somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামী শিক্ষার একনিষ্ঠ সেবক ড. মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ

১০ ই মে, ২০১২ রাত ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশ বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ। তিনি একাধারে হাদীসবিদ, তাফসীরবিদ, ফহীক, আরবী ভাষাবিদ, ও ইসলামী জ্ঞানের েেত্র এক মহান পণ্ডিত ও উজ্জ্বল নত্র ছিলেন। তিনি ইসলামিক গবেষণা, গ্রন্থ রচনা, ও প্রবন্ধ রচনায় এক অনন্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৬টি, অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির সংখ্যা ১২টি এবং প্রবন্ধের সংখ্যা ১৫০টি। তিনি জাতীয় পাঠ্যক্রম পুস্তুক “ইসলামী শিা” গ্রন্থের একজন রচয়িতা। তিনি সুদীর্ঘ ১২ বছর দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় এবং ৩৫ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিকতা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবেও তিনি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

জন্ম ও পরিচয়ঃ ড. মুহাম্মদ শফিকুলাহ ১৯৪৭ সালে নোয়াখালী জিলার চাটখিল থানার অন্তর্গত আবূ তোরাব নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর জিলার অন্তর্গত পীরগঞ্জ থানার চতরা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পিতার নাম আলহাজ্জ মৌলভী মোবারক উলাহ এবং মাতার নাম শাফিয়া খাতুন।

শিক্ষা জীবনঃ ড. মুহাম্মদ শফিকুলাহ্ আপন মাতার নিকট কুরআন মাজীদের সবক গ্রহণের পর গ্রামের মক্তবে শিা লাভ করেন। এরপর তিনি আবূ তুরাব নগর প্রাইমারী স্কুলে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে চাটখিল আউয়্যাল দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এ মাদ্রাসা থেকে পূর্ব পাকিস্তান মাদ্রাসা শিা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত ১৯৬০ সালের আলিম পরীায় প্রথম বিভাগে ৬ষ্ঠ স্থান, ১৯৬২ সালের ফাযিল পরীায় প্রথম বিভাগে ৩য় স্থান, ১৯৬৪ সালে নোয়াখালী কারামতিয়া আলীয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল (হাদীস) পরীায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান, ১৯৭২ সালে বগুড়া মুস্তাফাবিয়া আলীয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল (তাফসীর) পরীায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান এবং ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম পাচলাইশ ওয়াজিদিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল (ফিকহ্) পরীায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।

তিনি চট্টগ্রামের এম. ই. এস. কলেজ থেকে নাইট সিপটে বহিরাগত পরীার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করে ১৯৬৮ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এইচ. এস. সি. ও ১৯৭০ সালে দ্বিতীয় বিভাগে বি. এ. পাশ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের অধীনে ‘আরবী বিষয়ে ১৯৭২ সালের এম. এ. প্রিলিমিনারী পরীায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, ১৯৭৩ সালে এম. এ. ‘আরবী বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালের এম. এ. পরীায় প্রথম শ্রেণীতে ২য় স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ইমাম তাহাভীর জীবনী এবং হাদীস শাস্ত্রে তাঁর অবদান’’ শীর্ষক থিসিস রচনা করে পিএইচ. ডি. ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মজীবনঃ কর্মজীবনের শুরুতে তিনি রংপুর জিলার পীরগঞ্জ থানার সরলিয়া এ. টি. এম. সিনিয়র মাদ্রাসায় সুপারেন্টেন্ডেন্ট, কুড়িগ্রাম সাতদরগাহ ‘আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, সিলেট সৎপুর ‘আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, চট্টগ্রাম ওয়াজিদিয়া ‘আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত এবং রংপুর জিলার বড় রংপুর কারামতিয়া ‘আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস পদে ১৯৭৩-১৯৭৬ পর্যন্ত শিকতা করেন।

১৯৭৬ সালের অক্টোবর মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগে ‘আরবী বিষয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন অতঃপর ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক হিসাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে গাজীপুরে অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে যোগদান করেন। এছাড়া তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দা‘ওয়াহ্ এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, মুসলিম আইন বিভাগ ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজী এণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডীন , ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্ট্রার হিসেবেও পর্যন্ত দায়িত্ব পালন।

১৯৯১ সালে পুনরায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৩ সালে প্রফেসর পদে উন্নীত হন। ১৯৯৩-১৯৯৫ পর্যন্ত আরবী ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আরবী বিভাগের সাভাপতি থাকাকালীন সময়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে বিভক্ত করেন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।

