রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মো: জুলফিকারুল আমীনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী উপশহরের দড়িখরবোনা সালাফী মনযিলের বি-৪৭৩ বাসায় তিনি মারা যান। তার এই মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সা¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন জুলফিকারুল আমীন। তার পর থেকেই তিনি রাজশাহী উপশহরে তার শ্বশুরালয়ে থাকতেন। যোগদানের কিছুদিন পর একই বিভাগের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ তোলে। চলতি বছরের ৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন তদন্ত বিষয়ক কমিটি’ অভিযোগ গ্রহণ কমিটির তদন্ত ও সুপারিশের ভিত্তিতে তাকে আট বছর মেয়াদে ৩ ধরনের শাস্তি প্রদান করে। আর এই খবর শোনার পর থেকে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরেন। এমনকি তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মধ্যে তার দুরত্ব তৈরি হয়।
সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ ঔষধ কেনার কথা বলে তিনি সাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এরপর রাত ১ টার দিকে উপশহরের নাহার একাডেমীর ড্্েরনে পরে গেলে আশে-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে তার শ্বশুরের বাসায় ফিরে দেন। তারপর থেকে তিনি মঙ্গলবার সারাদিন অজ্ঞান অবস্থায় বিছানায় পরে ছিলেন। এ সময় তার শ্বশুর বাড়ীর কেউ তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেননি বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলে ঘটনাটিকে ধামা-চাপা দেয়ার জন্য তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানা যায়।
জুলফিকারুল আমীনের স্ত্রী মমতাজ আক্তার সম্পা সাংবাদিকদের বলেন, যৌন হয়রানীর শাস্তির খবর শোনার পর থেকে সে কিছুটা ভেঙ্গে পরে। সারাদিন ওই বিষয় নিয়ে ভাবতো। আমাকে বলতো যে বিভাগের শিকরা তার দিকে ভাল নজরে দেখেন না। ছাত্ররা কেমন যেন উদ্ভট আচরণ করে। এমনকি তিনি প্রায় ২/৩ দিন ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতো। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন দাবী করে তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী প্রায় এনালগ নামক ঔষধ সেবন করেতন। হয়তো ওইদিন্ও ওই ঔষধ সেবন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেটিং বিভাগের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, চিকিৎসা অবহেলার কারনে জুলফিকারুল আমীনের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



