somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমান সময়ের কীট

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বর্তমান সময়ের কীট
======================


বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির নিত্য নতুন কিছু ফালতু ব্যবহার দেখে আমি রীতিমত হতাশ হই। এরা প্রযুক্তি ব্যবহার যতটুকুই শিখে তা কিভাবে ভালো কাজে লাগানো যাবে তা শেখার আগেই কু-কর্ম বা অপকর্মে ব্যবহারে পারর্শী হয়ে ওঠে।

কারনটা সম্ভবত সহজ লভ্যতা। আপনার আমার ডানে বায়ে অপব্যবহার গুলোই বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। পরিবেশটা এমন থাকে যেনো সেই কু-কর্ম বা অপকর্মগুলোই হচ্ছে খুব সাধারণ এবং গতানুগতিক। নিত্য নতুন কিছু কু-রুচি পূর্ণ শব্দ বা প্রকৃত অর্থে মূল্যহীন বা অর্থহীন শব্দ ব্যবহার ওরা আত্বস্ত করে নিজেকে হেভি স্মার্ট বা যুগোপযোগী হিসেবে ধরে নেয়। এবং সেই স্মার্টনেস নিয়েই শুরু হয় তাদের সবত্র বিচরণ। তা কারনে হোক বা অকারনে। যৌক্তিক হোক বা অযৌক্তিক। এরা কী করছে? কেনো করছে? তার উত্তর ওরা নিজেরাই দিতে পারে না। যা করছে, তা না কোন স্মার্টনেস? না কোন বিনোদন? না কোন নতুন ধারা চিন্তার বহিপ্রকাশ? যা করছে তার সবই এক প্রকার বিকৃত আচরণ কথা বার্তা আর রুচিহীন চিন্তা ভাবনার বহিপ্রকাশ।

শুধু তাই নয়, বাবা মার টাকা পয়সা নষ্ট করে যে সব নামি দামি স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে সেই শিক্ষা কেও ছোট করছে। ছোট করছে নিজের এবং নিজের বাবা মার পরিচয় এবং সম্মান। এদের সেই বিকৃত আচরণ চিন্তা ভাবনা আর প্রযুক্তি ব্যবহারে ওরা যা করছে তা থেকে বর্তমান সময়ে কেউ ই ছাড় পাচ্ছে না। তা তার সমবয়সী বড় বা ছোট সবাই। তাদের সেই বিকৃত চর্চার শিকার হচ্ছে। আবার কখনো কখনো সেই বিকৃত আচরণ ই ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের চারপাশে। এদের কথা বার্তা আচরণ মূল্যবোধ দিন দিন তলানিতে যাচ্ছে। এরা চোখ থাকতেও অন্ধ। কান থাকতেও এরা বয়রা। হাত পা থাকতেও এরা পঙ্গু বা লোলা। এরা বর্তমান সময়ে যত ধরনের নোরাং বিষয়বস্তু আর নামে বিনোদন ছড়িয়ে আছে তাতে এদের সময় কাটে। এরা যেখানে যায় এবং যতটুকু সময় যাদের সাথে ব্যয় করে তার অধিকাংশ ই সময় অপচয় করে একি ইস্যু নিয়ে।

এরা গরুর রচনা শেখার পর, রচনার লেখার কথা বললেই শুধু গরুর রচনা লিখতে বসে। রচনা মানে ই গরু বা গরুর রচনা। এর বাইরে রচনা বিষয় নিয়ে এদের মাথায় কিছু কাজ করে না। আপনি আমি এদের কে কুকুর, বিডাল, ভেড়া মহিষ যা নিয়েই রচনা লিখতে বলি না কেনো, এরা ঘুরে ফিরে আপনাকে আমাকে গরুর রচনা লিখে দেখাবে। এবং সেটা কিভাবে গরুর রচনা হলো সেটা অনেক হাস্যকর যুক্তি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করবে। যদিও সেই হাস্যকর যুক্তিগুলো ওদের কাছে পিথাগোরাসের উপপাদ্যের মতো।

এরা আজকে যেগুলো কে বিনোদন আর স্মার্টনেস হিসেবে মাথায় ধারন করছে। সাধারণ মানুষ আর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ভালো ভালো উদ্যোগ কে নিয়ে উপহাশ করেছে। একটা সময় সেই সাধারণ মানুষগুলোর খুঁজেই রাস্তায় রাস্তায় কুকুরের মতো ঘুরে বেড়ায় নিজের জীবন আর জীবিকার জন্য । এদের নিয়ে পুরো বিশ্ব তখন হাসি তামাশায় মাতে। তখন অবশ্য এরা কাপুরুষের মত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে ওপারে গিয়ে বাঁচার মিথ্যে চেষ্টা করে। যদিও সেই কাপুরুষের মতো কাজটিকে তারা নিজেদের বীরত্ব ভেবেই করে। পরিবার আত্মীয় স্বজন এবং সমাজ সবার কাছে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে চিরতরে কলঙ্কিত করে চলে যায় ওপারে।

এরা পরিবার সমাজ জাতি এবং দেশের কীট। এরা আমাদের সুস্থ্য সুন্দর থাকার পরিবেশ, বোধ চর্চার জায়গা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি চর্চা এবং সর্বোপরি পুরো দেশেকে কোলষিত করছে। এরা আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ছন্মনামে মুখোশ পড়ে থাকে। এরা ভালো মানুষদের বিচরণের জায়গাগুলোতে চোরের মতো লুকিয়ে থাকে। আর ওদের সৃষ্ট নষ্ট পরিবেশে অন্যকে ছোট করে, খাটো করে বা হাসি তামাশার বস্তু বানিয়ে নিজেকে মহা কিছু হিসেবে উপস্থাপন করে। আর তার মতো আরো কিছু কুলাঙ্গার বাহ্ বাহ্ বলে এলিয়ে বেলিয়ে দাত কিলিয়ে বিলিয়ে... লাইক আর কমেন্টে মশগুল থাকে।

সাবধান এ রকম যে কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী বা গ্রুপ থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। নিজে ভালো থাকুন অন্যজনকে ভালো থাকতে দিন। যদি সময় করতে পারেন...

নিজে বই পড়ুন। অন্যকে বই পড়াতে উৎসাহিত করুন।
নিজে গল্প কবিতা লিখুন। অন্যকে গল্প কবিতা লিখতে উৎসাহিত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×