রচনাবলীঃ ড. মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ একজন সুলেখক ছিলেন। তিনি কুরআন, হাদীস, তাফসীর, ফিক্হ, ‘উলূমুল হাদীস, উসূলুল ফিক্হ, ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে রয়েছে, ইমাম তাহাভী র. জীবন ও কর্ম, ‘উলূমুল-কুরআন, কুরআন ও হাদীসের আলোকে জিন জাতি ও ইবলীস এবং সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা ‘আওনুল-বারী, ইমাম মুহাম্মাদ ইব্ন ইসমা‘ঈল আল-বুখারী (র) ও তার জামি‘ অন্যতম। অনুদিত গ্রন্থ হচ্ছে হাদীস শাস্ত্রের ইতিবৃত্ত।

অপ্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, সূরা ইয়াসীনের তাফসীর, সূরা আল-ফাতহের তাফসীর, সূরা আর-রাহমানের তাফসীর, সূরা আল-ওয়াকি‘আর তাফসীর, উসূলুল ফিক্হ, তাফসীর চর্চায় মাহমূদ আল-আলূসী (র)-এর অবদান, জামি‘উত্-তিরমিযী-এর কিতাবুস্-সালাত-এর ব্যাখ্যা, কিয়ামতের নিদর্শন ইত্যাদি। অনুদিত অপ্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, তায়সীরু মুসতালাহিল হাদীস, শুরুতু আইম্মাস্-সিত্তাহ্ ও ফিক্হুল হায়া ।

প্রবন্ধঃ তিনি একজন সফল প্রবন্ধকারক ছিলেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রবন্ধ রচনা করেন। তার প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা প্রায় ১৫০টি। প্রবন্ধগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ পত্রিকা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ, ইসলামিক স্টাডিজ গবেষণা পত্রিকা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন গবেষণা পত্রিকা, ইসলামিক স্টাডিজ জার্নাল অব ড. সিরাজুল হক ইসলামিক রিচার্স সেন্টার ঢাকা, দি ঢাকা ইউনিভাসিটি জার্নাল অব ইসলামিক স্টাডিজ, ইসলামী গবেষণা পত্রিকা, রাজশাহী, ইমাম প্রশিণ একাডেমী, আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম, আল-বা‘আছ আল-ইসলামী, লèৌ, জামি‘আহ্ সুন্নিয়াহ্, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয়।

এছাড়া তার বিভিন্ন প্রবন্ধ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ, সীরাত বিশ্বকোষ, সংপ্তি আল-কুরআনুল কারীম বিশ্বকোষ, হাদীস ও সামাজিক বিজ্ঞান, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, হাদীস ও মাসাইলে আহ্নাফ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।
গবেষণা তত্ত্বাবধায়কঃ ড. মুহাম্মদ শফিকুলাহ্ যেমন একজন সফল গবেষক ছিলেন তেমনি একজন গবেষণা তত্ত্বাবধায়কও ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক ও গবেষক পিএইচ. ডি. এবং ৫ জন গবেষক এম. ফিল. ডিগ্রী লাভ করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক পিএইচ. ডি., এম. ফিল. ও এম. এ. থিসিসের পরীক ছিলেন। তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক শিক প্রফেসর ও সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ ও পদোন্নতী লাভ করেন।

আলোচকঃ তিনি বিভিন্ন ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য এবং সুবক্তা ছিলেন। রাজশাহী বেতারের নিয়মিত ইসলামী অনুষ্ঠানের আলোচক ও উপস্থাপক ছিলেন। রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদে তিনি জুমু‘আর খুতবা প্রদান করে মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করেন। রাজশাহী শহর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইসলামী দিবস সমূহে তিনি আলোচক হিসাবে উপস্থিত থেকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে শ্রোতামণ্ডলিকে কুর’আন ও হাদীসের আলোকে উক্ত দিবস সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করতেন। যা শুনে শ্রোতারা অত্যন্ত মুগ্ধ হতো। দেশ-বিদেশের বহুসংখ্যক মানুষ তার নিকট ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে মাসআলার সমাধান নিতেন।

ইন্তিকালঃ ইসলামের একনিষ্ঠ সেবক প্রাণ ড. মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ ২০১১ সালের ২৭ মে রোজ শুত্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর ৩ মাস। তাকে রংপুর জিলার অন্তর্গত পীরগঞ্জ থানার চতরা গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশ্বে সমাহিত করা হয়। আলাহ্ তা‘আলা তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করুন (আমীন)।

লেখকঃ মো. রুহুল আমিন
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার শিশুদের উদ্দেশ্যে - আমরা তোমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


তোমরা এসেছিলে মাথার উপর বোমা পড়ার ভয়ার্ত গল্প নিয়ে। যে বোমা তোমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, লোকালয় ধ্বংস করেছে। আমরা কান বন্ধ করে উদাসীন হয়ে বসে ছিলাম। তোমরা এসেছিলে ছররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×