আমি জানিনা কেউ এখানে কখনো ছেলে ধরার হাতে পড়েছে কিনা। আমার এই অভিঙ্জতা হয়েছে, যখন আমি কেজি টু অথবা ওয়ান এ পড়ি। তখন নারায়নগন্জ থাকি। স্কুল শিশুবাগ। রিক্সা ঠিক করা। প্রতিদিন দেয়া নেয়া করে। ঐ দিন স্কুল কোন কারণে আগে ছুটি দিয়েছে। মজা করে স্কুল থেকে বের হয়ে আমি আর আপু হাঁটা শুরু করলাম। আমলা পাড়া র ভিতর দিয়ে আসছি , রাস্তাটা নির্জন ছিলো। এক সময় দেখলাম আমাদের পিছনে এক লোকও আসছে। আমার মনে আছে লোকটা সাদা চাদর পরা ছিলো।
এক সময় সে আমাদের ডাক দিলো। আপু আমার চেয়ে চার বছরের বড়। সে ঠিকই ঘটনা আন্দাজ করতে পেরেছিলো। তাছাড়া আম্মার সাবধান বাণী তো সব সময় ছিলো।
যাই হোক আপু বল্ল তাড়াতাড়ি হাটাঁ শুরু কর। আমাদের জোরে হাটা দেখে সে সামনে এসে দাড়ালো।
বল্লো তোমাদের আব্বা আমাকে পাঠিয়েছে। তোমাদের স্কুল ব্যাগ সেলাই করা হয়েছে নিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, সেই রাতে আব্বা আম্মা স্কুলব্যাগ সেলাই এর ব্যপারে আলাপ করেছিলো। আমাদের বাসা ছিলো নীচতলা এবং রাস্তার পাশে। তার মানে সে আগেই আমাদের ফলো করতো। আমার বোন এই কথা শুনে দাড়ালো।
সে এইবার আপুকে বল্ল তুমি আমার জন্য একটা পান নিয়ে আস। বলে টাকা দিলো।
আপু এবার দিধান্বিত। বললো আমাকে না নিয়ে যাবেনা। আমার মনে আছে ঐ ব্যাটার ধমক খেয়ে তার পর আপু গিয়েছিলো। আপু যাবার পর ঐ লোক আমাকে বললো তোমার কানের দুল খুলে আমাকে দাও। ওগুলো ছোট, আমি বড় করে নিয়ে আসি আর বিস্কুট আনবো তোমার জন্য। বলে নিজেই দুলগুলো খুলে নিয়ে চলে গেলো।
আপু এসেই বলে তোর দুল কই ? আমি বললাম নিয়ে গেছে। বড় করে দেবে।
ও কান্না শুরু করে দিলো। পান এবং ফেরত পয়সা ছুড়ে মারলো রাস্তায়।
আমি বলি ওগুলো ফেলে দিলে কেন ? পান বাসায় গিয়ে খেতে পারতাম।
অপেক্ষা কর, লোকটা দুল বড় করে আনবে। এক সময় আমিও কাঁদতে শুরু কলাম , কাঁদতে কাঁদতে দুই বোন বাসায় এলাম।
আম্মার কথন, যাক তোমাদের তো কোন ক্ষতি হয়নি পরে অবশ্য হেটে আসার জন্য বকেছিলো।
আমারে মধ্য এখন ভয় কাজ করে মনে হলে এই ঘটনা।