
এই কয়েক বছর আগেও খুব শুনতে পেতাম—প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনা দরকার। কথাটা তো মিথ্যে নয়।
রাষ্ট্রপতির হাতে যদি কিছু ক্ষমতা থাকত তাইলে প্রধানমন্ত্রীর পদধারী ব্যক্তি এত সহজে স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারত না।
স্বৈরাচারী হাসিনা বিদেশ সফর শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করলেও জুলাই আন্দোলনের জনগণের সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূস বিদেশ সফর করে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একবারের জন্যও সাক্ষাৎ করেননি। তিনি সংস্কার করে দেশ উল্টেপাল্টে দিলেন অথচ এমন একটি কথা উচ্চারণ করেননি কীভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। বৃদ্ধি তো অনেক পরের আলাপ--প্রধান উপদেষ্টার মনে হয় প্রধানতম চেষ্টা কতভাবে রাষ্ট্রপতিকে ছোট করা যায়, কীভাবে তাঁকে আরও নিষ্ক্রিয় করে রাখা যায়— এ-ব্যাপারে যেন ড. ইউনূসের শকুনে দৃষ্টি সদা সতর্ক!
হতে পারে তার বিদেশ সফরগুলোতে যে ঘোড়ার ডিম অর্জন করেছেন অত বড় ডিমের লোভ সামলাতে না পেরে নিজে একাই খেয়ে ফেলেছেন—যদি মহামান্য চুপ্পু সাহেব আবার চুপি চুপি ভাগ চেয়ে বসেন।
সে যাক। আমাদের যে সব সুশীল নামের নাপিতগুলা ক্যাঁচক্যাঁচ করত— প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনা দরকার তারা আজ চুপসে গেলেন কেন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


