো প্রায় সময় আমাকে লজ্জায় ফেলে দেয় ! তাদের দেখলে উপলব্ধি করা যায় ; আসলেই ভালোবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসে নি। সবাই ভালবাসতে পারে না। এত সৌভাগ্য সবার হয় না।
প্রায় সময় রাস্তায় বের হলে কিছু প্রেমিক প্রেমিকার দেখা পাওয়া যায়। খুব সুন্দর কোন ছেলেকে দেখা যায় একেবারেই দেখতে কুৎসিত টাইপ একটি মেয়েকে আগলে রেখেছে।
ভয়াবহ রূপবতী কাউকে দেখা যায় একদম যাচ্ছেতা এক তরুণকে ভালোবেসে ফুচকা খাওয়াচ্ছে !
এদের বন্ধু বান্ধব অনেকেই হয়ত আড়ালে এদের নিয়ে হাসে। কেউ হয়ত মুখ লজ্জা ভুলে বলেও ফেলে - এই মেয়েটাকে তোমার পাশে একেবারেই মানায় না। এরা কী জবাব দেয় আমি জানি না। হয়ত কেও দুষ্টুভাবে হেসে কথাটি উরিয়ে দেয়! হয়ত কেও মিষ্টি হাসি দিয়ে সুন্দর কিছু বাণী শুনায় বন্ধুকে! হয়ত আরও অনেক কিছু!
আমি জানি এই মানুষ গুলো যখন একজন অন্যজনের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে তখন পৃথিবীটা এক আশ্চর্য রকমের শিশু হয়ে যায় ! প্লাস মাইনাসের এক ঘেয়ামি লাইফে এরা দুজন যেন একটু খানি ছাতিম গাছের ছায়া !
একটা গ্লানিবোধ দুমড়ে মুচরে ধরে আমাকে। আহা ! এভাবে যদি কাউকে ভালোবাসা যেত !
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৯