অনেকদিন নিরুর সাথে দেখা না হওয়াটা রুটিনে পরিনত হয়ে গেছে।দু একবার সুযোগ আসলেও ব্যাস্ততার কারনে আর সময় করে উঠতে পারিনি।আজ হঠাৎ কৃষি ইউনিভার্সিটিতে নিরুর সাথে দেখা, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসেছে হয়তো।তবে আসে পাশে কাউকে না দেখে কৌতুহল হলো।কাছে যেতেই ভুত দেখার মত চমকে উঠলাম দুজনেই।
ও হয়তো হঠাৎ আমায় দেখে আর আমি ওর মলিন মুখটা দেখে।এমন কখনো দেখিনি ওকে, সব সময় হাস্যজ্জ্বল থাকতো সে।
মন খারাপ? আমি বললাম।
নিরুর উত্তর হয়তো, কিম্বা নয়।
আমি ,জীবনের কিছু সময় ধুসর প্রান্ত নিয়ে আসে যেখানে আবছায়া খেলা করে নতুন কোন মোড়ের সন্ধানে।অপেক্ষা আর ধৈর্য হয়তো শুধু সেই সময়টাকে বেছে বের করতে থাকে কী আছে ভবিষ্যৎ এ।
নিরু খুব শক্ত একটা মেয়ে, তবুও চোখের কোণে কিঞ্চিৎ ঝিলিক দিয়ে ওঠতে দেখলাম।
কিছু না বলেই চলে গেলো সে।জানি নিজেকে সামলে নিতে চাইছে।আমি জানিনা কেন যেন নিরু কে আমি ধরে ফেলতে পারি।ও কিছু না বললেও ওর মনটা পড়া হয়ে যায় , টেলিপ্যাথি হতে পারে কিম্বা অস্পষ্ট ভালোবাসা।
আমি এখন হাটছি, মনটা খারাপ হয়ে আছে।নিরুর জন্য।জানিনা আত্মিক টানেই হোক কিম্বা প্রকৃতির অজানা রহস্য ময়তার জোরেই হোক নিরুর খারাপ কিছু হলে আমার মন ও খারাপ হয়ে যায়।যদিও আমাদের রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও।ওর হয় কিনা জানিনা, মনের একটা অংশ আচ্ছন্ন হতে থাকে বেদনায় আস্তে আস্তে পুরোটা।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো , ভিজতে ভিজতে হাটতে থাকলাম।কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিসের জন্য জানা নেই, ছেলেদের কাঁদতে হয়না, কষ্ট বুকে চেপে রাখতে হয়, দু এক ফোটা জল গড়িয়ে পরলেই সেই বেদনার দাম থাকে নাহ।বৃষ্টির মধ্যে কাঁদার একটা ভালো দিক আছে কেউ বুঝতে পারবে না।তবুও আমি কাঁদার চেষ্টা করলাম ইদানিং কাঁদতে পারিনা।
তাই বৃষ্টির সাথেই গল্প শুরু করলাম, আমার খুব ইচ্ছে ছিলো একদিন নিরুর সাথে বৃষ্টি দেখতে দেখতে কফি খাবো ।নিরুর কফি খুব পছন্দ, আমার ও ।বৃষ্টির ফোঁটা জল কফিতে মিশিয়ে হয়তো ধুমায়িত কাপে চুমুক দিবো আর বৃষ্টি ছুয়ে নিরুকে মিস করবো......
২৩-৪-১৯
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫২