somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামু ব্লগের আধুনিকায়ন জরুরী নয় কি?

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সামু ব্লগের অন্যতম নীরব পাঠক আমি। প্রতিদিনই আসি আর গত দশকের মতো আজো মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাই। লগইন করা হয়ে ওঠেনা। লগইন যে করিনা বা করতে চাইনা তা নয়, আসলে সামু লগইন করার জন্য ভালো কোন ব্যবস্থাই রাখেনি। 2006 এ সম্ভবত সামুর সাথে আমার প্রথম পরিচয়। তখন একজন একনিষ্ঠ পাঠক মাত্র। রেজিষ্ট্রেশন করার তাগিদ কখনো বোধ করিনি। অনেক পরে যখন রেজিষ্ট্রেশন করলাম তার তিন বছর পর জেনারেল করা হলো। সে আরেক কাহিনী! সেদিকে না গিয়ে মুল ঘটনায় আসি। একজন প্রখ্যাত ব্লগার রাজীব নুরের একটি লেখা চোখে পড়লো যার সারমর্ম হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার পার্টিতে ব্লগাররা উপেক্ষিত কেনো। হ্যাঁ তাইতো, ফেসবুকে সব তথ্যে ভেজাল। নিখাদ তথ্য পাওয়া যায় একমাত্র ব্লগে। কিন্তু তাও উপেক্ষিত কেনো।


কারণ হিসেবে আমার কেন যেনো মনে হয় ব্লগগুলোর টেকনিক্যাল ফিচারগুলোই সবচেয়ে বেশী দায়ী। ব্লগ বড় বেশী সেকেলে। সেকারণেই ব্লগার বা ব্লগগুলো খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেনি। বর্তমান সময়ে সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন, কিন্তু এই ফোনগুলো থেকে সামুকে উপভোগ করা প্রায় দুষ্কর। কোন প্লাটফরমের এপস না থাকার কারণে সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে মোবাইল থেকে সামু খুবই বাজে লাগে। ছবিগুলো ঠিকমতো দেখা যায়না। লগইন করতে অসুবিধা হয়। আর পোষ্ট দেয়াতো আরো কঠিন লাগে আমার কাছে। যদিও ফেসবুক বা অন্যান্য মিডিয়ার চাইতে ব্লগে লেখনীর পরিচ্ছন্নতা অনেক বেশী তবুও মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য যে বিষয়গুলো ব্লগে থাকা প্রয়োজন তা থাকেনি। মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে টেকনোলজির সহায়তা নিয়ে জোর খাটাতে হয়, তা হচ্ছে নোটিফিকেশন। আর নোটিফিকেশনের সবচে ভালো উপায় হচ্ছে এপস। 2018তে এসে একটি সামু এপসের চরম অভাববোধ করছি। অন্যদিকে ফেসবুক গ্রুপ বা ইউটিউবারদের জন্য প্লাটফরমগুলো টেকনিক্যালি উন্নত হওয়ায় এদের সম্পর্কে মানুষ জানে বেশী। বর্তমান প্রজন্ম অর্থাৎ যারা ফেসবুক ইউটিউবের প্রসারের সময়ে এসে টেকনোলজির ছোঁয়া পাচ্ছে তারা কয়জন সামু ব্লগ সম্পর্কে জানে তা আমার সন্দেহ আছে। কারণ একটাই, সেই ‘নোটিফিকেশন’। এছাড়া ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বাদই দিলাম। আমার মতে সামু ব্লগটিকে আরো বেশী ইন্টারএকটিভ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করা উচিত। আমি অনেকদিন লিখিনা তাই বিশেষ কোন উন্নতি হয়েছে কিনা জানিনা, কিন্তু সাত আট বছর আগে একটা ইমেজ সেট করতে গেলেই অনেক যন্ত্রণা পোহাতে হতো। এছাড়া ইমোজিগুলোও আপডেট হয়নি। এসব অনেক কারণে এমন একটা সমৃদ্ধ প্লাটফরম ছেড়ে অনেকে ফেসবুকের রঙ্গীন দুনিয়ায় চলে যাচ্ছে। আর যাই হোকনা কেনো যুগের সাথে তাল মেলাতে হলে সামুর আধুনিকায়ন খুব বেশী জরুরী। পুরো ডিজাইন, প্যাটার্ন, সিস্টেম কোনটাই এখনকার সময়ের সাথে সামঞ্জ্যস্য পূর্ণ নয়। মানুষের তথ্য পাওয়ার মাধ্যমে বেড়ে গেছে কিন্তু পুরো দিনটি 24 ঘন্টাতেই রয়ে গেছে। তাই এই 24 ঘন্টার মধ্যেই ফেসবুক, টুইটার আর ইউটিউবের সাথে গা ঘেঁষাঘেষি করে মানুষের হাতের ডিভাইসে ঢুকে পড়তে হবে। সেটি না পারলে আস্তে আস্তে সামু বিলীন হয়ে যাওয়াও কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদি সামু কর্তৃপক্ষ মনে করে যে সামুর উন্নয়ন প্রয়োজন তাহলে প্রথমে কি কি ফিচার আনা যায় তার জন্য একটি পোষ্ট দিয়ে আইডিয়া আহবান করা যেতে পারে। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি টিম গঠন করে গিটহাবের মাধ্যমে টিম প্রজেক্ট শুরু করতে পারে। সামু যদি গণমানুষের মাধ্যম হয়ে ওঠে তবে প্রধানমন্ত্রী উপক্ষো তো করবেই না বরং দেশের ভালো মন্দের ফ্যাক্টরের জন্য একটি অংশ হিসেবে দাড়িয়ে যাবে প্রিয় সামু।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×