somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমে সেজেয়ারের একটি সাক্ষাৎকার

১৫ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমে সেজেয়ার। কবি, রাজনীতিক। জাতীয়তা ফ্রেঞ্চ। কালো মানুষদের স্বপ্নকে এগিয়ে নেওয়ার অগ্রপথিক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : কেহিয়ার ডিআন রিট্যুর আউ পেইজ অরাল, আরমেস মিরাকুলেসেস, কর্পস পেরডু প্রভৃতি। জন্ম ১৯১৩ সালের ২৬ জুন, মার্তিনিকে। মৃত্যু ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল মার্তিনিকের একটি হাসপাতালে। ১৯৯৭ সালে ‌'ইউনেস্কো কুরিয়ার'-এ প্রকাশ হয় তার একটি সাক্ষৎকার। এনিক থেবিয়া মেলসানের নেওয়া সাক্ষাৎকারটির নির্বাচিত অংশ বাংলা করা হলো



? সময় ও স্থান ধরে হিসেব করলে লেখালেখি, রাজনৈতিক কার্যক্রম মিলিয়ে আপনার কাজের পরিধি অনেক। কোন ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে বেশি হাজির করতে চান?

= উত্তর দেওয়ার জন্য এ এক ভয়ানক প্রশ্ন! আমি একজন মানুষ। মার্তিনিকের মানুষ। রঙিন মানুষ। কালো মানুষ। যে একটি বিশেষ দেশ থেকে, একটি বিশেষ ভৌগোলিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছে। সবিশেষ ঐতিহাসিক কারণে যাকে লড়তে হয়েছে। এটা যথার্থ সত্য নয়, তবু খোলা মনে বললে, আমার উত্তর হলো_ ইতিহাসই বলে দেবে আমি কে।

? আপনি মার্তিনিকের উত্তরাঞ্চল থেকে এসেছেন...

= আমার সবসময়ই মনে হয়, কোনো কিছু পুনর্জয়ের প্রশ্ন আমার সঙ্গে বসবাস করে। যেমন : আমার নাম, আমার দেশ অথবা আমি নিজেকে। আমার উদ্যোগ প্রকাশিত হয় কবিতায়। কারণ, আমার মনে হয়, এই উদ্যোগ প্রকাশনার পথটি হচ্ছে কবিতা। নিজের ভেতর দিয়ে নিজেকে পুনর্জয় করা আর কি!

? এক্ষেত্রে আপনার কাছে শ্রেয় হাতিয়ার কোনটি?

= আমার মতে, শব্দই অপরিহার্য হাতিয়ার! চিত্রশিল্পী কাছে যেমনিভাবে হাতিয়ার হলো রঙ-তুলি বা তার শিল্পকর্ম, কবির কাছে শব্দ! সম্ভবত হেইডগার [মার্টিন হেইডগার, জার্মান দার্শনিক] বলেছিলেন, শব্দ হলো মানুষের রোদে পোড়ানো ইট। এরকম অনেক উক্তি আছে। আমি বিশ্বাস করি, রেনে তার পরাবাস্তব দিনগুলোতে বলেছিলেন, যতটা আমরা শব্দ সম্পর্কে জানি, শব্দ আমাদের সম্পর্কে তারচেয়ে বেশি খোঁজ রাখে। আমিও বিশ্বাস করি, সৃষ্টিশীল কাজে সবকিছু ফাঁস করে দিতে পারে শব্দ।

? আপনি হয়তো বলবেন, কালো মানুষদের প্রথম দুনিয়া, বহুকাল নিশ্চুপ থাকার পর, শব্দের বিপ্লবে জড়ালো। আপনি কি মনে করেন, কবিতাই হলো 'বিপ্লব'?

