‘ঘরে বসে ডলার আয় করতে চান, ১শ নয় ৫০ নয় মাত্র ১০ কিকে ১০ মিনিটে ঘরে বসে মাসে আয় করুন ৫ হাজার ১০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোয়াল্যান্সার নামের এমএলএম কোম্পানীর এমন সব চোখ ধাঁধাঁনো বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবন, আবাসিক হল, দোকানপাটসহ পুরো ক্যাম্পাস। এসব নয়ন জুড়ানো বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে একেক জন একাধিক আইডি খুলে শুরু করেছে আউটসোর্সিংয়ের নামে এমএলএম ব্যবসা। তবে এ ব্যবসায় কর্তৃপক্ষের দেয়া কোটা পূরণ করেও টাকা না পাওয়ায় প্রতারণার শিকার হচ্ছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামের ১০৬/১০৭ নং কক্ষ ভাড়া নিয়ে চলছে কোয়া-টাইমেট কোয়ালিটি (ইন্টা
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, ১’শ কোটি টাকা উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ইন্টারনেটে কিকের মাধ্যমে টাকা উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় এক বছর আগে সরকারী অনুমোদন ছাড়াই এমএলএম ও পিটিসি কোম্পানী কোয়া-টাইমেট কোয়ালিটি (ইন্টা
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় এক বছর কোম্পানীর কার্যক্রম চললেও গ্রাহকদের টাকা দিতে প্রায়ই তালবাহানার আশ্রয় নেয় এমডি জুলফিকর আহমেদ। এরই সুত্র ধরে গত ২৮ জুন এমডি জুলফিকর আহমেদ কোম্পানীর লোকসান দেখিয়ে ওয়েবসাইটে গ্রাহকের আইডি প্রতি ১ হাজার টাকা করে কেটে নেয়ার ঘোষনা দেন। এতে গ্রাহকরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। এর কিছুদিন পর ১ জুলাই আবারো একই কারনে আরো ৫শ টাকা কেটে নেয়ার ঘোষনা দিলে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাতক্ষীরার রসুলপুরস্থ অফিসে হামলা চালায় এবং অফিস ভাঙচুর করে এমডিকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ওই শিক্ষক গ্রাহকদের পুরো টাকা ফেরত দেয়ার ঘোষনা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনার পরের দিন রাবি ক্যাম্পাসেও গ্রাহকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে অফিসে অবস্থানরত কর্মচারী গ্রাহকদের স্যার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে। এর পর থেকে আতœগোপনে রয়েছে কোম্পানীর এমডি, চেয়ারম্যানসহ সকল কর্মচারী।
ভুক্তোভোগীদের অভিযোগ, এঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসের কোয়াল্যান্সারের অফিস খোলা হচ্ছে না। বেশ কয়েকদিন অফিসে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে। এছাড়া কোম্পানীর কর্মচারীদের দেয়া ফোন নাম্বার কল দিলে তা রিসিভ করা হচ্ছে না । এতে করে ব্যাপক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এখানকার গ্রাহকরা। সরেজমিনে গিয়ে গ্রাহকদের কথার সত্যতা পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোয়া-টাইমেট কোয়ালিটি (ইন্টা
এদিকে কোয়াল্যান্সারে ভর্তি না হওয়ায় একাধিক বিভাগীয় শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান, জুলফিকর স্যার কাসের মধ্যে সরাসরি কোয়াল্যান্সারে ভর্তি হওয়ার কথা না বললেও আকার ইঙ্গিতে তিনি ওই কোম্পানীতে ভর্তি হতে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন সময়ে স্যার আমাকে কোয়াল্যান্সারে ভর্তি হতে বলে। কিন্তু আমি ওই কোম্পানীতে ভর্তি না হওয়ায় স্যারের সাবজেক্টে আশানুরুপ মার্কস পাইনি। এর ফলে আমাকে অনেক মাসুল গুনতে হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে এ প্রতিবেদক কোয়াল্যান্সার অফিসে পাওয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়াল্যান্সার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী অফিসের এক সহকারী বলেন, এটি একটি ভূয়া কোম্পানী। আমি শুধু সেখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের কাজ করতাম। আপনি এদিকে দৌড়া দৌড়ি করবেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের এমডি এবং রাবি’র আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষক ড. জুলফিকর আহমেদ জানান, যে সকল গ্রাহক আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিল আমরা প্রায় সবার টাকাই ফেরত দিয়েছি। আমরা ক্যাম্পাসের কোয়াল্যান্সার অফিস বন্ধ করে দিয়েছি। নতুন একটি প্রোগ্রাম খোলার প্রক্রিয়া চলছে। এতে যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের ভর্তি করা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



