Man is what he thinks. মানুষ তার চিন্তার সমান বড়।[/sb
কিছু করা বা হওয়ার আগে অবশ্যই সেটা একজনের চিন্তার জগতে আলোড়ন তুলবে, স্বপ্ন দেখবে, কাজ করবে, ব্যর্থ হবে তারপর এক সময় যথাস্থানে পৌছে যাবে সফল হবে।
কিন্তু যদি কারো চিন্তাশক্তিকেই পঙ্গু করে দেয়া হয়? কারো স্বপ্ন দেখার শক্তিকে যদি তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়া হয়?
#তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, তোর মাথায় গোবর পোরা, কাল থেকে রিক্সা চালাবি, খয়রাত করবি#
পাশ্চাত্যের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ছাত্রদেরকে যেভাবে ওয়েলকাম করা হয়, আমাদের দেশে ঠিক তার উলটো। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যলয় গুলির ব্যাপার ভালো হতে পারে যেহেতু ওখানে স্টুডেন্টদের টাকার কাছে প্রতিষ্ঠান মুখাপেক্ষী থাকে।
ছোটবেলা থেকে এ পর্যন্ত যত প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেছি তার সংখ্যা দশের কম হবেনা। দুয়েকজন ছাড়া কোথাও জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন করার মত, আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখানোর মত মানুষ (শিক্ষক বা অন্য যে কেউ) খুঁজে পাইনি।
বরঞ্চ দেখা গেছে কথায় কথায় শিক্ষক মহোদয়গণ "এ গাধার মাথায় গোবর পোরা, একে দিয়ে হালচাষও হবেনা হবেনা বলতে শুনেছি। মাথায় ডাস্টারের বাড়ি মারা, টেবিলের নিচে মাথা পুরে দেয়া, কান ধরে সবার সামনে রোদে দাড় করানো, মেয়ে দিয়ে ছেলেদের কান মলানো হেন কাজ নেই যা তারা করান না। কর্পোরাল পানিশমেন্ট ব্যান করা হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানে গোপনে গাপনে এসব চলে। মাদ্রাসায় হুজুরেরা পেটায় আর ছাত্রদেরকে ভয় দেখানোর জন্য ফার্সি বয়েত মুখস্থ করায় শেকায়েত কুনাদ হার কে উস্তাদরা, গেরেফতারে বশাদ বালা চারেরা। (উস্তাদের শেকায়েত করলে ৪ টি বিপদে আপতিত হতে হবে)।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে এসেও ছাত্রদেরকে কম হেনস্থা হতে দেখিনি সম্মানীয় শিক্ষকদের হাতে।
অথচ পশ্চিমারা এমনকি আরবদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও শিক্ষকদের বন্ধুসুলভ আচরণে অভিভূত হতে হয়।
আরব, ইরানী, তুর্কি, ইংরেজ, জাপানী, চায়নিজ, আফ্রিকান, কোরিয়ান প্রভৃতি এলাকার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে কম বেশি পরিচিতি ঘটার কারণে বুঝেছি আমাদের দেশে কেন সেই ছেলে হয়না, যে জগৎসভায় দেশের শির উচ্চ করে ধরবে।
তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, কাল থেকে রিক্সা চালাবি, খয়রাত করবি এসব কথা বলে কোমলমতি ছাত্রদের মনে যে কত বড় নেতিবাচক ক্ষতের সৃষ্টি করে দেয়া হয় তা এসব শিক্ষিত অবুঝ মাস্টারগুলোকে কেমনে বুঝাই? আফসোস! আফসোস!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২