= হ্যাঁ, বিপ্লব। কারণ, এটাই পৃথিবীর উপর দিককে নিচের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে, নিপীড়িতদের বড় করে তুলেছে, রূপান্তর ঘটিয়েছে জগতে।
১৯৪১ সালে বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন ট্রপিকসের রিভিউ মার্তিনিকে এলো, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের আত্মা পরস্পরবিরোধিতায় মুহূর্তেই সম্পূর্ণ ঔপনিবেশিক বিচ্ছিন্নতার গভীরে ডুবে গেল, যখন ভিচি সরকারের সেন্সর ওই বছরই বিপ্লব নিয়ে মন্তব্য প্রকাশের জন্য 'ট্রপিকস' নিষিদ্ধ করলেন, তিনি একজন ভালো সমালোচক হিসেবে জাহির করলেন! এ ছিল সাংস্কৃতিক বিপ্লব। কপারনিকাস বিপ্লবের মতো আমরা একে ধারণ করেছি। বিস্মিত হওয়ার মতো ব্যাপার ছিল এটা! মার্তিনিকের মানুষ বিপ্লবের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল। এ ছিল বিস্ময়কর এক প্রতি-আক্রমণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

? কোনগুলো?

= দুর্বোধ্য মানুষ হিসেবে আমাদের সংজ্ঞায়িত করা হয়। এটা একটা সমাজের জন্য সাধারণ নিয়ম। কিন্তু ঔপনিবেশিকতার ফলে অনৈক্য থাকায় জটিলতার তলানিতে গিয়ে পৌঁছা সমাজকে নির্দেশ করে এ কথা বলা হয়েছিল। সবকিছু নেগেটিভ ছিল না, তার চেয়ে দূরের কিছু। আমরা যা সাফল্য পেয়েছিলাম আর পজিভিট মহৃল্যমানের যা যা ছিল_ তার মিশ্রণে পশ্চিমা জাতি ও ইউরোপের অবদান রয়েছে। এটা পজিটিভ দিক। যার কার্যকারিতা অ-ইউরোপিয়ানরা অনেক দেরিতে অনুধাবন করেছে।
কিন্তু অনস্বীকার্য ও যুগপৎ বিষয়ে আমি যোগ করতে চাই, ভোগকারীরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালোভাবে আমাদের সহযোগী ও পার্টনার ছিল। গ্রিগর [হেনরি গ্রিগর, ফ্রেঞ্চ রাজনীতিক], ভিক্টর সোলচার [ফ্রেঞ্চ রাজনীতিক] এবং অন্য যারা বলে গেছেন এবং এখনো বলছেন, কাজ করছেন মানবাধিকারের পক্ষে, পৃথকিকরণ ও বৈষম্যের বিপক্ষে তারাই আমার জীবনের দিকনির্দেশক। পশ্চিমাদের মহানুভবতা ও সংহতির অনুভূতির প্রকাশক ছিলেন তারা। বাস্তবিকতা ও মানবিকতার মূল্যবোধকে আজকের পৃথিবীর পথে এগিয়ে দেওয়ার দিকে যা অপরিহার্য ভূমিকা রেখেছে। তাদের সংগ্রাম ও আশার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলি আমি চিরকাল তাদের ভাই।

? ১৯৭৮ সালে জেনেভায় 'জেনেভা অ্যান্ড ব্ল্যাকওয়ার্ল্ড' ইভেন্টে আপনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছিলেন। আপনি বলেছিলেন, 'কবিতার কার্যকর শক্তি তার দুটি দিকে। এক হলো, অতীতের জন্য স্মৃতিকাতরতা। অন্যটা হলো, সামনের দিকে তাকিয়ে নিজেকে উদ্ধারের সমতা দেখানো। এই দেখাই জীবনের তীষ্ট শক্তি।' আপনার ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে [কেহিয়ার ডিআন রিট্যুর আউ পেইজ অরাল] এই বাচনভঙ্গির শুরু, তাই না?

