somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাঈদীর বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতি যৌতুকের দায়ে অভিযুক্ত সাজানো সাক্ষীদের সাক্ষ্য মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাওলানা সাঈদীর মামলায় গতকালের আর্গুমেন্টে এডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, এই মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তিনি ১৯৭১ সালে পারেরহাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে পিরোজপুরে মোট ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদের নাম আছে। তিনি কোন অসত্য তথ্যও দেননি বলে জানান। অথচ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাউন্টের চার্জে মোট অন্তত ৫০ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো যে কোন তথ্যটি সঠিক? জেলা প্রশাসনের কাছে মাহবুবের দেয়া তথ্য সঠিক নাকি প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে যে তথ্য দিয়েছেন সেটা সঠিক!

মিজানুল ইসলাম বলেন, ইব্রাহিম কুট্টিকে তার শ্বশুরবাড়ী নলবুনিয়া গ্রামে হত্যা করা হয় ১ অক্টোবর ১৯৭১ তারিখে। একই সাথে তার শ্যালক সাহেব আলী ওরফে সিরাজ ও তার শাশুড়ীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সিরাজকে হত্যা করা হয় এবং তার মাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামী ও ভাই হত্যার অভিযোগে মামলা করেছিলেন থানায় যাতে আসামীদের নামও উল্লেখ ছিল। তাতে মাওলানা সাঈদীর নাম ছিলো না। অথচ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালের ৮ই মে ইব্রাহিম কুট্টিকে চিতলিয়া গ্রামের মানিক পসারীর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পারেরহাটে পুলের ওপরে নিয়ে সাঈদীর নির্দেশে গুলী করে হত্যা করা হয়। মানিক পসারী সাক্ষ্য প্রদান করতে এসেও তাই বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো কার কথা সত্য? মমতাজ বেগম কি তার স্বামী ও ভাই হত্যার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে '৭২ সালে মামলা করেছিলেন? নিশ্চয়ই না। প্রসিকিউশন এই মমতাজ বেগমকে বা ঐ পরিবারের কাউকে সাক্ষী করেনি। এমনকি ঐ মামলার নথিও দাখিল করেনি। এর কারণ হলো সত্যটা বেরিয়ে পড়বে এবং মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসানো সম্ভব হবে না। এখন মামলার প্রয়োজনে মানিক পসারীসহ অন্যান্য কয়েকজন সাক্ষীকে দিয়ে বলানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মানিক পসারীরা ধনী ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরে তারা পুনরায় বাড়ি করেছে বলে সাক্ষী নিজেই বলেছেন। তাদের মাছের ব্যবসা ছিল, বিড়ির কারখানা ছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধকালের পোড়া টিন আর খুঁটি দিয়ে বাড়ি করবে- এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর সেই পোড়া টিন এবং খুঁটি ৪২ বছরেও অক্ষত অবস্থায় তাদের ঘরে থাকার কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। মামলার প্রয়োজনে পোড়া টিন ও খুঁটির সৃষ্টি করা হয়েছে। এই সাক্ষী মফিজ উদ্দিনকে তার মামাতো ভাই বলেছেন। আর মফিজউদ্দিন সাক্ষ্য প্রদানকালে তার নানার নাম বলাতে পারেনি। এতে বোঝা যায়, তাদের মধ্যে আত্মীয়তার কোন সম্পর্ক ছিল না। মানিক পসারীর বাড়ি লুটের সময় নিজেই ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। আর অন্যান্য সব সাক্ষী বলেছেন, তিনি ঐ সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাহলে প্রসিকিউশনের কোন সাক্ষীকে বিশ্বাস করা যাবে। আবার মানিক পসারী তার বাড়িতে হামলাকারী সেনাবাহিনীর সাথে যেসব রাজাকার ছিল তাদের পরনে খাকি পোশাক ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সরকারি কাগজপত্র বলে যে ২রা আগস্টের আগে স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন খাকি পোশাক ছিল না।

মিজানুল ইসলাম বলেন, মানিক পসারী পিরোজপুর কোর্টে যে মামলা করেন তার জবানবন্দীতে সাক্ষী মফিজ উদ্দিন বলেন যে, তিনি ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা দেখেননি। আর এই ট্রাইব্যুনালে এসে বলে গেলেন যে, তাকে আর ইব্রাহিম কুট্টিকে এক দড়িতে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিল। মামলার প্রয়োজনে শিখিয়ে দেয়া কথা এখানে বলেছেন তিনি। সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদার সব সময় ছোলা-মুড়ি বিক্রি করতেন পারেরহাটে। আর সেই সাক্ষী বলতে পারে না মাখন সাহার দোকানের মাটির নিচ থেকে ২২ সের সোনা-রূপা উত্তোলনের কথা। প্রসিকিউশন তাকে যেটুকু শিখিয়ে দিয়েছে তার বাইরে জেরা করলেই বেরিয়ে এসেছে যে, মিথ্যা বলেছেন সাক্ষী। সাঈদী সাহেব পারেরহাট বাজারে ফুটপাতে দোকানদারী করতেন বলে বানোয়াট কাহিনী রচনা করা হয়েছে। অথচ সাক্ষীরা কেউ বলতে পারে না যে তার ডানে কার দোকান, বামে কার দোকান, সামনে কার দোকান ছিল।

মিজানুল ইসলাম বলেন, শহীদুল ইসলাম খান সেলিমকে ৩ বার ঢাকায় আনা হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালেও আনা হয়েছে। অথচ প্রসিকিউশন বললো যে, তাকে হাজির করা সম্ভব নয়। ফলে ১৯(২)তে তার নামে পুলিশ কর্তৃক লিখিত জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হলো। প্রসিকিউশনের ১৪ নং নম্বর সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুল তার বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কথা জানালেও তার মামা এসে বললেন কিছুই ঘটেনি। পুরো মিথ্যা বলেছেন। আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বাবুলের মা রাগ করে অন্য ছেলের বাসায় চলে গেছে। আর তার মাকে প্রসিকিউশন সাক্ষী বানায়নি। এমনকি ঐ গ্রামেরও কাউকে সাক্ষী বানায়নি। আর সাক্ষী বাবুল নিজে আওয়ামী লীগ করেন। তিনি প্রসিকিউশনের শেখানো মতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মিজানুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশনের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বলে যারা এসেছেন তাদের কারো কথাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারা চুরি, ডাকাতি, যৌতুক ইত্যাদি অভিযোগে অভিযুক্ত এবং সাদাপ্রাপ্ত। তাদের কথার উপর ভিত্তি করে মাওলানা সাঈদীর মত আলেমে দ্বীন বা কাউকেই শাস্তি দেয়া যায় না।

বিশদ-- Click this link...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×