ঘটনাটা একজনের কাছ থেকে শোনা।
২০ বছর আগে আফগান গৃহযুদ্ধ চলছিল। অবস্থা তখন ভয়াবহ। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে একটি পরিবার বর্ডার পার হয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। রাতের বেলা একটা গাড়িতে করে বাবা, মা আর একটি ছোট্ট কিশোরী মেয়ে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য রওনা দিল।
সীমান্তে পাহাড়ি অঞ্চল। পাহাড়গুলোর মাঝখানের রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। গভীর রাতে গাড়িটি সেই রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলছে।
গাড়ির ভেতর থেকে ছোট্ট মেয়েটি বাইরে তাকিয়ে দেখে রাস্তার দুই পাশে আলো। অনেক অনেক মানুষ দুইপাশে দাঁড়িয়ে হাত পা নাড়িয়ে নেচে চলেছে। তাদের সেই সঙ্গীতবিহীন অদ্ভুত নৃত্য দেখে মেয়েটা কিছু বুঝতে পারলো না।
সে তার বাবার কাছে জানতে চাইলো, “বাবা এই মানুষগুলো এখানে এভাবে নাচছে কেন?”
বাবা বললেন,”ওগুলো মানুষ না।”
তারপর কিছুক্ষণ থেমে বললেন,”ওগুলো পাপেট। সৈন্যরা ভয় দেখাবার জন্য এভাবে পাপেট ঝুলিয়ে রেখেছে।”
মেয়েটি বুঝতে পারলো ন।
এতগুলি পাপেট কিভাবে একসাথে নাচানো যায় আর ভয় দেখানোর জন্য এরকম অদ্ভুত পদ্ধতিই বা কেন, কিছুতেই তার মাথায় ঢুকলো না।
তবে সে কিছুটা বড় হবার পরে বুঝতে পেরেছিল।
জানতে পেরেছিল, আফগান সীমান্তে মানুষদেরকে মেরে সেই লাশ দাঁড় করিয়ে রাখার কথা। লাশগুলিতে আগুন দেবার জন্য গ্যাসোলিন দেয়া হত। মাথা কাটা লাশগুলির শরীরের ভেতরে ঢুকে যেত গ্যাসোলিন। শিরায় উপশিরায় গিয়ে উত্তপ্ত গ্যাসোলিন স্প্যাজমের সৃষ্টি করত। মনে হত লাশগুলো নিজে থেকে কাঁপছে, নাচছে...
( গল্পটা শোনার সময় আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এখন লিখতে গিয়েও বেশ ভয় পেতে হয়েছে। বাস্তবতা ভূতের গল্পের চেয়েও ভয়ংকর কিনা।)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৪১