= হ্যাঁ, আমি এটাকে এভাবে দেখি : একটা নতুন শুরু, প্রকৃত শুরু_ যেখানে অনেক ভুল রয়েছে। তবু আমি ভাবি, আমার জন্য সেটা ছিল প্রকৃত নতুন পথে যাত্রা শুরু। স্মৃতি হাতড়ে দেখি_ পুড়ে যাওয়া সবকিছু গড়ে তোলা, তাকে পৃথিবীর সামনে উপস্থাপন করা। আমার ধারণা, এসব গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছিল। দমন করার জন্য নয়, প্রত্যেকের প্রতিক্রিয়া পুনর্শক্তিতে ব্যবহৃত হওয়া শব্দের অলৌকিক তলোয়ারের মাধ্যমে নিশ্চুপ পৃথিবীর বিপক্ষে প্রকাশ করার জন্য। শব্দ নিজের মধ্যে কণ্ঠরোধ করে বদ্ধ অবস্থা থেকে তাকে মুক্ত করে।

? 'কণ্ঠমুক্ত' পৃথিবীটা কেমন?

= আমি শুধু শব্দের পুনর্জাগরণ মতায় বিশ্বাস করি।

? তা কি মানুষের অবস্থাগত চাপ আর বারবার নিয়ন্ত্রণচূত হওয়ার পথ?

= মনে হয় না। ভালোবাসা আর মানবতা ছাড়া কোনো জাগরণ সম্ভব না। আমি মানুষকে বিশ্বাস করি। আমার ভেতরে সব সংষ্কৃতির কিছু না কিংছু অংশ খুঁজে পাই। মানুষের মধ্যে তার অসাধারণ প্রয়োগ, সবখানে তৈরি হয়_ কী জন্য? খুব সাধারণভাবে বাসযোগ্য জীবনের জন্য। জীবনকে বড় করে তোলা আর মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো কোনো সহজ ব্যাপার না_ যা পৃথিবীতে অহরহ ঘটছে। এই বিশাল অগ্রযাত্রায় আমরা সবাই কোনো না কোনো ভূমিকা রাখছি।
এটাকেই সংষ্কৃতি বলে, কোনো একটা মিলিত স্থান থেকে যা শুরু হয়।

? 'নেগ্রিচুড' ধারাটা আপনি আবিষ্কার করেছেন, যা এক ঐতিহাসিক মুভমেন্টে বড় ভূমিকা রেখেছে। নেগ্রিচুডকে অন্য ধারা, যেমন 'অ-কালো' থেকে আলাদা করার দাবি ওঠে না?

= সার্বজনীনতার প্রতিপ বা বিপরে কোনো ধারা হিসেবে আমরা একে ভাবি না। আমাদের মনে হয়, অন্তত আমার, নিজেদের পরিচয় খুঁজে যাওয়াই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু একই সঙ্গে বিস্তৃত জাতীয়তাবাদ বা অন্য জাতির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করতে হবে। এমনকি প্রতিবৈষম্যমূলক আচরণও।
আমাদের মনোযোগ সবসময়ই মানবিক মনোযোগের দিকে। আমরা এর গভীরেই যেতে চাই। একই সঙ্গে যোগাযোগও রাখতে চাই।
দ্বান্দিকতার পথে হেগেলের [জর্জ উইলহেম প্রেডরিক হেগেল, জার্মান দার্শনিক] প্রলেপ দেওয়ার কাজটা এটাই করেছে বলে আমার মনে হয়। এটাই আমাদের নিজেদের আলাদা করে ভাবার রাস্তাটা করে দিয়েছে। তিনি চিহ্নিত করেছেন, সবিশেষ আর সার্বজনীনতা প্রতিপক্ষ নয়। সার্বজনীনতা সবিশেষের আক্মস্বীকৃতি নয়, বরং এটা সবিশেষের গভীরতার ভেতর দিয়েই সৃষ্টি হয়।
পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের বলেছিল, কালোকে অস্বীকার করে সার্বজনীনতার পথে যেতে। আমি বিরোধিতা করে বলছিলাম, আমার নিজের কাছে আমরা সার্বজনীনতার বেশি কালো হিসেবেই আছি। এটা ছিল একেবারেই আলাদা প্রতিক্রিয়া। এটা কোনো বিকল্প পছন্দ নয়, বরং মীমাংসার জন্য একটা উদ্যোগ। কোনো ঠাণ্ডা মীমাংসা না। আগুনের উত্তাপের মীমাংসা, মধ্যযুগীয় রসায়নশাস্ত্রের মতো মীমাংসা।
কালোদের পরিচয়ের প্রশ্ন ছিল সার্বজনীনতার সঙ্গে মীমাংসার প্রশ্ন। আমার পক্ষে কোনো ধরনের পরিচয়ের মধ্যে বন্দি থাকা সম্ভব না।
পরিচয়ের বা স্বীকৃতির ভিত্তি থাকা দরকার; কিন্তু তাকে অবশ্যই সংযোগস্থাপন করতে হবে সার্বজনীনতার সঙ্গে।

? এক্ষেত্রে আগুন কি জীবনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার?

= হ্যাঁ, আপনি যেভাবে বললেন। আমার কবিতায় সন্দেহাতীতভাবে অগ্নিগুণ আছে। কিন্তু কেন? এই দ্বীপে আমি তা ধারণ করি। আমার কবিতা কেন আচ্ছন্ন করে রাখে? এটা খুব সযতনে রাখা হয়, বিষয়টা এমন না।
আমি সচেতন মানে সবাই সচেতন_ তাই এখানে মানুষের মধ্যে এতো আগ্নেয়গিরি ঘটে। এই হলো পৃথিবী। এই হলো আগুন। এই আগুন ধ্বংসাত্মক নয়। কোনো বক্র পথে এই আগ্নেয়গিরি যায় না। এ হলো মহাজাগতিক ক্রোধ, অন্য অর্থে, সৃষ্টিশীল ক্রোধ, হ্যাঁ, সৃষ্টিশীল!
নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের ভেতর থেকে আসা রোমান্টিক স্বপ্নাচ্ছন্ন সময় থেকে আমরা দূরে সরে গেছি। এই ক্ষুব্ধ, উত্তেজিত ভূমি থু থু ফেলে বমি করে এগোচ্ছে সামনের দিকে। এই নিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। এই ভূমির প্রতিটি খণ্ডাংশে আমরা সৃষ্টিশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখব! আমরা একে এগিয়ে নিয়ে যাব। সুখনিদ্রায় অতিবাহিত করে একে হারিয়ে ফেলব না। ইতিহাস ও প্রকৃতি থেকে আমাদের প্রতি এ সমন জারি করা হয়েছে।

? এখন আপনি কি আপনার 'প্রাথমিক বাচনভঙ্গি' নিয়ে বলবেন, যা উপনিবেশ ও ঔপনিবেশিকতাকে প্রকাশ করেছিল?

= এর সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমি চেয়েছিলাম_ এমন কোনো বিষয় না এটি। এই ভাষাটা স্কুলজীবনে পড়তে গিয়ে শিখেছিলাম। এটা কোনো ঝামেলা করেনি। আমার অন্তরতম বিদ্রোহ ও তার প্রবহমানতার সঙ্গে কোনো বিরোধ সৃষ্টি করেনি এটা। আমি আমার প্রয়োজনে ফ্রেঞ্চ ভাষাকে বদলে নিয়েছিলাম।প্রকৃতি ও ইতিহাস আমাদের দুটি জগতে, দুটি সংস্কৃতিটিকে ফেলে দিয়েছে। একটা হলো আফ্রিকান সংস্কৃতি_ যা আমরা বাইরে থেকে দেখি, যা আমাদের নির্ভুলভাবে নিচের দিকে ঠেলে দেয়, দেখাশোনা করে, অবজ্ঞার সঙ্গে ভয় দেখায়। আলোর সামনে উন্মোচন প্রয়োজন এর।
আরেকটা সংস্কৃতির প্রতি আমরা খুব সতর্ক ছিলাম। এই সতর্কতা এসেছে বই থেকে, স্কুল থেকে। এই সংষ্কৃতিও আমাদের। আমাদের ব্যক্তিগত ও সামগ্রিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য নিয়তি। এই দুই জগতের দ্বন্দ্বে মিটমাট চেয়েছিলাম আমি। কারণ, এটার খুব দরকার ছিল। অন্যদিকে আফ্রিকান জাতিসত্তা ও মহাকাব্যের সঙ্গে রক্তের সম্পর্কে আমি স্বস্তির সঙ্গেই দাবি করেছি।

? বিপ্লবের সময় জনগণের হৃদয়ে আপনার কবিতা বেশ প্রভাব ফেলেছিল। আপনার কি মনে হয়, কবিতা এখনো সরাসরি প্রভাব ফেলে? সবসময়ই ফেলবে?

= কবিতাকে আমার কাছে প্রকাশভঙ্গির প্রাথমিক ভিত্তি বলে মনে হয়। যে কোনো খারাপ সময় থেকে পৃথিবীর পরিত্রাণ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে কণ্ঠস্বরের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার ওপর। আমাদের বেঁচে থাকা সময়ে কবিতার কণ্ঠস্বরের প্রতি নিঃসন্দেহে খুব কম মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই এটা অনুধাবন করবে, এই কণ্ঠস্বরের প্রতি মনোযোগ পৃথিবীকে নতুন করে প্রাণ দিতে পারে।

? কবিতার মাত্রা আপনার কাছে সবসময়ই একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, নৈতিকতাও লক্ষ্য নয় কি?

= হ্যাঁ, সবকিছুতে একটা নৈতিক লক্ষ তো গোপনে থাকেই। 'কেহিয়ার ডিআন রিট্যুর আউ পেইজ অরাল' লেখার সময় থেকেই আমার মানবকল্যাণের প্রতি মনোযোগ আর নিজেকে খুঁজে বেড়ানো। কিন্তু সার্বজনীনতা ও সাহচর্য খোঁজা, মানবতার পরিচয় খোঁজা, আমি মনে করি এই হলো নৈতিকতার ভিত্তি।

? এই শতাব্দিতে পৃথিবীতে নৈতিকতা সাফল্য পায়নি।

= অবশ্যই না। কেউ মনোযোগ দিক আর না দিক, কাউকে কিন্তু কথা বলতে হবে। জরুরি অনেক বিষয়কে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ফেলে রাখি, আসক্ত থাকি। এমনকি আপনি যদি স্রোতের বিপরীতে সাঁতার দিতে চান, তারা ছেড়ে দেবে।
বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের সঙ্গে, ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের সংযুক্ত হতে হবে। অন্যভাবে বললে, সত্য ও মনোযোগের ক্ষেত্রে কবিতা আমার পক্ষে খোঁজ রাখছে। নিঃসঙ্গ সময়েরও, পৃথিবীর অপরদিকে মনোযোগী খোঁজ রাখছে। আমরা একে আমাদের ভেতরে আরো গভীর করে চাই। আমাদের অন্তরতম করে চাই। এক্সক্লুসিভ গতি নিয়ে কবিতা আমাদের গভীরতায় পৌঁছে দেয়।
আবারো আগ্নেয়গিরি!
সন্দেহ নেই, আমি একটা মহৎ পৃথ্ককরণ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। দরকারি যা যা দেখেছি, তার মধ্যে জ্ঞানের শাšø পথে এগিয়ে যাওয়াও ছিল। যদি আপনি তা পছন্দ করেন, তাহলে আওয়াজ দেন, যেন তা অন্যের কাছে পৌঁছে যায়।
এটাই আমি বিশ্বাস করেছি। এটাই আমি করেছি।
কোনো বিরক্তি নেই। কারো প্রতি না। কোনো মন্দ অনুভূতি না। শুধু এড়ানো যায় না_ মানবতার প্রতি এমন নির্জন যাত্রা। এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×